Breaking News
Home / Breaking News / ১৫ বছর আগে মা ও স্ত্রী হত্যা করেছিলেন ছাবেদ আলী, আজ তার ফাঁসির আদেশ!

১৫ বছর আগে মা ও স্ত্রী হত্যা করেছিলেন ছাবেদ আলী, আজ তার ফাঁসির আদেশ!

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় মা ও স্ত্রীকে খুনের দায়ে ঘাতক ছাবেদ আলীকে (৬৫) মৃত্যুদন্ড দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) আসামীর উপস্থিতিতে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এজিএম আল মাসুদ এই রায় ঘোষনা করেন। রায়ে মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত জাবেদ আলীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকরের আদেশ প্রদান করেন।
ছাবেদ আলী পাকুন্দিয়া উপজেলার এগার সিন্দুর এলাকার মৃত মুসলিম মিয়ার ছেলে। ২০০৩ সালের ২ শে জুন রাতে স্ত্রী মনোয়ারা খাতুনকে (৩৫) পরকিয়া করার সন্দেহে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে, মনোয়ারার চিৎকার শুনে ছাবেদের মা জহুরা খাতুন মনোয়ারা কে বাচাঁতে এগিয়ে এলে ঘাতক ছাবেদ আলী তার মাকেও কুপিয়ে হত্যা করে।
জোড়া খুনের ঘটনায় ছোট ভাই আসাদ মিয়া বাদী হয়ে পাকুন্দিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই মিজানুর রহমান ওই বছরের ২২ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের করেন। সরকার পক্ষে এপিপি যজ্ঞেশ্বর রায় চৌধুরী এবং আসামী পক্ষে অ্যাডবোকেট লুৎফর রশিদ রানা মামলা পরিচালনা করেন।
প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে বিষপানে নবম শ্রেণির ছাত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টা! প্রেমিকের সঙ্গে পালানোর পর ফেলে যাওয়ায় বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে পাপিয়া সুলতানা সোনিয়া নামের নবম শ্রেণির এক ছাত্রী। প্রেমিক কাজলের বাড়িতে গিয়ে বিষপানে এ আত্মহত্যার চেষ্টা চালায় প্রেমিকা। বৃহস্পতিবার সকালে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানার দাদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পরে স্থানীয়রা স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে পাটকেলঘাটা লোকনাথ নার্সিং হোম ক্লিনিকে ভর্তি করে দেয়। প্রেমিক ইদ্রিস আলী কাজল (২২) পাটকেলঘাটা থানার দাদপুর পূর্বপাড়া গ্রামের রেজাউল করিম শেখের ছেলে ও প্রেমিকা সোনিয়া (১৬) একই গ্রামের মজিবার রহমান খাঁর মেয়ে। সোনিয়া মেলেকবাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী।
ছেলে-মেয়ে উভয়ের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ইদ্রিস আলী কাজলের সঙ্গে দুই বছর ধরে গভীর প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে প্রতিবেশী পাপিয়া সুলতানা সোনিয়া। পাশাপাশি বাড়ি হওয়ায় প্রায় তাদের দেখা হয়। একপর্যায়ে সোনিয়াকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করে প্রেমিক কাজল।
১০ দিন আগে পালিয়ে সোনিয়ার ফুফুর বাড়ি আশাশুনি থানার তেতুলিয়া গ্রামে চলে যায় তারা। পরে মেয়ের ফুফা সাইফুল্লাহ দুই পক্ষের অভিভাবককে খবর দিলে প্রেমিকাকে ফেলে পালিয়ে যায় প্রেমিক কাজল। এরপর থেকে তার মোবাইল নম্বরটি বন্ধ রয়েছে। কাজল বর্তমানে কোথায় অাছে তা জানে না তার পরিবার।
কোনো উপায় না পেয়ে সকালে ছেলের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের দাবি জানায় প্রেমিকা। এ সময় প্রেমিক কাজলের মা-বাবা গালিগালাজসহ তাকে মারধর করে। তাদের কাছে অপমানিত হয়ে সেখানেই বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে সোনিয়া। পরে তাকে উদ্ধার করে ক্লিনিকে ভর্তি করে স্থানীয়রা।
ভুক্তভোগী মেয়ের মা বলেন, কাজলের পরিবারের সদস্যরা আমার মেয়ের মুখে বিষ ঢেলে দিয়েছে। এরপর মেয়েকে তাদের বাড়ির পাশে স্কুলের ফেলে রাখে। প্রতিবেশী আনিছুর রহমান মেয়েকে উদ্ধার করে ক্লিনিকে ভর্তি করে। পাটকেলঘাটা থানা পুলিশের ওসি রেজাউল ইসলাম রেজা বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। তবে কেউ থানায় এখনও কোন অভিযোগ দেয়নি।

Powered by themekiller.com