Breaking News
Home / Breaking News / দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

নামতে ভালোবাসি

স্বরেআ কাদির

এক সমতলে জমায়েত ছিলাম অনেকে
কালের পরিক্রমায় সবাই উপরে আজ!
আমিও চেষ্টা করেছি —-
কিন্তু বারবার আছড়ে পড়েছি অতলে।
সবাই যখন উপরে উঠায় মগ্ন
তখন আমি নেমেছি নিচে।
এক ফিট,দুই ফিট, তারপর হাজার
একসময় সংখ্যা আর গুণিনি
শুধু নেমেছে,নেমেছি অতলের অতল গহ্বরে,
এ নামার শেষ নেই যেন।
আমি নামছি—- নামার মাঝে খুঁজে পেয়েছি এক পৈশাচিক আনন্দ।
আমি আজ নামতেই ভালোবাসি।

——————————————–
. বোদ্ধা

ক্যানভাসে শিল্পী পরম যতনে সৃজনে ব্যাপিত রহেন
কাজের ফাঁক ফোঁকরে মেপেজুকে আলাপ সারেন।
আমাদের নজরে যাহাকে বলি শুধু আঁকিবুকি
শিল্পের ভাষায় ইহাকেই বলে ছবি আঁকাআকি।
খাবলা খাবলা গাবলা গাবলা এখানে ওখানে
যতটুকু পারিয়াছে রঙ ছড়াইয়াছে সেখানে।
খাইয়া দাইয়া কাজ না থাকিলে এমনই করে
রঙের পর রঙ মারি তুলিতে বাহাদুরি ধরে।
আম জনতার শিল্প ভাবনার এমনই ভাব
জ্ঞানী গুনী বিদ্যজনের ধরনীতে নাই অভাব।
শিল্প কলার কলাটা পাইলে তাহাও মোরা গিলি
শিল্প বলিতে বুঝি কেবল রঙ আর রাঙা তুলি।
সবুজ হলুদ বেগুনী আসমানী কমলা নীল
লাল কালো সবই ভালো সাতটি রঙ ঝিলমিল।
রংধনুর রঙগুলো মাথায় করছে কিলবিল
আমাদের কাছে কাককেও মনে হয় গাঙ চিল।
বক নাকি কাক বুঝিনা কিছু আন্দাজে ছুড়ি ঢিল
রঙের বাহারে বাহাদুরি নীলাম্বরি নাকি নীল?
আমরা সবাই অসাধারণ দারুণ বুদ্ধিজীবি
আসল কাজের বেলায় তাই খাইতে হয় খাবি।
আসল নকল জানিনা চিনিনা মানিনা কিছুই
ফাল হয়ে বের হইতে পারি ঢুকিতো হয়ে সুই।
আমরা পরম বোদ্ধা নইতো যোদ্ধা তবুও লড়ি
সারাক্ষণ টানাটানি শেষে চাইয়া দেখছি দড়ি।

ফারুক আহম্মদ
চৌগাছা, যশোর।
২২.০৭.২৩

——————————————–
কিছু কথা….
সুমন চৌধুরী

আমি কিংবা আমরা জন্মগতভাবে মুসলিম, হিন্দু, খৃষ্টান ইত্যাদি হতে পারি, কোন ধর্মই আপনাকে মানবতা বিরোধী কর্মকান্ড শেখাবে না, আপনার বাবা হতে পারে কৃষক, শ্রমিক কিংবা ফেরিওয়ালা….

আপনি যদি আপনার নিজেকে তৈরি করার পাশাপাশি বাবাকে হেল্প করেন, তাতে কখনোই আপনি ছোট হয়ে যাবেন না, আপনি যদি আপনার ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলেন, পিতার কাজে সাহায্য করেন, নিজেকে প্রস্তুত করেন ভবিষ্যতের জন্য, সমাজে সবাই আপনাকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে…

আপনার পরিবার ও সমাজ উপকৃত হবে….
অন্য ধর্মের লোকজনও আপনাকে আদর্শ হিসেবে মেনে নিবে….

কিন্তু আপনি যদি কোন রাজনৈতিক মতাদর্শের জন্য লড়তে শুরু করেন….রাতারাতি আপনার মতাদর্শের বিরোধী রাজনৈতিক দলের লোকগুলো আপনার শত্রু হয়ে যাবে….অকারণে শত্রুতা করবে…

তাই নিজেকে তৈরী করুন নিজের পিতামাতা ও পরিবারের জন্য, আপনার পরিবার যদি ভালো থাকে, প্রতিবেশী আপনাকে অনুসরণ করে ভালো পরিবার হয়ে যাবে, আর পরিবারগুলো ভালো হলে গ্রাম ভালো হয়ে যাবে, গ্রামগুলো স্বচ্ছল হলে দেশ এমনিতেই উন্নয়নে ভরে যাবে….

পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি না নিয়ে, না বুঝে, রাজনৈতিক মতাদর্শের জন্য জীবন দেয়া নেয়া এবং যুদ্ধ করা থেকে বিরত থাকুন, আপনার বাবা-মা কখনোই আপনাকে অকারণে রাজপথে লাফালাফি করে মরার জন্য জন্ম দেয় নি….

হ্যাঁ, লড়াই জীবনের অংশ এবং কখনো কখনো লড়াইটাও ভীষণ জরুরী, যদি লড়তেই হয় তাহলে আগে নিজেকে যোগ্য করে তুলুন ও পরিকল্পনা করুন এবং সম্পূর্ণ বিশ্বাসের সাথে নিজের জন্য লড়াই করুন…..

