বিশেষ প্রতিনিধিঃ চাঁদপুর সদর মডেল থানা, হাইমচর থানা ও ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) প্রত্যাহার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির দুই এমপি প্রার্থী। তিন দিনের মধ্যে এ তিন ওসিকে প্রত্যাহারের দাবি জানান চাঁদপুর-৩ আসনের বিএনপি প্রার্থী শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক ও চাঁদপুর-৪ আসনের প্রার্থী আব্দুল হান্নান। বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরে শুক্রবার চাঁদপুরের সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ দাবি জানান তারা।
প্রার্থীরা বলেন, ওসি প্রত্যাহার এবং রিটার্নিং অফিসার অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা না করলে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
সম্প্রতি চাঁদপুর মডেল থানার ওসি হিসেবে যোগদান করেন নাছিম উদ্দিন ও হাইমচর থানায় মো. শেখ মহসিন। ফরিদগঞ্জ থানায় ওসি হিসেবে আছেন হারুনুর রশিদ।
চাঁদপুর-৩ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, ‘তফসিল ঘোষণার পর একের পর এক মিথ্যা মামলা দায়ের করছে পুলিশ। এ পর্যন্ত চাঁদপুর-৩ আসনে ১৮ জনের মতো ধানের শীষের নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৫/৭ জন নিয়ে কথা বললেও পুলিশ বাধা দিচ্ছে। পোস্টার-ব্যানার লাগাতে পুলিশ ও নৌকার লোকেরা বাধা দিচ্ছে। গণসংযোগ ও পথসভায় বাধা দিচ্ছে। পুলিশ ও ডিবি ধানের শীষের নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের জন্য প্রতি রাতে বাড়ি বাড়ি অভিযান চালাচ্ছে এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করছে। ভোট দিতে না যাওয়ার জন্য ভয়-ভীতি প্রদর্শন করছে পুলিশ ও ডিবি। সার্বিকভাবে দেখা যাচ্ছে আওয়ামী লীগ বিএনপির প্রতিপক্ষ নয়, প্রতিপক্ষ হচ্ছে পুলিশ।’
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিএনপি প্রার্থীদের এই অভিযোগ সম্পর্কে আমাদের কিছু জানানো হয়নি।’
পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পর্কে জানতে পুলিশ সুপার জিহাদুল কবিরকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ‘গতকাল শুক্রবার ছুটির দিন ছিল। তারা পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেছেন কিনা সে ব্যাপারে খোঁজ নিতে হবে।’