রাশেদ শাহরিয়ার পলাশঃ
আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহন নিশ্চিত হয়েছে। ইতোমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের প্রার্থীও চূড়ান্ত করেছেন। আবার অনেক দল একাধিক প্রার্থীও দিয়েছেন। ২ ডিসেম্বর প্রার্থীতা বাছাই সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচন বিভিন্ন পেশা শ্রেনীর মানুষ কি ভাবছেন তা নিয়ে নাগরিক বার্তার আয়োজন নির্বাচনী ভাবনা।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে এ নিয়ে কথা হয় ইউএনবি, বাংলা সার্ভিস মফস্বল সম্পাদক ও হেড রাশেদ শাহরিয়ার পলাশ এর সাথে।
তিনি জানালেন, নির্বাচন নিয়ে এবার সবার মধ্যে ব্যাপক আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে। এর মূল কারন ১০ম সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি। তাই সে নির্বাচনে প্রায় অর্ধেকেরও বেশী আসনে আওয়ামীলীগ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে আসে।
কিন্তু এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। একথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা উল্লেখযোগ্য অংশ বিএনপির সমর্থক। তাই বিএনপির অংশগ্রহণের কারনে নির্বাচন এবার বাড়তি মনোযোগ পাচ্ছে।
শুধু তাই নয়, নির্বাচনের ঢামাঢোলে এখন সব দলই ব্যস্ত সময় পার করছে। দলগুলোর নানা মূখী তৎপরতায় প্রশাসনের ব্যস্ত সময় কাটাতে হচ্ছে। পুলিশ প্রশাসনও তৎপর রয়েছে। আর এসব নিয়ে রিপোর্ট করতে গলধগর্ম হচ্ছেন সংবাদকর্মীরাও।
এবারের নির্বাচনে এসব ছাড়াও কিছু বিশেষত্ব আছে। বৃহত্তম বিরোধী দল বিএনপি যে কারনে দশম সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়নি অর্থাৎ দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে তারাই এবার দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে এসেছেন।
তাছাড়া সবগুলো রাজনৈতিক দলও নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। এতে সব ধরনের মানুষের সম্পৃক্ততা বাড়ছে। নির্বাচনী আমেজে আছে পুরো দেশ। সব মিলিয়ে সাধারণ মানুষ এখন নির্বাচন জ্বরে আক্রান্ত। অধিকতর যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থী নির্বাচিত হবেন এটাই এখন সবার মত আমারও প্রত্যশা।