তাসলিমা ইসলামঃ
(হেজবুত তওহীদের রাজনৈতিক বিষয়ক যুগ্ন সপ্মাদক)
নাগরিক সমাজের সকল প্রান্ত থেকে যখন আল্লামা শফির নারীশিক্ষা সংক্রান্ত বক্তব্য নিয়ে সমালোচনা উঠেছে তখন সংবাদমাধ্যমে তার পক্ষ থেকে প্রেরিত একটি বিবৃতিতে এ বিষয়ে একটি ব্যাখ্যা প্রদান করা হয়। সেখানে বলা হয়, তিনি নারী শিক্ষার বিরুদ্ধে কথা বলেননি, বলেছেন নারী-পুরুষের সহশিক্ষার বিরুদ্ধে। কারণ এতে পর্দা লঙ্ঘন হয়।
.
কিন্তু তার এ কৈফিয়ৎ ধোপে টিকছে না। কারণ তিনি তার ওয়াজে বারংবার বলেছেন, মেয়েরা যেন কেবল স্বামীর টাকার হিসাব নিকাশ রাখতে পারে, কেবল স্বামীকে চিঠি লিখতে পারে এটুকুই শিখে। এর বেশি জ্ঞান অর্জনের কোনো প্রয়োজনীয়তাই তার দৃষ্টিতে নেই (সেটা মাদ্রাসাতেই হোক বা স্কুল কলেজেই হোক)।
.
আর তিনি সহশিক্ষার বিষয়ে আপত্তি করতে পারেন না কারণ রসুলাল্লাহর সমগ্র জীবনীতে আমরা দেখেছি তিনি নারী ও পুরুষ সাহাবিদেরকে একত্রে বসিয়ে দীনের শিক্ষাপ্রদান করেছেন। মসজিদ ছিল জাতির সকল কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু। সেখানে নারী ও পুরুষ অবাধে যাতায়াত করতেন, সকল সালাতে ও আলোচনা সভায় অংশ নিতেন। নারী সাহাবীগণ রসুলের নির্দেশে যুদ্ধে গেছেন, রসদ সরবরাহের কাজ ছাড়াও সম্মুখসমরে অংশ নিয়েছেন, মদীনার বাজার ব্যবস্থাপনা করেছেন, হাসপাতালের অধ্যক্ষ হিসাবে কাজ করেছেন, পরামর্শ দিয়েছেন।
.
সুতরাং আল্লামা শফি যে পর্দালংঘনের অজুহাত তুলে নারীশিক্ষার বিরুদ্ধে বয়ান করবেন এটা কোনো যুক্তিতেই ইসলামের আকিদার সঙ্গে খাপ খায় না। বরং তার এ বক্তব্য ইসলামের বিরুদ্ধে হয়েছে। কারণ ইসলামের ঘোর শত্রুরাই চাইবে মুসলিম নারীরা অজ্ঞমূর্খ হয়ে থাকুক।