★একটা ঠিকানা ★
… মনিরা ইসলাম
তাংঃ২৫/০৭/২০২৩
—————————–
হাঁটছি কেবল
যেন অনন্ত পারাপারের রাস্তা
কিসের খোঁজে কি চাই, কার কাছে-ই বা চাই?
কেন-ই বা চাই?
শুধু নিজের একটা ঠিকানা
নিজের নাম সর্বস্ব ঠিকানা
বাবার ঘরে যেদিন জন্ম হলো
ঠিকানা টার নাম হলো বাবার বাড়ি।
একুশটা বসন্ত পার করে যেদিন বিয়ের পিড়িতে বসলাম
শুনতে হলো ওটাই তোমার ঘর,স্বামীর বাড়ি
পয়তাল্লিশ টা বসন্ত গত হয়েছে
সেদিন ছেলে বললো তার বাড়ি।
বড় ঘর থেকে ছোট ঘরে শিফট করা হলো
চেক বইটায় যে অধিকার টুকু অবশিষ্ট ছিল
সেটাও মিটিয়ে দিল ছেলে
মিষ্টি সুরে ছেলে বললো তুমি এখন ঝামেলা মুক্ত।
আমিও ঠোঁটের কোণে হাসি টুকু বাঁচিয়ে বললাম
অনেক সুখী হও তুমি।
মনে মনে একটা ঠিকানা খুঁজে চলেছি
একান্ত নিজের একটা ঠিকানা
আমার নাম সর্বস্ব ঠিকানা।
মর্নিং ওয়াকে গিয়ে শুনলাম
কেউ একজন বলছে
মেয়ে মানুষের আবার ঠিকানা কি?
মেয়ে মানুষের একটাই নিজের ঠিকানা
আঙুল উঁচিয়ে কবরস্থান টাকে দেখালো!
অবাক হলাম কিছুটা
নিজেকে ধাতস্থ করে পার্কের বেঞ্চিটায় বসলাম
কবরস্থান থেকে যেন চোখ সরছেই না
ভাবতে ভাবতে কখন যে দুপুর গড়িয়ে গেছে
বুঝতেই পারিনি।
একটা হাতের স্পর্শ অনুভব করলাম
কেউ একজন বলছে এভাবে তো চলতে পারে না
পিছন ফিরে তাকাতেই ছেলে বললো
এতো কাজের মাঝে আর পারিনা তোমাকে নিয়ে।
শুধু বললাম কেন রে কি হয়েছে?
ছেলে রাগান্বিত হয়ে বললো
তোমার জন্য বৃদ্ধাশ্রমটাই ঠিক।
অন্তত টেনশন টা থেকে মুক্তি
এভাবে খুঁজতে হবে না।
হেসে বললাম তবে তাই হোক
বুঝতে পারলাম ওটাই হয়তো আমার ঠিকানা।
এখন অবশ্য একটা নাম সর্বস্ব ঠিকানা হয়েছে
আমার বৃদ্ধাশ্রমের ছোট্ট ঘরের দরজায় লেখা
মনোরমা চৌধুরি ৩৭/এ।
—————————–
(পাণ্ডুলিপি সংরক্ষিত)
রচনা কালঃ ২৫/০৭/২০২৩
সিরাজগঞ্জ।
——————————————-
তার সঙ্গে একা একা ।। (গল্প)
————————–
নিখিল বিশ্বাস ।। ২৫.০৭.২০২৩.
