পাপ……..
তানিয়া তিন্নি
===========
অবিনাশী অন্তরাত্মা দগদগে হলে আমি প্রার্থনায় আকুল হই,
পরজন্মের ভয়াল কথন শ্রবণেন্দ্রিয় ছুঁয়ে কলিজায় লাগলেই বুঝি
ভেতর ভেতর কাঁপছি পাপের ভারে!
চোখের পাপড়ি যতটা নয় তারও বেশী হয়ে গেছে চোখের পাপ।
নখের আঁচড়ে কামিনীকাঞ্চন আমার জৌলুশ খুঁজে খুঁজে বুদ হয়ে থাকে পুরুষ।
ঠোঁটের হাসিতে লেপ্টে থাকা রঙিন জীবন কামুক চোখের তৃষ্ণা বাড়ায়
রতির দাগে তখন কলঙ্ক!
পায়ে পা মিলিয়ে চলার অনুরূপ মিথ্যায় মিথ্যা আটকে যায়
বুকের পাঁজরে আটকে যায়,
চিন্তার রন্ধ্রেরন্ধ্রে আটকে যায়!
অথচ বিভ্রম আমাকে খুব করে হলে কবর পর্যন্ত ছুঁবে
আর ততটুকু পর্যন্ত আমিও প্রসারিত হই যতটা আমার সীমাস্থ!!
কারুকার্যখচিত এই নশ্বর সিংহাসনে আমি যা জানি, যা দেখি,যা বুঝি তাই আমার পৃথিবী!
মায়া, মোহ, ইন্দ্রজালিক অনুভূতি, জৈবিক আনন্দ
আমার জগতে মেশে আমাকে ভালবাসে
কখনো অন্ধ করে, কখনো বন্ধ করে মনুষ্যত্ব
পাপেরা মন, মস্তিষ্ক আর বুকের জমিন চষে বেড়াতে বেড়াতে জড়ো হয় বয়সী ভারে
বুদ্ধি বিনাশে!
সভ্যতা অসভ্য পরজীবীর দখলে চলে গেলেও ক্ষয়িষ্ণু বিচার বাঁচাবে কি আর?
বরঞ্চ রতির দাগে বিশ্লেষণ করা প্রেম, দর্শন এখন এ সভ্যতাজনিত অসুখে রায় পায় ভালো মন্দের
নুয়ে পড়া চোখ, পঁচে যাওয়া শরীর, শ্বাস-প্রশ্বাস দমে যাওয়া নাসারন্ধ্রের একদিন ছুটি হবে সাড়ে তিনহাতি মাটির কুঠিরে!
একদিন হিসেব হবে ওপারে,
অথচ আমি যেন ভুলেই যাচ্ছি
একদিন ভালমন্দ বিচার হবে খুব করে…..!!