হঠাৎ করেই আমার একজন কাছের
মানুষ হয়ে গেছে।
যাকে ভালোবেসে কলকাতার দিদি বলে
ডাকি।
দিদির কবিতার শব্দে আমি একেবারেই ডুবে যাই।
আমাকে তুই বলে ডাকে তুই শব্দটা আমার হৃদয়ে কম্পন সৃষ্টি করে।
দিদিকে প্রশ্ন করলাম পাহাড় ও বৃদ্ধ হয়?
” দিদি বললো হুম।
দিদি কে বললাম একটা কিশোরী কখন যৌবনে পা রাখে।
” দিদি মিষ্টি হেসে বললো তোকে ভালোবেসে বুনো ডাকি
এবার একটু মাথা কাজে লাগা ”
আমি দিদি কে প্রশ্ন করলাম একটি কিশোরী তার পরিপূর্ণ
যৌবনে পা রাখে ভরা বর্ষায়।
” দিদি মুচকি হেসে বললো তুই কি করে বূজলি —”
কারন যখন প্রথম বর্ষার টুপটুপে পরিস্কার পুকুরে আমি আমার নগ্ন পা ডুবে ছিলো।
কতক্ষন ছিলো সে এক মহাকাল জানে।।
“তারপর সময়ের সাথে সাথে পরিপূর্ণ নারী।।
“”দিদি বললো হুম প্রকৃতির টানে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে নারী।”
কিন্তু আমি ভীষণ ভীষণ পুরাতন হয়ে গেছি নিজের কাছে
নিজেই।
আয়নায় ঠিক নিজেকে মেলাতে পারি না।
আমার ভিতরে যে কিশোরী শিশু শৌলভ ভাবটার বয়স বাড়েনি।
তবে এটাও স্বীকার করছি অবহেলায় ডুবে ছিলাম।
কারন আমার দরজায় কেবলি হতাশাই কড়া নেড়েছে।
“” এবার দিদি প্রশ্ন করলো জীবনে কখনও প্রেম আসেনি
সত্যি করে বল কোন ভূমিকা নয়।’
জীবনের সব দরজা জানালা খোলা বারান্দা, উপন্যাসের পাতার সুদীর্ঘ ছাদ সবাই তো ছিলো কিন্তু ভালোবাসা
এসেছে কিনা জানি না।
ওই যে বললাম আমার দরজায় শুধু হতাশা কড়া নেড়েছে
অনাবরত।
এই হৃদয়ে গভীর অরণ্যে ভালোবাসা পলাতক ছায়া আমার ছায়া ধরে হাঁটে।
“”দিদি একটু বিরক্ত স্বরে বললো কখনো নিজেকে ভালোবেসেছিস ”
সে রকম ভালোবাসা হয়নি নিজের সাথে নিজের।
আয়নায় অসীম শুন্যতা এখানে বেদোনা আছে সুখের প্রলেপ মেখে।
পাখির মত উড়বো বলে যুগের পর যুগ অনন্ত মহাকালের
স্বেচ্ছায় আমি পরাজয় ।
মনের এপারে ওপারে শুন্যতা।
ছুঁয়ে গেছে অসংখ্য মহাকালের অসংখ্য রুপ।
“দিদি কখনও তোর দরজায় সুপ্রভাত আসেনি ”
হুম এসেছিলো মানোবতা দিতে যাকে বলে সৌজন্য সংখ্যা।
অতঃপর
দিদি মানুষকে মুগ্ধ করা কৌশল আমার নিয়মের বাইরে ছিলো।
কারন ভালোবাসা এখন বিক্রি হয় খোলা মাঠে।
জীবটা আসলে খোলা মাঠ বা খেলার স্টেডিয়াম নয়।
আমার কাছে আগামীকাল সকালটা খুব প্রিয়।
দিদি সময় ছুটছে।
সময় ও বৃদ্ধ পাহাড় হচ্ছে।
তবে দিদি ভেবে নিও তোমার বুনো ও কিন্তু
কথার পিঠে স্যাটেলাইট অনন্ত কাল জ্বলবে।
সময় আবহাওয়ার মত বদলে যায়।
তাই আমি ও বদলে যাবো মহাকালের সমুদ্রে ।তুমি আর আমি মিলে
বৃদ্ধ পাহাড়ের গা ঘেসে দাঁড়িয়ে আছি
নারী / লাজু চৌধুরী