নিপুন জাকারিয়া:–
জামালপুর সদরের তিতপল্ল্যা ইউনিয়নের নারায়নপুর মধ্যপাড়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধে চলাচলের রাস্তায় বাশের বেড়া দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, তিতপল্লাতে নারায়পুর মৌজার ১২ শতাংশের একটি জমি, যার বিআরএস খতিয়ান নং- ৬২৮, বিআরএস দাগ নং-৭২৯। জমিটি নিয়ে স্থানীয় কিসমত আলীর মেয়ে আয়শা গংদের সাথে প্রতিপক্ষ খয়ার উদ্দিনের পরিবারের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। যে বিরোধ মিমাংসার জন্য এলাকায় মাতাব্বরদের নিয়ে একাধিকবার শালিশ হলেও মিমাংসা হয়নি। পরে ওয়ারিস সুত্রে পাওয়া জমিটি ফিরে পেতে জামালপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন আয়শার পরিবার। যার মামলা নাম্বার-২৯৭৮, তারিখ-১০/০৪/২০২৩ইং।
মামলা সুত্রে জানা যায়- আয়শাসহ তারা পাঁচ বোন। তাদের পিতা অনেক আগেই মারা যায় এবং তাদের কোন ভাই না থাকায়, পিতার সম্পত্তিতে তারা ৫ বোনই ওয়ারিশ হন। তাদের জমির পাশেই বিবাদী খয়ার উদ্দিন গংদের জমি আছে তারা তাদের জমিসহ আয়শা গংদের জমিও জোরপূর্বক ভোগদখল করেছে। এব্যাপারে স্থানীয় মাতাব্বরদের নিয়ে মিমাংশার ব্যবস্থা করলেও খয়ার উদ্দিন গংরা মানতে নারাজ। তারা অকথ্য ভাষা প্রয়োগসহ সেই জমিতে পুকুর খনন এবং বাঁশের বেড়া দিয়ে সহ¯্রাধিক মানুষের চলাচলের রাস্তাটি আটকে দিয়েছেও বলে জানা যায়।
স্থানীয়রা জানান- খয়ার উদ্দিনের দেয়া বাশের বেড়ার কারণে দীর্ঘদিনের আমাদের যাতায়াতের রাস্তা দিয়ে আমরা সহ¯্রাধিক মানুষ যাতায়াত করতে পারছি না। ফলে আমরা চরম ভোগান্তিতে পরেছি। তারা নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে পুনরায় যাতায়াতের রাস্তাটি সচল দেখতে চান।
এ প্রসঙ্গে খয়ার উদ্দিন জানান- জোরপুর্বক দখলের বিষয়টা মিথ্যা। আমরা প্রায় ৪০-৪২ বছর আগের তাদের সৎ ভাইয়ের কাছ থেকে জমিটি কিনে নেই। একবার ৭শতাংশ কিনি আরেক বার ৫শতাংশ কিনি। ওই ৫ শতাংশ থেকেই তারা নাকি ওয়ারিসের ২ শতাংশ পায়। তারা যদি জমি পায় তবে তাদের সৎ ভাইয়ের কাছে যাবো আমাদের এই খানে কে? বাশের বেড়া দেওয়ার কথা স্বীকার করে খয়ার উদ্দিন বলেন আমার জায়গাতে আমার সন্তানরা বেড়া দিয়েছে এতে দোষের কি।
জামালপুর
০৭-০৭-২৩