Breaking News
Home / Breaking News / হালিমার অকাল মৃত্যু,, ————- জান্নাত মারিয়া

হালিমার অকাল মৃত্যু,, ————- জান্নাত মারিয়া

হালিমা পেটে ব্যথায় কাতরাচ্ছে,
কিছুক্ষন পর পর,, চিৎকার করে বলছে আল্লাহ গো বাঁচব না,
চারপাশে মুরুব্বী কয় েকজন বসে আছে,
,তারা কানাঘুষো করছে,
এই তো বাচ্চা কাছাকাছি চলে এসেছে,
আধ ঘন্টা এক ঘন্টার মধ্য ডেলিভারি হয়ে যাবে,,
থেকে থেকে হালিমা চিৎকার করে,
আর শাশুড়ি মা বলে,
আসলে বউ মা তোমার ধৈর্য্য নেই,,
মা হতে গেলে অনেক কষ্ট হয়,,
আমাদের ও হয়েছে,,
আমরা এমন করিনি,,
হালিমা ব্যথার যন্ত্রনায় দাঁত কিড়িমিড়ি করে সহ্য করে যাচ্ছে,,
রাত কেটে যায় দিন কেটে যায় ডেলিভারি হয় না,,
হালিমার স্বামী রহীম,
ক্ষেত খামারে কাজ করে ও একটি ভ্যান আছে তা চালিয়ে সংসার চালায়
১বছর হল,,
পাশের গ্রামের মাজেদ মিয়ার মেয়ে,,
একটি ভ্যান যৌতুক নিয়ে হালিমাকে বিয়ে করে,,
হালিমার বয়স মাত্র ১৬বছর,,
তার মধ্যে বাবা মা বিয়ে দিয়েছে,,
রহিমের বয়স ও বেশি নয়,,২০/২২হবে,,
এরি মধ্য বাবা হবে রহিম,,
রহিম ফজরে ভ্যান নিয়ে বেরিয়ে যায়
,বউএর জন্য লুকিয়ে লুকিয়ে একটু আধটু ফলমূল নিয়ে আসতো,
, সাস্থ আপা বলছিলো
,হালিমা বাচ্চা মানুষ ওরে পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে,
ফলমূল, দুধ, ডিম, হলুদ ফল,,নানা রকম সবজি,
রহিম চেষ্টা করে,
কিন্তু ভ্যান চালিয়ে পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার দিতে পারে নাই,
, হালিমার ননদ সে ও গর্ভবতী স্বামী বিদেশ থাকে,,
হালিমা সংসারে সব কাজ করে ভারী কলসীতে পানি আনে,,
হালিমার শাশুড়ি বলে মেয়েরা বাবার বাড়ি আশে একটু বিশ্রাম নিতে,
বউমা তুমি একটু দেখে শুনে কাজ কাম করো, ,,
হালিমাকে বলে তোমার পেট ভারী হয়েছে আর পুষ্টি খাওয়ার দরকার নেই,
তোমার ননদকে একটু দেখে শুনে খেতে দিও শশুর বাড়ি কি খায় না খায়,
হালিমার শরীরে রক্তশূন্যতা,
আর পারছে না,
এবার বুঝি জান বেরিয়ে যাবে,
শাশুড়িকে বলছে মা আমারে মাফ করে দিয়েন,বোধহয় বাঁচবো না,
রহীম সন্ধায় বাসায় আসছে,
বউ এর চিৎকার শুনে বলে হালিমাকে সাস্থ কমপ্লেক্সে নিয়ে যেতে হবে,
,মুরুব্বীরা বলে আমাদের থেকে বেশি বুঝো না,
আমরা প্রতিদিন তিন চার টা বাচ্ছা ডেলিভারী করাই,,
রহীম কারো কথা শুনছে না,
সে তার ভ্যানে করে হালিমাকে সাস্থ আপাকে সাথে নিয়ে হাসপালে যায়,
ডাক্তারের চেম্বারে রহীম অপেক্ষা করছে, খুব চিন্তায় আছে রহীম,
ফিরে গেলো পেছনে,,
হালিমার সাথে কি কি করেছে,
,গর্ভবতী অবস্থায় হালিমাকে খুব মেরেছে,
, মা বলতো শুধু একটি ভ্যান নিয়ে আমার ছেলের গলায় ঝুলেছে
,বাপের বাড়ি থেকে একজোড়া হালি গরু চাইতো মা,
মায়ের কথা শুনে কতো অত্যাচার করেছি,,
আমার শশুর ও তো গরীব,
কতো কষ্ট করে ভ্যান টি দিয়েছিলো,,
হালিমা সত্যি অনেক ধৈর্য্যশীল মেয়ে,,
আল্লাহ তাকে তুমি ভালোয় ভালোয় দুইভাগ করো,
,বর্তমান কতো কি শুনি পেট কেটে নাকি বাচ্চা বের করে,,
অনেক টাকার দরকার হয়,
,এমন হলে মা আবার নির্যাতন করবে,
সব ভাবতে ভাবতে
, ডাক্তার এলো,,
ফুটফুটে একটি শিশু নিয়ে ,,
বল্ল রহীম
তোমার ছেলে হয়েছে,
ডাক্তারের কাছে আসতে অনেক দেরি করেছো,
তাই অনেক চেষ্টা করে ও মা কে বাঁচাতে পারিনি।

Powered by themekiller.com