২০.৪৫
২৫.০৫.২০২৩
ঢাকা, বাংলাদেশ

——————————————–
কবিতা:- হৃদয়েতে যার বসন্ত মেলা।
আমজাদ হোসেন।২১/০৭/২৩

হৃদয়েতে যার বসন্ত মেলা লেগে থাকে সব দিন,
কোকিলের কাছে চায়না সে কোনো পিরিতি গানের ঋণ।
আমার এ বুকে জমা আছে এক সাগর প্রেমের হাসি,
পাইনি তো বড় মন যাকে দেবো এ সাগর নীর রাশি।

সুখের ঠিকানা খুঁজে বেড়াইছ বন আর বনান্তরে,
রজনী পোহাও ধরে নেবে বলে আপন বক্ষে তারে।
যবে ধরা দেই আনমনা হয়ে অবহেলে থাকো তুমি,
গভীর নিশীথে নিঃশ্বাসে তব বসবাস করি আমি।

তুমি তো তখন স্বপ্নের ঘোরে সেজে বসো মহারাণী,
বুকেতে তোমার চুম্বন এঁকে শোনাই প্রেমের বাণী।
বিরহের গান গাই বসে আমি ঘরের কোণের গাছে,
তুমি প্রিয়তমা ঘুমাও অচেতন তোমার প্রিয়র কাছে।

পারো যদি দেখো বুকের পাঁজরে ব‌ইছে যে স্পন্দন,
অনুভূত হলে শুনতে পাবে গো এ হৃদের ক্রন্দন।
*****
রচনা কাল:-০১/০৯/২২
(সংশোধিত পূণর্পোষ্ট)

——————————————–
কলমে রহিমা রউফ
শিরোনামঃ “কবির নয়ন”
তারিখঃ ২১/০৭/২০২৩
সময়ঃ রাতঃ ১১টা

কবির নয়ন,খুঁজে সারাক্ষণ; নব সৃষ্টির ভূবনে,
সৃষ্টির সুখ,বাড়িয়ে দেয় বুক!পরিতৃপ্তির কাননে।
কবির মননে,স্নায়ুর ভূবনে! যুদ্ধ চলে আপ্রান,
যুদ্ধ শেষে,বিজয়ী বেসে!কবিতার দেহে জাগে প্রাণ।

কবির কাছে প্রতিটি কবিতা,যেনো সন্তান সমতূল্য,
পরম মমতায়,হৃদয়ের খাতায়;ভালোবাসা অমূল্য।
সন্তান প্রসবে,মায়ের অনূভবে,জীবন যুদ্ধ চলে,
কবিতা ভূমিষ্টে,কবির স্নায়ু কষ্টে!কবিতা কথা বলে

মায়ের রক্ত,কষ্ট অব্যক্ত;সন্তানের দেহ; হয় গঠন,
তেমনি করে,কবিতার দেহ গড়ে;ঠিক শিশুর মতন।
মায়ের বুকে,সন্তান থাকে ! স্নেহ-মমমতার ডোরে,
কবির মননে,মায়ার কাননে;কবিতাকে রাখে ধরে।

কতো স্বপ্ন অঙ্কুরে ঝড়ে,কতো কষ্ট কবির মনোঘরে,
তবু ও কবি,এঁকে যান ছবি;পাঠকের শান্তির তরে।
একটি কবিতা,বলে ওঠে কথা!কবির শ্রম সাধনে,
কবির শ্রমফল,খুশির অশ্রু জল; পাঠকের কাননে।

কষ্ট বুকে, হাসি মুখে; কবি লিখে চলেন কবিতা,
পাঠক মনে,শান্তি এনে;স্বার্থক করো মোরে বিধাতা!
এমনি করে,আরাধনার সুরে;কবির মিনতি অবিরাম
কবির কবিতা,জড়িয়ে মমতা;পাঠককে করে প্রনাম

শব্দচাষী,মিষ্টিভাষী,অবিরাম চলে কবির সাধনা,
শব্দের চাষ, করে বারো মাস;বুকে নিয়ে যাতনা।
ভাবনার মাটিতে,রং আর তুলিতে;কবি গাঁথেন মালা
কবিতা এসে,মিষ্টি হেসে; ভুলায় মনের জ্বালা।

ব্যথা ভরা বুকে,কষ্ট রুখে,কবি লিখেছেন কবিতা,
অশ্রু সজল;তবু মনোবল,দিয়েছেন সবই বিধাতা।
সৃষ্টি সুখের উল্লাসে শান্তি হাসে;কবির হৃদ আকাশে,
পাঠকের ভালোবাসা,জাগাবে আশা;জীবনের বারো মাসে।

——————————————–
জাত বিচার
গৌতম হালদার
তারিখ – ২২|০৭|২৩ ইং

সকল কিছুর জাত বিচার হয়
ফল ও ফুলের
শষ‍্য ও দানার
কিন্তু কবিদের বেলায় নয়।

সকল কিছুর জাত বিচার হয়
জাতি জতিতে রয়
পেশায় পেশাদায়িত্ব রয়
কিন্তু কবিদের বেলায় নয়।

সকল কিছুর জাত বিচার হয়
হিন্দু, মুসলিম,বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান রয়
সমাজ,দেশের রয়
কিন্তু কবিদের বেলায় নয়।

সকল কিছুর জাত বিচার হয়
আত্নীয়তায় রয়
রক্তের গ্রুপের রয়
কিন্তু কবিদের বেলায় নয়।

জাতি ধর্ম নির্বিশেষে
সাহিতের মালা একসাথে
জাত বিচার হয়না কখনো
কবিদের সাথে।

——————————————–
Banglarmukhnews24.com.chandpur

Powered by themekiller.com