Breaking News
Home / Breaking News / কচুয়ার আশ্রাফপুরে মারধর হামলা-মামলায় হয়রানির অভিযোগ

কচুয়ার আশ্রাফপুরে মারধর হামলা-মামলায় হয়রানির অভিযোগ

মফিজুল ইসলাম বাবুল,কচুয়া:
চাঁদপুর কচুয়া উপজেলার আশ্রাফপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের গাজীর বাজারের ব্যবসায়ী সফিকুল ইসলামের দোকানে হামলা-মামলা, মারধর, লুটপাট, ভাংচুর ঘটনায় হয়রানির শিকার হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) সরজমিনে গেলে সফিকুল ইসলাম গং জানান, গত ২২ জুন সন্ধ্যা অনুমান সাড়ে ৭ টার দিকে পাশাপাশি গ্রামের ইউসুফ গং দোকানে হামলা চালিয়ে সফিকুর রহমান ও তার ছেলে এমরান কে অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাদেরকে মারধরে রক্তাক্ত জখম করে দোকান থেকে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেয়া সহ ভাংচুর করে। মারধরে আহত সফিকুল ইসলাম ও তার ছেলে এমরান হোসেন কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেয়। সফিকুল গং আরও জানান, হামলাকারী সংঘবদ্ধ দলের মধ্যে একজনকে আমরা আটক করলে, ইউসুফ গং ৯৯৯ কল দিয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ আনায়। কচুয়া থানার এসআই আনোয়ার হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে এবং ইউসুফ গং আমাদের ১১ জনকে বিবাদী করে একইদিনে বিজ্ঞ বিচারক আমলী আদালত,চাঁদপুর ও কচুয়া থানায় মামলা দায়ের করে। যাহার আদালতের মামলা নং-৩৩৪,২০২৩ ও কচুয়া থানার মামলা নং-২১, তারিখ ২৭/০৬/২০২৩ইং। শফিকুল গং বলেন-আমাদের দোকানে হামলা মারধর, ভাংচুর ও লুটতরাজের ঘটনায় থানায় অভিযোগ করেছি, কিন্তু তা রেকর্ড করা হয়নি। আমরা ইউসুফ গংদের কচুয়া থানার মামলায় কোর্টে হাজির হয়ে জামিনে আসার পর ইউসুফ গং আমাদেরকে বিভিন্ন হুমকি ধমকি দেয়া সহ হয়রানির শিকার হয়ে আসছি।

এদিকে প্রদক্ষদর্শীরা জানান, ইউসুফ গং একটি অ্টরিক্সা করে বাজারে এসে সফিকুল ইসলামের দোকানে হামলা চালায় এবং তাদেরকে মারধর করে বলে বর্নণা দেন।

ইউসুফের বক্তব্য নেয়ার জন্য চেষ্টা করা হলে- তিনি বক্তব্য না দিয়ে এড়িয়ে যায়।

এ ব্যাপারে কচুয়া থানার এসআই আনোয়ার হোসেন জানান, আমরা ৯৯৯ কল পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত বিরাজ করতে দেখে ইউসুফ গংদের যে একজনকে আটকানো হয়েছে তাকে মুক্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। পরক্ষনে ইউসুফ গং মামলা করে এবং সফিকুল ইসলামের অভিযোগ তদন্ত চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Powered by themekiller.com