সাথে – আব্দুল্লাহ আল মামুন রিটন
“তুমি ছিলে”
চলে গেছো তুমি কতটা পথ পিছনে ফেলে – একবার যদি দেখতে চোখের ভেজা পাতা কেমন নিস্তব্ধ হয়ে তাকিয়ে ছিলো পথের সীমানায়,
বুঝতে আমার হৃৎপিন্ডের পোস্টমর্টেম তখনই নিঃশব্দে করে গেছো তুমি।
ভালোবাসলে মানুষ কাঁদে নিতান্ত স্বাভাবিক ব্যাপার- কিন্তু আমার ভেতর ভালোবাসা ছিলো না বলেই বরাবরই দাবি তোমার,
পোড়াকাষ্ঠে জ্বলে ওঠা মন চিরকাল মেঘের আড়ালে ধামাচাপা পড়ে আছে – দেখানো যায় না যে।
মেঘের পালকে পালকে যখন তোমার প্রস্হান- আমি রংধনুর কাছে মিনতি করে দু হাত বাড়ালাম,
সাত রঙের আকাশ হয়ে পথরোধ করে দাঁড়াবো বলে – ওখানে ভালোবাসার পূর্ণতা মেলেনি – আমি নিঃসঙ্গতা মেনে নিলাম।
তখন তুমি রোড ক্রস করে অনেক দূরে নদীর কাছে নিজেকে তুলে দিলে,
নদী তোমাকে শান্তির নিঃশ্বাস দিলো- আর আমি – থাক না হয়- নাই বা জানলে।
নিঃসঙ্গতার আঁধারে সুখের পাপড়ি গুলো কেমন একটা একটা খসে পড়লো,
জানা হলো না তোমার – আমি তখন অর্ধমৃত তোমার করা পোস্টমর্টেম রিপোর্ট হাতে দাঁড়িয়ে।
বলেছিলে ভালো থেকো – ভালোই তো আছি – তোমার রাখা হাজার স্মৃতির চুম্বনে,
স্বরচিত জীবন লিপি উল্টে পাল্টে দেখছি আর ভাবছি গতকাল তুমি ছিলে স্বপ্নে রাঙা চিঠির ভাঁজে – আজকে তুমি বহুদূরে।