Breaking News
Home / Breaking News / জামালপুরে পুলিশের লাঠিচার্জে সাংবাদিকসহ আহত-১৫

জামালপুরে পুলিশের লাঠিচার্জে সাংবাদিকসহ আহত-১৫

নিপুন জাকারিয়া :
জামালপুর সদর আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঈগল প্রতীকের) ৬টি প্রচার কেন্দ্রে হামলা-ভাংচুর ও ৩টি মোটর সাইকেলে অগ্নিসংযোগ করার ঘটনা ঘটেছে। এর প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী সমর্থকরা। এ সময় পুলিশের লাঠিচার্জে ৫ সাংবাদিকসহ ১৫ জন আহত হয়েছে। একই সময় স্বতন্ত্রপ্রার্থীর ২ সমর্থককে আটক করে পুলিশ।

জানা যায়, বুধবার (৩ জানুয়ারি) রাতে জামালপুর সদর উপজেলার রানাগাছা ইউনিয়নের নান্দিনা পূর্ব বাজারের গোলাম আলী মার্কেটে, খড়খড়িয়া এলাকায় এবং মহেশপুর কালিবাড়ীসহ জামালপুর- ৫ সদর আসনের ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম রেজনুর ৬টি নির্বাচনী প্রচার কেন্দ্রে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে নৌকার সমর্থকরা হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। মহেশপুর কালিবাড়ীতেও নির্বাচনী প্রচার কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করা হয়। পরে তিনটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে নৌকার সমর্থকরা।

এই ঘটনার প্রতিবাদে স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঈগল প্রতীকের) সমর্থকরা প্রায় দুই ঘন্টা জামালপুর-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। পরে স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বরকত উল্লাহর উপস্থিতিতে পরিস্থিতি শান্ত করতে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেয়ার সময় পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অতর্কিত লাঠিচার্জ শুরু করে।

এ সময় পুলিশের লাঠিচার্জের শিকার হয়ে এনটিভির জামালপুর প্রতিনিধি আসমাউল আসিফ, চ্যানেল আইয়ের জামালপুর ক্যামেরাপার্সন বেলাল হোসেন শান্ত, বাংলার জামালপুর প্রতিনিধি নিপুণ জাকারিয়া, দৈনিক দেশ সংবাদের জামালপুর প্রতিনিধি সালাউদ্দিন মিঠু ও দৈনিক শ্রমিক বার্তার সম্পাদক শেখ আশিক মাহমুদ আহত হন। পরে তাদের জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এছাড়াও সে সময় ১০ জন ঈগলের সমর্থক পুলিশের লাঠিচার্জে আহত হয়েছে।

আহত বেলাল হোসেন শান্ত জানান, আমরা ভিডিও ধারনের কাজে ব্যস্ত ছিলাম। হঠাৎ করেই পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অতর্কিত লাঠিচার্জ শুরু করে। আমি পরিচয় দেয়ার পরও পুলিশ আমার উপর লাঠিচার্জ করে। আমার অবস্থা খারাপ হওয়ায় গতকাল রাতেই আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা শেষে আজ রাত ৯টায় আমি বাড়ি ফিরেছি।

এনটিভির জামালপুর প্রতিনিধি আসমাউল আসিফ বলেন, ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম রেজনু যখন তার সমর্থকদের সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেওয়ার জন্য করে বক্তব্য দেয়া শুরু করে ঠিক তখন পুলিশ ও র‍্যাবের সদস্যরা লাঠিচার্জ শুরু করে। এতে ৫ জন সাংবাদিক ও ঈগলের বেশ কয়েকজন আহত হয়।

সাংবাদিক নিপুন জাকারিয়া বলেন, ম্যাজিস্ট্রেডের উপস্থিতিতে বাতি বন্ধ করে প্রশাসনের লাঠি চার্জ কিছুতেই সুষ্ঠু নির্বাচনের ইঙ্গিত বহন করে না। আমার একটি দাঁত সহ দেহের বিভিন্ন স্থানে আগাত প্রাপ্ত হয়েছি।

স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম রেজনুর অভিযোগ, নৌকার সমর্থকরা ঈগলের প্রচার কেন্দ্রে সশস্ত্র হামলা চালায়। হামলায় ঈগলের ১০/১২ জন কর্মী আহত হয়েছে। এ সময় ৩টি মোরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে হামলাকারীরা। নৌকার নিশ্চিত ভরাডুবি জেনে তারা হামলা করে বলেও অভিযোগ করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজনু।

এ বিষয়ে জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মহব্বত কবীরের জানান, আমরা আমাদের সরকারি দায়িত্ব পালন করেছি। তারা রাস্তা অবরোধ করে রেখেছিল। আমরা অনেকবার অনুরোধ করার পরও রাস্তা ছাড়েছি। পরবর্তীতে আমরা যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার তা করেছি।
সাংবাদিক আহত হওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান, এ ব্যাপারে তার কিছু জানা নেই বলে জানান তিনি।

Powered by themekiller.com