—————————
তার আসার সময় হয়েছে। তিন যুগ পর সে আসবে। কাল থেকেই সুরঞ্জনার বুকে একটা আনন্দের বাজনা বাজছে। আবার একটা শঙ্কাও আছে। বিনয় ব্যাপারটা ঠিক কেমন ভাবে নিচ্ছে বোঝা যাচ্ছে না।
সুরঞ্জনার মেয়ে মেঘা তাকে আনতে এয়ারপোর্ট গেছে। তার অবশ্য মনে কোন টানাপোড়েন নেই। সে বোধ হয় মায়ের প্রাক্তন ঘনিষ্ট বন্ধুকে দেখার মধ্যে একটা অন্য অনুভূতি খুঁজছে ।আর তাই সুরঞ্জনা বলার সঙ্গে সঙ্গেই এয়ারপোর্ট যেতে রাজি হয়ে গেছে। অন্য সময় হলে এতো সহজে যেতে চাইতো না।
সুরঞ্জনার ইচ্ছে ছিলো আজ একটা সবুজ শাড়ী পরবে , ওর ওই রঙের শাড়ি খুব পছন্দের।কিন্তু সে আজ বেশি সাজগোজের দিকে গেলোই না ,পাছে বিনয় ভুল বোঝে, মনে মনে ভাবে স্বামীর চেয়ে প্রাক্তন বন্ধুর জন্য এখনো বেশি টান।
সকালবেলা বিনয়কে বাজারে পাঠিয়ে বলেছিলো ইলিশ মাছ, চিংড়ি আর মটন নিয়ে আসতে। সবই এনেছে কিন্তু আজ যেন তার মধ্যে তেমন উচ্ছলতা ছিলো না। হতে পারে সুরঞ্জনার ভুল ধারণা অথবা আজ বিনয়ের শরীরটা তেমন ভালো নেই।
আজ বিনয়ের ছুটির দিন। কুণাল আসবে সে জানে, সুরঞ্জনা তাকে আগেই বলে রেখেছিলো যাতে আজ সে কোথাও না যায়, তবু সে হঠাৎ কোথাও বেরিয়ে গেলো। সে কি কুণালকে এড়িয়ে যেতে চাইছে !, বউয়ের প্রাক্তন বন্ধুকে সে কি সহ্য করতে পারছে না !
সুরঞ্জনা এখন ঘরে একা। ভীষণ ছটপট করছে। এতদিন পর কুণাল কি সেই আগের মতোই আছে! নাকি পাল্টে গেছে।
কম কথা বলা ওর স্বভাব। সুরঞ্জনাই বকবক করতো বেশি, কুণাল শুধু শুনতো, তার ছিলো অসংখ্য কবিতা, সব যেনো সুরঞ্জনাকে নিয়েই লেখা। অল্প স্বল্প যাই বলতো তাতেই সুরঞ্জনা মুগ্ধ হয়ে যেতো। মনে হতো কুণালই তার সব। বন্ধুদের সঙ্গে কোথাও গেলে কুণালের অবশ্যই থাকা চাই, নয়তো সে যেতোই না।
তবে কুণালকে নিয়ে ঘর বাঁধার স্বপ্ন সে তেমন ভাবে কোনদিন দেখেনি, আবার কুণালকে সে হারাতেও চায়নি। সে চেয়েছে কুণাল চিরদিন তাকেই ভালোবাসুক।
কিন্তু বিয়ের পর তাদের যোগাযোগ তেমন ছিলো না, কুণাল মাঝে মাঝে ফোন করলেও সুরঞ্জনাই সংসারের জটিল গোলক ধাঁধায় আটকে কমই ফোন করতো, আর এভাবে সম্পর্কটা ধীরে ধীরে ফিকে হয়ে গেলো।
কুণাল মুম্বাই থাকে, কোন একটা মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানিতে এক্সিকিউটিভ, সময়ও পায় খুব কম। কোলকাতা আসেই না। আজ বহুদিন পর কোলকাতা আসছে। দুদিন থাকবে। একদিন সে সুরঞ্জনার সঙ্গে কাটাতে চায়। বিশেষ করে বিনয় এবং মেঘাকে সে দেখেনি, তাদের সঙ্গে একদিন কাটাতে চায় । সে নিজে তো বিয়ে থা করলো না, সুরঞ্জনার সংসার দেখতে চায় সে।
মেঘা কুণালকে নিয়ে ঘরে ঢুকলো। কুণাল আর সুরঞ্জনা এখন মুখোমুখি। মেঘা বললো, এই নাও মামাকে, আমি চললাম রাজন্যার বাড়ি, মামার সঙ্গে রাস্তায় আমার অনেক কথা হয়েছে, তোমরা কথা বলো। আমি বরং তোমাদের জন্য কফি করে আনি, তারপর আর আমাকে পাবে না।
কফি আর স্ন্যাকস রেখে মেঘা বেরিয়ে গেলো। সুরঞ্জনা আর কুণাল ছাড়া ঘরে আর কেউ নেই। সুরঞ্জনা জানতে চাইলো, পথে তোর কোন অসুবিধে হয় নি তো ?
