Breaking News
Home / Breaking News / চাঁদপুর ফরিদগঞ্জে শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তির ঘরে দুর্ধর্ষ চুরি, সর্বস্ব লুট

চাঁদপুর ফরিদগঞ্জে শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তির ঘরে দুর্ধর্ষ চুরি, সর্বস্ব লুট

আবু হেনা মোস্তফা কামাল, ফরিদগঞ্জ:
ফরিদগঞ্জে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির ঘরে দুর্ধর্ষ চুরি সংঘটিত হয়েছে। তার নাম উত্তম দেবনাথ। এতে, নগদ চার লাখ ৩০ হাজার টাকা ও তিনটি সোনার আংটি লুট হয়েছে। সমগ্র জীবনের সঞ্চয় চুরির ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি। থানায় অভিযোগ দিতে গিয়ে কোনো কাজ হয়নি- বলেছেন উত্তম দেবনাথ। উপজেলার গুপ্টি (পশ্চিম) ইউনিয়নের ভোটাল গ্রামে চুরির ঘটনা ঘটেছে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত প্রায় তিন ঘটিকায়।

ভূক্তভোগি উত্তম দেবনাথ জানিয়েছেন, ঘটনার সময় রাত তিন ঘটিকা নাগাদ মামাত ভাইয়ের ছেলে (৩) কেঁদে ওঠে। এতে শিশুর মা’র ঘুম ভেঙ্গে যায়। উঠে দেখেন ঘরের মেঝেতে অপরিচিত যুবক হাঁটছে। তিনি চিৎকার দেন। এতে, যুবক দৌড়ে ঘর তেকে বের হয়ে যায়। তার পরনে লুঙ্গি, গায়ে কালো গেঞ্জি, মাথাসহ মুখে ক্যাপ (মাঙ্কি ক্যাপ) পড়া ছিল। গায়ের রং শ্যামলা, বয়স আনুমানিক ২৮/৩০ বছর হবে। চিৎকার শুনে উত্তম দেবনাথ জেগে ওঠেন। দেখেন, ঘরে থাকা স্টীলের আলমিরার পাল্লা খোলা ও তছনছ করা। আলমিরার ড্রয়ার, কাপচোপড় খুঁজে দেখেন নগদ চার লাখ ত্রিশ হাজার টাকা ও তিন বছরের তিনটি সোনার আংটি নেই। জীবনের সঞ্চিত সমূদয় টাকার শোকে তিনি গগনবিদারি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। কান্না ধরে রাখতে পারেননি তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী সুমিত্রা রাণি দাস (২৫)সহ বাড়ির ও আশপাশ থেকে ছুটে আসা প্রতিবেশিরা।

গতকাল (শনিবার) সন্ধ্যার পর কথা হয় উত্তম দেবনাথের সঙ্গে। কথা বলতে কষ্ট হচ্ছিল তার। কাঁদতে কাঁদতে কন্ঠ বসে গেছে। তিনি জানান, কৈশোরে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন। এতে তার কাঁধের নীচ থেকে ডান হাতের কনুইর উপরে কেটে ফেলা হয়। কিন্তু থেমে থাকেননি তিনি। শারীরিক প্রতিবন্ধীতা নিয়ে তিনি ঢাকা শহর ও এলাকায় সততার সাথে নানা জনের কাজ করেছেন। গত কয়েক বছর স্থানীয় সুমন কোম্পানীর ইটভাটায় কাজ করছেন। এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, সুমন কোম্পানীর ইটভাটায় টাকা লগ্নি করার জন্য নিজের জমানো প্রায় তিন লাখ ও আত্মীয় স্বজনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে রেখেছিলেন। রোববার সুমনকে টাকা দেওয়ার দিন ধার্য ছিল। অপর প্রশ্নের উত্তরে উত্তম দেবনাথ বলেন, লিখিত অভিযোগ নিয়ে শনিবার সকালে থানায় যাই। তখন ওসি ছিল না। ফোনে জানানো হলে সন্ধ্যায় যেতে বলেন। সন্ধ্যায় গিয়ে দেখা পাইনি। বাধ্য হয়ে অপেক্ষা করি। রাত সাড়ে ১০ ঘটিকার পর তিনি থানায় আসেন। দেখা করলে বলেছেন, কোনো ক্লু নেই। মোবাইল ফোন নেয়নি। সিসি ক্যামেরা থাকলেও একটা ব্যবস্থা করতে পারতাম। আপনার টাকার নম্বর থাকলেও কিছু করা যেতো। স্যারে লাস্ট বলছে একজন অফিসার পাঠাইবো, এখনও (শনিবার রাত (সাড়ে ৯ ঘটিকা পর্যন্ত) পাঠায়নি। “চোর আমার সর্বস্ব নিয়ে গেলো”

এ বিষয়ে জানার জন্য ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহীদ হোসেনের মুঠোফোনে কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি। এরপর, পরিদর্শক (তদন্ত) প্রদীপ কুমার মন্ডলকে কল দিলে তিনি বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না।

Powered by themekiller.com