Breaking News
Home / Breaking News / এলাকার সার্বিক উন্নয়নে নৌকায় ভোট দিয়ে গনতত্ন্র অব্যাহত রাখুন

এলাকার সার্বিক উন্নয়নে নৌকায় ভোট দিয়ে গনতত্ন্র অব্যাহত রাখুন

কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ কুমিল্লা-৯ লাকসাম-মনোহরগঞ্জ আসনে শাসক দল আ’লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও শিল্পপতি মোঃ তাজুল ইসলাম প্রতিটি ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, পাড়া মহল্লা ও হাটবাজার তথা অলি-গলিতে ব্যাপক গণসংযোগ করছেন। তিনি বলেন, আগামী ৩০ডিসেম্বর নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আমাকে বিজয়ী করলে এ অঞ্চলের উন্নয়নের ধারা ও গণতন্ত্র অব্যাহত থাকবে। বিজয়ের প্রতীক নৌকা মার্কার সরকার পুনরায় ক্ষমতায় এলে এ আসনের প্রতিটি গ্রামকে পর্যায়ক্রমে শহরে রূপান্তরিত করা হবে। ভোটের রাজনীতিতে লাকসাম-মনোহরগঞ্জ আসনে সব কটি এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগে নৌকা মার্কার গণজোঁয়ার উঠেছে। বিএনপি-জামায়াতের মত কোন অপশক্তি এই গণজোঁয়ারকে ঠেকাতে পারবে না। তাই সকল শংসয় ভুলে আগামী ৩০শে ডিসেম্বর নৌকাকে বিজয়ী করে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করুন।

গত কয়েকদিনে লাকসাম-মনোহরগঞ্জ উপজেলার সকল ইউনিয়নের বিভিন্ন পথ সভায় কুমিল্লা-৯ লাকসাম-মনোহরগঞ্জ আসনের আওয়ামীলীগ ও মহাজোটে মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোঃ তাজুল ইসলাম বিভিন্ন পথ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন নৌকা হলো উন্নয়নের প্রতিক, নৌকার সরকার যতবার ক্ষমতায় এসেছে তখনই দেশের উন্নয়ন হয়েছে। তাই ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে আপনারা নৌকায় ভোট দিয়ে আমাকে বিজয়ী করবেন।
তিনি বলেন, গত ১০বছরে আপনাদের এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করা হয়েছে। লাকসাম মনোহরগঞ্জ উপজেলায় শত ভাগ বিদ্যুতায়ন করা হয়েছে। খিলা ও মুদাফরগঞ্জ ২টি বিদ্যুৎ সাবস্টেশন স্থাপন করা হবে এবং লাকসাম একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এটা মাথায় রেখে বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে এত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। শিল্পকারখানা গড়ে উঠলে অত্র অঞ্চলের ব্যাপক উন্নয়নের পাশা-পাশি মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরী হবে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নের মাধ্যমে এই গ্রাম অঞ্চল আগামী কয়েক বছরের মধ্যে শহর এলাকায় রুপান্তরিত হবে।
তিনি আরো বলেন, ৯৬ সালের পূর্বে বিএনপি থেকে আলমগীর ও ২০০১ সালে কর্ণেল আনোয়ারুল আজিম আপনাদের এলাকায় সংসদ সদস্য ছিলেন, ওই সময় তারা কোন উন্নয়নমূলক কাজ করেনি। বরং উন্নয়ন হয়েছে তাদের নিজেদের। আমি ৯৬ সালে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। শত শত রাস্তাঘাট, কালবার্ট, মসজিদ, মন্দির সহ বিভিন্ন স্কুল-কলেজের নতুন ভবন নির্মান ও পুরাতন ভবন সংস্কার করা হয়েছে। বর্তমান শাসন আমলে লাকসাম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, মনোহরগঞ্জ স্কুল এন্ড কলেজ, নীলকান্ত ডিগ্রি কলেজকে সরকারী করন করা হয়েছে। মনোহরগঞ্জ উপজেলাকে একসময় জলাঅঞ্চল বলা হত। বর্ষাকালে নৌকা ছাড়া চলাচল করতে পারতো না। গ্রীষ্মকালে পায়ে হাটা ছাড়া কোন বিকল্প ছিলনা। কিন্তু বর্তমানে মনোহরগঞ্জ উপজেলায় প্রতিটি গ্রামে মানুষ গাড়ী নিয়ে চলাচল করতে পারে। এগুলো এক মাত্র উন্নয়ন হয়েছে শেখ হাসিনা সরকারের কারনে। সব উন্নয়ন আমি করেছি। তাই আপনাদের কাছে ভোট চাওয়ার অধিকার একমাত্র আমারই আছে।
গনসংযোগ কালে সফর সঙ্গী ছিলেন, লাকসাম উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট ইউনুছ ভুইয়া, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি তাবারক উল্লাহ কায়েস, জাতীয় পাটির লাকসাম উপজেলা সভাপতি গোলাম মোস্তফা, মনোহরগঞ্জ আ’লীগের সভাপতি মাষ্টার আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী, জেলা পরিষদের সদস্য এডভোকেট আবু তাহের, এডভোকেট তানজিনা আক্তার, লাকসাম পৌরসভার মেয়র অধ্যাপক আবুল খায়ের, লাকসাম উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মহব্বত আলী, আওয়ামী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট রফিকুল ইসলাম হিরা, দু’উপজেলার ইউপি চেয়ারম্যান ও সহ এলাকার দলীয় নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।

Powered by themekiller.com