কুণাল বললো, কিসের অসুবিধে, অফিস থেকে সোজা এয়ারপোর্ট, তারপর কোলকাতা, তোদের ট্যাক্সিতে মেঘার সঙ্গে তোর ঘরে, অসুবিধে হবে কেন। তা তোর প্রভুকে দেখছি না!
– ও একটু বেরিয়েছে। একটু পরেই ফিরে আসবে। তুই বরং ফ্রেশ হয়ে নে। ওরা ফিরে এলে আমরা ডিনার করবো।
কুণালের কেমন অস্বস্তি হচ্ছিলো। কি বলবে ভেবে পাচ্ছিলো না।
সুরঞ্জনাও যেন কোন কথা খুঁজে পাচ্ছে না। কি বলবে। তবু কিছুটা জড়তা কাটিয়ে জিজ্ঞেস করলো, তুই ভালো আছিস তো কুণাল ?
কুণাল হাসলো, ভালোই আছি।
শুনে সুরঞ্জনা যেন খুশি হতে পারলো না, তার মানে সুরঞ্জনা ছাড়াও সে ভালোই আছে কিন্তু আগে তো তার সব কবিতা শুনলে মনে হতো সুরঞ্জনাকে ছাড়া সে বাঁচবে না!
কিন্তু সে বিয়ে করেনি কেন! এতোদিন মনে হয়েছিলো সে হয়তো সুরঞ্জনার বিরহে বিয়েথা করে নি, কিন্তু এখন মনে হচ্ছে সুরঞ্জনার ধারণা ভুল।
সে জিজ্ঞেস করলো, তুই বিয়ে করিস নি কেন?
কুণালের উত্তর, কাজের চাপে সময় হয় নি রে, তাছাড়া সংসারের ঝামেলা আমি পোহাতে পারতাম না, তাই ওদিকে মাড়াই নি ।
সুরঞ্জনা এবারও আশাহত হলো। কুণাল তো বলতে পারতো, তোকে হারিয়েছি, কাকে আর বিয়ে করবো, বল, তাই করিনি !
কুণাল একবার মাত্র হাত ধরেছিলো সুরঞ্জনার, চোখমুখ দেখে মনে হয়েছিল সে আরো একটু এগুতে চায় কিন্তু সুরঞ্জনা তাকে প্রশ্রয় দেয়নি, আজ সে যদি সুরঞ্জনার কাঁধে হাত রেখে সেদিনের মতো চুমু খেতে চাইতো তাহলে হয়তো সুরঞ্জনা আজ তাকে ফিরিয়ে দিতো না, একটা চুমুই তো!
কিন্তু কুণালের চোখে মুখে সে রকম কিছুই লক্ষ্য করেনি সে ।
সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হচ্ছে। সুরঞ্জনা আর একবার কুণালের জন্য কফি বানিয়ে এনেছে, কতো কথা জমা হয়ে আছে দুজনের, কিন্তু কেউ বিশেষ কিছুই বলতে পারছে না অথবা দীর্ঘদিনের খরায় শুকিয়ে গেছে দুজনের কথা। টুকটাক কিছু কথা হচ্ছে ঠিকই, সে যেন অচেনা দুজন মানুষের কথা। মনে হচ্ছিলো এখনই বিনয় আর মেঘা ফিরে এলে ওরা বাঁচে।
হঠাৎ বাইরে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি। তুমুল বৃষ্টি। একটানা অনেকক্ষণ।বিকেলেও আকাশ পরিষ্কার ছিলো। কোথা থেকে বৃষ্টি এলো কি জানি।।
মেঘা আর বিনয় কখন ফিরতে পারবে কে জানে।
ওরা কি ইচ্ছে করেই কুণালকে সুরঞ্জনার কাছে একা রেখে গেল ?
