নিপুন জাকারিয়া, জামালপুর প্রতিনিধি :–
জামালপুর সদর উপজেলার বাঁশচড়া ইউনিয়নের বাঁশচড়া উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন (বিডিপি) প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বই বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।
বিদ্যালয়টি ২০০৩ সালে জাপানের একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করে। যা ৫ম শ্রেনী পর্যন্ত শিক্ষাদান করানোর অনুমতি রয়েছে বলে সংস্থাটির সুপারভাইজার হাবিবুর রহমান জানান।
বর্তমানে জামালপুর সদরে (বিডিপি) বেসিক ডেভেলপমেন্টের ১৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সকল বিদ্যালয় ৫ম শ্রেনি পর্যন্ত পাঠদান করালেও এ প্রতিষ্ঠানটি এভারই প্রথম ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করছে।
এলাকাবাসী মনে করেন এই প্রতিষ্ঠানটিতে প্রাথমিকে ৪ জন ও মাধ্যমিক দুই জন অযোগ্যা শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যারা কেউ কেউ সবে মাত্র এসএসসি পাস করেছে। এর প্রভাব পড়বে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মাঝে। তারা সঠিক শিক্ষাগ্রহন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এলাকাবাসী বাঁশচড়া উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন বিদেশী সংস্থা (বিডিপি) অনুমোদনহীন উচ্চ বিদ্যালয়টির বন্ধের দাবী করেছেন।
এ বিষয়ে বাঁশচড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা জানান, এলাকার ঐতিহ্যবাহী বাঁশচড়া উচ্চ বিদ্যালয়টি ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অত্র বিদ্যালয়ের ৭০০ গজ পশ্চিমে অবৈধভাবে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে হীন মানুষীকতার পরিচয় দিয়েছে কিছু স্বার্থ লোভী ব্যাক্তি। বাঁশচড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তুলা হয়েছে। সকল দপ্তরে অবহিত করে স্মারকলিপি প্রদান করে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধের দাবি জানানো হয়েছে।
বিডিপি বিদ্যালয়ের সরেজমিন গেলে ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের ভর্তি পরর্বতী বই দিয়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, যার বিনিময়ে প্রতিজন শিক্ষার্থীকে ৩৫০ টাকা করে দিতে হয়েছে বলে তারা জানান। এ সময় কয়েকজন শিক্ষার্থী দাবি করেন, সরকার আমাদের বিনামূল্যে বই দেওয়ার কথা থাকলেও প্রতি জনের কাছ থেকে সাড়ে তিনশ টাকায় বই কিনেছে ৫৫ জন শিক্ষার্থী।
অপরদিকে বিডিপি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বই বিক্রির কথা অস্বীকার করেন। তিনি জানান, ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে ছাত্র ভর্তি চলছে যদিও আমাদের অনুমোদন নেই। এলাকার অধ্যায়নরত কিছু ছাত্রকে দিয়ে শিক্ষকতা করানো হচ্ছে। যারা সকলে সংস্থা থেকে বেতন ভুক্ত। বিদ্যালয়ের পরিচালক মাসুদ জানান, বিদেশী সংস্থা কোন প্রকার বেতন দেয় না। বিদ্যালয়ের ছয়জন শিক্ষককে আমি নিজস্ব খরচে বেতন ব্যবস্থা করি।