Breaking News
Home / Breaking News / এইচ এস সি পরিক্ষার্থীরা কেন্দ্রে মেধা যাচাইয়ে ব্যস্ত, অভিভাবকরা সবুজ বিথীতে

এইচ এস সি পরিক্ষার্থীরা কেন্দ্রে মেধা যাচাইয়ে ব্যস্ত, অভিভাবকরা সবুজ বিথীতে

নিপুন জাকারিয়া :—

মা-বাবার অনেক স্বপ্ন থাকে সন্তানকে নিয়ে। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন এইচ এস সি পরিক্ষার্থীরা।
উদ্দেশ্য একটাই, মা-বাবার স্বপ্ন-পূরণ করা। আর এই স্বপ্ন পূরণে তাদের ছায়াসঙ্গী হয়ে আছেন অভিভাবকরা।
চলমান এইচ এস সি শিক্ষার্থীরা নরুন্দি স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে অবস্থান করলেও বাইরে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন অভিভাবকরা।
প্রতি বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও
অভিভাবকদের বসার জন্য চেয়ার ও খাবার পানির ব্যবস্থা করেছে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও বর্তমান উপদেষ্টা
বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী।
নরুন্দিতে তার হাতে গড়া জিন্নতন আফছর মহিলা ডিগ্রি কলেজ সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আসা অভিভাবকদের কাছে এই সেবা সমূহ পৌঁছে দিতে দেখা যায়।
পরীক্ষা কেন্দ্রে নেওয়ার অনুপযোগী শিক্ষার্থীদের ব্যবহৃত ব্যক্তিগত জিনিসপত্র রাখার ব্যবস্থা; শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের বিশ্রামের সুবিধার্থে অভিভাবক ছাউনির ব্যবস্থা।
পাশাপাশি জামাতা দেশ বরণ্য নন্দিত লেখক হুমায়ূন আহমেদের নামে গড়ে তুলেছেন বিনোদন মূলক পাঠাগার।
এছাড়াও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আসা শিশুরা সবুজ বিথী পার্কে বিভিন্ন রাইডে বিনামূল্যে বিনোদন নিয়ে আনন্দে মেতে উঠে।

অভিভাবক করিমুজ্জামান জানান, ছেলের পরীক্ষা সুবাদে এখানে প্রথম আসা, বসার ব্যবস্থা করেছেন ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী। এমন ব্যবস্থাকে স্বাগত জানান তিনি।
আরেক অভিভাবক সালমা বেগম জানান, বড় মেয়ের পরীক্ষা দিচ্ছে, ছোট মেয়ে প্রতিদিন সাথে আসে, বিনোদনের জন্য এমন পার্ক পেয়ে সে মহাখুশি।
পরীক্ষা শেষে গোপালপুর কলেজ থেকে পরীক্ষা দিতে আসা তাহমিনা জানান, প্রতিদিন পরীক্ষা শেষে আমাদের জন্য পানির ব্যবস্থা করেন। অভিভাবকদের বসার ব্যবস্থা করেছেন।

সেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করা শাকিল জানান, ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলীর এমন মানবিক উদ্যোগের সাথে তারা যুক্ত হতে পেয়ে খুশি।

জানা যায়, ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী, ১৯৪৭ সালের ২১ মে জামালপুর জেলার নরুন্দিতে জন্মগ্রহণ করেন। স্কুল জীবন কৃতিত্বের সাথে শেষ করে, তিনি ১৯৬৯ সালে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং (তড়িৎ) ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ১৯৬৬-৬৯ কেন্দ্রীয় ছাত্র লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সহ বিভিন্ন সামাজিক ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনৈতিক অঙ্গনের সর্বস্তরের কর্মকান্ডে সরাসরি সামিল ছিলেন। ১৯৭১ সালে তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহণ করেন। তিনি সিটিজেন গ্রুপের চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন সেক্টরে চাকুরী করে সুনাম কুড়িয়ে জামালপুরের নাম উজ্জ্বল করেছেন।
তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উন্নয়ন ধারণা সমুন্নয়ে করে, নিজ জেলায় ডিজিটাল ও স্মার্ট করে গড়ে তুলতে চান। তাই আসন্ন দ্বাদশ নির্বাচনে, নৌকা মনোনয়ন প্রত্যাশী হয়ে মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন।

Powered by themekiller.com