তোমার নামে
সারমিন জাহান মিতু
৭-০২-২০২৩
জীবনের গভীরতা খুঁজতে জানতাম না যখন -জীবন ছিলো বহতা নদীর মতো কলতান মুখরিত,
ইচ্ছের ডানা গুলো উড়তো খোলা হাওয়ার মতো তেপান্তর হতে তেপান্তর-
রোদ ছুঁয়ে খেলা চলতো অস্তমিত সূর্যটার সাথে।
কত কথা হতো নিজের সঙ্গে একাকী নির্জনে- মা বলতেন পাগলি মেয়ে আমার কার সঙ্গে বিড়বিড় প্রলাপ বকে কে জানে,
আমি খিলখিল হাসিতে বলতাম নীল জোনাকির আলো আর নক্ষত্রের নকশা পেরিয়ে যেখানে দেবতা আছে তাদের সঙ্গে স্বপ্ন আঁকি।
আজও আমি একাকী কথা বলি জীবনের ছকটা উল্টে-পাল্টে জীবন চিনতে গিয়ে হোটচ খেয়ে কুঁকড়ে উঠি নিঃশব্দে,
জীবনের জটিল অঙ্ক কষতে শূন্যস্হানে আটকে যাই ভরাট হয়না আর।
এখনো কথা বলি মনের সঙ্গে একাকী – হয়তো নিজেও টের পাইনা,
কিন্তু বলি আমি যদি আকাশ কি’বা সাগর হতে পারতাম – আমার ভেতর দুঃখ গুলো লুকিয়ে রেখে – সুখের মুক্ত তোমাকে দিতাম।
কিন্তু আমি আকাশ হতে পারিনি – পারিনি নদী হতে আপাদমস্তক শুধু নারী হয়ে বেঁচে থাকলাম,
আর তোমাকে দিলাম আমার আঁচলের বেষ্টনীতে আবদ্ধ হৃদয়।
শুধু এটুকুই আমার ছিলো – যাও তোমাকে দিলাম সর্বস্ব নিলাম করে-
এর বেশি কিছু দেবার ছিলো না – ইচ্ছে হলে সযত্নে রেখে দিও- ইচ্ছে না হয় ফিরে দিও,
দুঃখ – তাপে বুকের ভেতর পুড়ুক সেটা তোমার নামে।