©️ নিখিল বিশ্বাস ।।
——————————————-
দুই পৃথিবী
পিতৃ মাতৃ দিবসে
সোনালীর কলমে
এক মাতা দিলো নিথর ধড়ে জীবন ভঙ্গী
আরেক মাতা দিলেন একান্ত জীবন সঙ্গী।
এক পিতা দিলো মেলা থেকে কিনে চুড়ি
আরেক পিতা দিলেন সে দুহাতে দায়িত্ব জুড়ি।
এক মাতা দিলো শিক্ষা দিক্ষা জ্ঞানদান
আরেক মাতা দিলেন জীবনমুখী অভিযান।
এক পিতা দিলো আদর্শ ন্যায়ের তাল
আরেক পিতা দিলেন সংসারের হাল।
এক মাতা দিলো মায়া মমতা ত্যাগের ছবি
আরেক মাতা দিলেন নিজস্ব অধিকারের চাবি।
এক পিতা দিলো শৈশব স্মৃতির অতীত
আরেক পিতা দিলেন বর্তমান জীবনের গতিক।
——————————————-
“তারা ও সৃষ্টিকর্তার অপূর্ব সৃষ্টি ”
জসিম উদ্দিন”অচিনপুর ”
২৪/০৭/২০২৩!
একটু সুন্দর চরিত্রে দেখুন না তৃতীয়
লিঙ্গের মানুষগুলোকে, তাদেরও আত্ম
সম্মানবোধ আছে, তাদেরও রাগ
অভিমান আছে, তারাও সমাজ নিয়ে
বাঁচতে চায়,
আসুন না তাদের সাথে একটু ভালো আচরণ করি, আসলে তাদের চাহিদা তেমন একটা বেশি না,
সামান্য দশ টাকা,পাঁচ টাকার জন্য আপনার,
আমার, দরজায় আসে, তাহলে দশ টাকা পাঁচ টাকা দেওয়ার নামে আমরা কত না কুৎসিত ভাষা ব্যবহার করি তাদেরকে,
এই মিশ্রিত ভাষাগুলো কতটা যৌক্তিক?
আসলে যাদেরকে আমরা হিজড়া
জনগোষ্ঠী বলে আখ্যায়িত করি,
হিজড়া মানুষগুলো আমাদের মতই
রক্তে মাংসে গড়া,
তাহলে আমরা কেন বরাবরই তাদেরকে
লাঞ্ছিত, নির্যাতন’ অপমান অপদস্ত করে
যাচ্ছি? তারও সৃষ্টিকর্তার অপূর্ব সৃষ্টি,
তাদেরকে নিয়ে এমনটা না করলেও পারি
আমরা!
তারা সমাজের কাছে অবহেলিত,
একটাবার সুস্থ মস্তিষ্ক নিয়ে সজ্ঞানে চিন্তা
করে দেখুন?আপনি আমি যেখান থেকে
এসেছি, তারাও সেখান থেকে এসেছে,
হয়তো তারা শারীরিক কিছুটা সমস্যার
কারণে তাদেরকে আমরা কুৎসিত ভাষায়
হিজড়া বলে কতনা গালি দিয়ে যাচ্ছি।
আসুন মানুষ হয়ে মানুষকে ভালোবাসি,…কিন্তু….?
——————————————-
আমি জানি মা
মাহবুব খান
আমি জানি মা ভালো নেই তুমি
আরও না-কি ঘনীভূত হয়েছে তোমার ডান চোখে ছানি।
ইদানিং চোখে বড্ড কম দেখছ
ঘোলাটে হয়ে গেছে চশমার দু’কাঁচ
অনেকদিন ধরে কষ্ট পাচ্ছ!
ডান হাঁটু ফুলে গেছে বাতের ব্যথায়
শীত আসলে আরও বেড়ে যাবে জানি
নামাজে খুব কষ্ট হচ্ছে বুঝি?
