Breaking News
Home / Breaking News / মতলবের উন্নয়নের রুপকার মায়া চৌধুরী

মতলবের উন্নয়নের রুপকার মায়া চৌধুরী

শ্যামল চন্দ্র দাসঃ বৃহত্তর মতলবের উন্নয়নের রূপকার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম এমপি। মায়া চৌধুরীর নেতৃতে স্বাধীনতার পর মতলব উত্তর-মতলব দক্ষিণে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। ১৯৯৬ সালে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া চাঁদপুর-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়ে মতলব উত্তর উপজেলা, মতলব পৌরসভা, ছেংগারচর পৌরসভা প্রতিষ্ঠা করেন। পরে তিনি নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে মতলব উত্তর-মতলব দক্ষিণে নৌ পথে নিরাপদে চলাচলের জন্য প্রতিটি লঞ্চ ঘাটে পল্টুন স্থাপন করেন। এছাড়া মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ এলাকায় রাস্তা-ঘাট, পুল-কালভার্ট, ব্রীজ, মসজিদ-মন্দির, কবরস্থান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। ধনাগোদা নদীর উপর জনসাধারণের সুবিধার্থে চালু করেন ফেরী সার্ভিস। ফলে এ এলাকার মানুষ নৌ পথে ও সড়ক পথে দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্বিঘেœ চলাচল করেন।

উন্নয়নের কারণে জনগণের অন্তরে স্থান করে নিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক দীর্ঘদিনের ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম। সামরিক ও বিএনপি আমলে তিনি সংসদীয় আসনে না থাকলেও প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নির্বাচনী এলাকার জনগণের জন্য কাজ করে গেছেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে চাঁদপুর-২ আসন (মতলব উত্তর-মতলব দক্ষিণ) থেকে বিনা প্রতিদ্বন্ধীতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সাংসদ নির্বাচিত হয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান।

গত ৫ বছরে মতলব উত্তর-দক্ষিণের ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। এর মধ্যে ধনাগোদা নদীর উপর নির্মিত মতলব সেতু, মতলব উত্তরে শিল্পকলা একাডেমী, মতলব ডিগ্রি কলেজ, মতলবগঞ্জ জে.বি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, ছেংগারচর ডিগ্রি কলেজ ও ছেংগারচর উচ্চ বিদ্যালয় সরকারিকরণ, মতলব দক্ষিণে ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন স্থাপন, বিদ্যুতের সাব ষ্টেশন স্থাপন, হাইটেক পার্ক নির্মাণ, মতলব উত্তর-দক্ষিণে ৩ শতাধিক ব্রীজ নির্মাণ, গ্রামের আনাচে-কানাচে হেরিং বন্ডের রাস্তা, টিআর, কাবিখার রাস্তা, মসজিদ-মন্দিরের উন্নয়ন, আশ্রয়ণ প্রকল্প নির্মাণসহ অসংখ্য দৃষ্টিনন্দনমূলক কাজ করে জনগণের অন্তরে স্থান করে নিয়েছেন মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম। ফলে এ এলাকার মানুষের অন্তরে মায়া চৌধুরী বিকল্প কাউকেই চিন্তা করতে পারেনা। আর উন্নয়নের কথা বললেই মায়া চৌধুরীর কথা স্মরণ করেন। এবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-২ আসন থেকে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে প্রার্থী হয়েছেন। নির্বাচনী এলাকায় মায়া চৌধুরীর পক্ষে গণজোয়ার বইছে। ইতিমধ্যে দেখাগেছে মায়া চৌধুরীর যেখানেই পথসভা, উঠান বৈঠক সেখানেই জনসমুদ্রে পরিণত হয়।

কিংবদন্তী এই রাজনীতিবিদ মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম স্বাধীন বাংলার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একনিষ্ট সহচর ছিলেন। তিনি নিজের জীবনকে বাজি রেখে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে মানব প্রাচীর তৈরি করে রক্ষা করেন। শুধু তাই নয়, জাতীয় ৪ নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, মোঃ কামরুজ্জামান, মোঃ মনসুর আলী, তাজউদ্দিন আহমদ এর সাথে কেন্দ্রীয় কারাগারেও বন্দী ছিলেন। ভাগ্যক্রমে মায়া চৌধুরী বেঁচে যান। উল্লেখ্য, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম এমপি ১৯৪৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারী চাঁদপুর জেলার বৃহত্তর মতলব উপজেলার মোহনপুরের সমভ্রান্ত চৌধুরী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

পিতা মরহুম আলী আহম্মদ মিয়া, মাতা-মরহুমা মোসা. আক্তারুন্নেছা। মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও ইসলামের ইতিহাসে এমএ পাশ করেন। পরে তিনি এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। জনবান্ধব ও সঙ্গীত পিপাসু মায়া চৌধুরী মিউজিক কলেজ থেকে আই মিউজিক পাশ করেন। ১৯৬৫ সালে ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। তৎকালীন পাকিস্তান আমলে ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন এবং সফলতা অর্জন করেন। ১৯৭১ সালের জুন মাস। একদল গেরিলা যোদ্ধা রাজধানী ঢাকা শহরে ভয়াবহ আক্রমণের পরিকল্পনা করছিলো। এরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুুদ্ধকালীন ২নং সেক্টরের ক্র্যাক প্লাটুন সদস্য। তাদের টার্গেট হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অবস্থানরত বিদেশি পর্যটক, রাষ্ট্র্রদূত ও গণমাধ্যমকর্মীসহ বিশ্বের কাছে বাংলাদেশে চলমান ভয়াবহ মুুক্তিযুদ্ধের বার্তা পৌঁছানো। দিনের আলো পেরিয়ে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসতেই ক্র্যাক প্লাটুন সদস্যদের বোমার ভয়াবহ শব্দে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল’সহ আশেপাশের এলাকা প্রকম্পিত হয়ে উঠলো। বিশ্বের মানুষের কাছে বার্তা পৌঁছালো বাংলাদেশে মরণপণ মুক্তিযুদ্ধ চলছে। এ অপারেশনে নেতৃত্বে ছিলেন মতলবের কৃতিসন্তান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম এমপি।

১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। যুদ্ধকালীন সময়ে ২নং সেক্টরের ক্র্যাক প্লাটুনের কমান্ডার হিসেবে বীরত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন ও মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ‘বীরবিক্রম’ খেতাব লাভ করেন। ব্যক্তি জীবনে দুই ছেলে ও এক মেয়ে সন্তানের জনক। স্ত্রী পারভীন চৌধুরী। তিনিও মতলব উত্তর-মতলব দক্ষিণের উন্নয়ন কর্মকান্ডে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছেন। স্বামীর পাশাপাশি তিনিও মতলবের উন্নয়নে ভূমিকা রাখছেন। পারভীন চৌধুরী মতলব উত্তর-মতলব দক্ষিণ উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। জেষ্ঠ্য পুত্র সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দীপু। তিনি কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রাক্তন সদস্য ও ছেংগারচর ডিগ্রি কলেজ গভর্নিং বডির সাবেক সভাপতি। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ সিএনজি এসোশিয়েশনের মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পিতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম এমপি কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে বেশি সম্পৃক্ত থাকায় তাঁর অনুপস্থিতিতে চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর

Powered by themekiller.com