ষ্টাফ রির্পোটারঃ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের শেষ মুহূর্তের প্রচারে সব দলের প্রার্থী যেখানে সরব থাকার কথা, সেখানে চাঁদপুর-৩ (চাঁদপুর-হাইমচর) ছাড়া চাঁদপুরের অন্য চারটি আসনের প্রচারে বিএনপির মধ্যে বিরাজ করছে স্থবিরতা।
জেলা সদরের এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা. দীপু মনি ও বিএনপির প্রার্থী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক নিজ এলাকায় সমানতালে নির্বাচনী প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।
চাঁদপুরের সব আসনে নৌকার প্রার্থীরা নিজ নিজ এলাকায় প্রতিদিনের নির্ধারিত নির্বাচনী উঠান বৈঠক, পথসভা ও গণসংযোগ করে নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। তাদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভোট চেয়ে প্রচার চালাচ্ছেন চরমোনাই পীর সাহেবের হাতপাখা, বাসদের মই ও জাকের পার্টির গোলাপফুল মার্কার প্রার্থী এবং তাদের দলের কর্মী ও সমর্থকরা।
কিন্তু নির্বাচনে দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি তথা ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন। প্রচারে নেই নেতাকর্মীরা। তাদের নির্বাচনী মাঠে অধিকাংশ ক্ষেত্রে নীরব এবং নিষ্ক্রিয় থাকতে দেখা যাচ্ছে।
কারণ হিসাবে জানা যায়-মামলা, হামলা ও গ্রেফতার আতঙ্ক। ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীদের প্রচারে একাধিক স্থানে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
অভিযোগ রয়েছে-পুলিশ হামলাকারীদের না ধরে উল্টো বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে মামলা দিচ্ছে।
চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে এমএ হান্নানের নির্বাচনী শোডাউনে হামলা করে সেটি পণ্ড করার অভিযোগ করেছে বিএনপি। এ আসনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় শত শত নেতাকর্মীর নামে মামলা করা হয় বলে তারা দাবি করেছেন।
চাঁদপুর-১ (কচুয়া) আসনে ধানের শীষের প্রার্থী মোশারফ হোসেনের নির্বাচনী প্রচারেও হামলা করে গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। এখানে স্থানীয় যুবদল ও বিএনপির একটি অংশের বিরুদ্ধে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে নিষ্ক্রিয় থাকার অভিযোগ উঠেছে।
চাঁদপুর-২ আসনে মতলব উত্তরে বিএনপির প্রার্থী ড. জালাল উদ্দিনকে নিজ বাড়িতে পুলিশ কর্তৃক অবরুদ্ধ করে রেখেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির এই প্রার্থী। তিনি জানান, নির্বাচনী প্রচার চালাতে গেলেই হামলার শিকার হচ্ছেন দলের নেতাকর্মী ও তার সমর্থকরা।
চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ ও শাহরাস্তি) আসনে ধানের শীষের প্রার্থী ইঞ্জি. মমিনুল হককে নির্বাচনী প্রচার কার্যক্রম বন্ধ করে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে। সেখানেও পুলিশের গ্রেফতার আতঙ্ক রয়েছে।
ধানের শীষের প্রার্থীদের অভিযোগ, নির্বাচন সামনে রেখে অসংখ্য নেতাকর্মী পুলিশ বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার করেছে। অন্যদেরও ধরার জন্য পুলিশ তৎপর।
এ কারণে নেতাকর্মীদের মধ্যে ভীতিকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। নির্বাচনী প্রচারে চলছে স্থবিরতা। চাঁদপুরের সব আসনে বিএনপি প্রার্থীদের আশা, জনগণ ভোট দিতে পারলে ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের দিন নীরব ভোট বিপ্লব ঘটবে।