অনেক দিন নিয়ন্ত্রনহীন ঘাতক ডায়বেটিস
ইনসুলিনে যাচ্ছে না দ্রোহ !
জানো সেদিন বাজার থেকে
একটা সামুদ্রিক রিঠামাছ কিনতে গিয়েও কিনতে পারিনি
তোমার কথা মনে করে।
তুমি না খুব ইলিশ পছন্দ কর
মাছের দোকানি খাজা অনেক সেধেছিল
ও জানবে কি করে কেনো ওই মাছ সেদিন কেনা সম্ভব হয়নি?
তুমি চলে যাবার পর বহু দিন ইলিশ ভুলে গেছি।
অনেক দিন আগে তোমার বাম পায়ের পাতায় বিধেছিল খেজুরের কাঁটা
অমাবশ্যা-পূর্ণিমায় মাথাচাড়া দিত ওই ব্যথা।
বাজারে পদ্মার ইলিশগুলো আরও চকচকে হয়েছে রুপালি
ওদের ঘোলাটে চোখে তোমার ম্লানছায়া খেলা করে
আমি বিচঞ্চল হয়ে উঠি।
রান্নাঘরের পাশে নতুন পেয়ারা গাছটাতে
দুটো পেয়ারা বড় হবে বলে গাছেই ন্যাকড়া জড়িয়ে রেখেছিলে।
একদিন রাতে বাদুরে খেয়ে গেলে তুমি খুব কষ্ট পেয়েছিলে
আমাকে পাঠাবে বলে কতদিন চোখে চোখে রেখেছিলে !
তোমার পোষা দুটো আদুরে কাতলা মাছ
বানের জলে পালিয়ে গিয়েছিল প্রতিবেশী বালাদের পুকুরে
ওদের কথা মনে করে আজো তুমি কষ্ট পাও।
গোসলে নামলে ওরা তোমার শাড়িতে জড়াতো
যেন তোমার প্রিয় সন্তান তোমাকে সারাক্ষন ঘিরে থাকতো!
তুমি জানো না ভালোবাসার অন্য নাম কষ্ট?
মা-তোমাকে আজও খুব ভালোবাসি
আমাকে একদিন মুণ্ডুকাটা রুপোর টাকার
সাথে একটা অক্ষত মৃগনাভি কস্তুরি দিয়েছিলে।
গভীর রাতে বাক্সখুলে বের করে ওদের স্পর্শ করলে
বুকের ভিতরে নিলে
আজও আপ্লুত হই তোমার অবিনশ্বর ভালোবাসায়।
তোমার আঁচলের চিরচেনা ঘ্রাণ
আজও আমাকে নোনাজলে ভাসায়।
মাহবুব খান-এর কাব্যসম্ভার
——————————————-
বসন্ত উৎসব
লেখিকা – তৃপ্তি সুধা মণ্ডল
তারিখ -25/7/2023
সময় রেখে যাচ্ছে পদ চিহ্ন।
চুরি হয়ে যাচ্ছে
জীবনের মাধুর্য্য!
পড়ে থাকছে জীর্ণ
পাতা ,
তবুও বুকের মাঝে
সীমাহীন আশা,
বাঁচার !
এ লড়াই সবার
সেই আদিকাল থেকে
বেচেঁ থাকার লড়াই,
জঙ্গলে শহরে –
তবুও মানুষ
নির্যাতিত হয় মানুষের কাছে
বড় বিস্ময় !
পশুতে যত না মানুষকে খায়
মানুষ মানুষকে খায় তার থেকে ও বেশি,
এ কাহিনী
সবাই জানে কম বেশি।
তাই চাই মন বল
অন্যায়ের বিরুদ্ধে গর্জে উঠবে
মানুষ,
হ্যাঁ এই মানুষ
এরা ভালোবাসার কাছে দুর্বল
কিন্ত অন্যায়ের বিরুদ্ধে সবল ।
এরা মাঠে ফলায় সোনার ফসল
আবার বুকের মাঝে
ফাগুনে
বসন্ত উৎসব।
——————————————-Banglarmukhnews24.com