শিরোনামঃ সীমাহীন ছাড়।
কলমেঃ অনামিকা চৌধুরী।
তাং- ৩১/০৭/২৩-ইং
_________________________
আমি জীবনকে দিয়েছি
সীমাহীন অধিকার।
ভেবেছিলাম একটিবার জীবন
আমায় দিবে শেষ ছাড় ।
কখনো কখনো বোঝাতে
চেয়েছি ও’ কে তুমি ছাড়া
আমার এই জীবন
অতি নগণ্য।
আমার সহিত এতোটা আত্মম্ভরিতা দেখিয়ো না।
পূর্বে তোমায় আমি
এমনটা নির্দয় হতে কখনো দেখিনি।
তুমি এতটাই স্বার্থপর দিগম্বর!
আমার সঙ্গে বসত তোমার,
তবুও হয়নি তোমার একটিবারের
জন্য বোধগম্য?
আজ আমি উন্মুক্ত করেছি
আমার হৃদয়ের কপাট,
তোমার দেয়া দুঃখ ও যন্ত্রণাকে
আমার বুকের অভ্যন্তরের
আবরণী হিসেবে তুলে
নিয়েছি অদৃষ্ট পরিমাণে।
কিন্তু এতো সহিষ্ণুতা
আমার কেবলই তোমার
অভিমুখে!
হয়তো তোমারই অণুরাগে
আমি আজও অভিরত।
তাই বারংবার
তোমার কাছ থেকে গৃহীত
শত শঠতা ও প্রবঞ্চণা গুলো
কে আমি শূণ্যে ভাসাই।
ত্রুটিগুলোকে অনুধাবন
করি মার্জনীয় দর্শনে।
তুমি আমাকে যতই কর
প্রতিহত,
দিতে থাকো ব্যথা।
আমি ও বিস্মৃত হতে থাকি
অবিশ্রান্ত সীমানাহীন নীল অম্বরের অনুরূপে।
জানি শেষে ফিরবে তোমার
চৈতন্য স্বকীয়তায়,
আমার এই সকল
প্রার্থনা ও ধীরতার অনুবলে।
হয়তো সেই ক্ষণে
শত কোটি সাধনা তপস্যায়
পাবেনা আমার সন্নিধান।
নিমত্ত তাঁহার পূর্বে
আমার আমি স্বীয় ম-ম রবো
এই ধরাধামের সকল
ধরাছোঁয়ার ঊর্ধ্বে।।