ইকবাল মুন্না,চট্টগ্রাম ব্যুরোঃ
বরাবর,
দেশরত্ন “শেখ হাসিনা”
প্রিয় নেত্রী,অামরা বঙ্গবন্ধুকে দেখি নাই, দেখেছি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ হৃদয়ে ধারণ করা বঙ্গবন্ধুরই হাতেগড়া সৈনিক একজন সাদা মনের মানুষ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শ্রদ্ধেয় মফিজুর রহমানকে।
যার অাদর্শ, নৈতিকতা, উদারতা, রাজনৈতিক শিষ্টাচার এবং দেশপ্রেমে জাতির পিতার আদর্শের ছোঁয়া। যার জীবনের প্রতিটি মুহুর্তে রয়েছে আপোষহীন সংগ্রামের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। শ্রদ্ধেয় মফিজুর রহমান ভাইয়ের রাজনৈতিক ইতিহাসে চোখ বুলিয়ে দেখলেই বুঝতে পারি তিনি ছাত্রজীবন থেকে আজ অব্দি যেখানেই ছিলেন আওয়ামীলীগের এই অকুতোভয় এই সৈনিক সেখানেই জাতির পিতার আদর্শের আলোকবর্তিকা হাতে পথ দেখিয়েছেন কর্মীদের।
দলীয় স্বার্থে হাঁসিমুখে বরণ করেছেন হাজারো নির্যাতন ও লাঞ্চনাকে। প্রিয় নেত্রী, ১৯৭৫ এর চরম দুঃসময়ে চট্টগ্রামে নেতাকর্মিদের সাথে নিয়ে মফিজুর রহমান সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে প্রতিবাদ গড়ে তোলেন এবং ১৯৯০ সনে স্বৈরাশাসক এরশাদ চট্টগ্রামে অাসলে মফিজুর রহমান প্রতিরোধে করলেই এরশাদ ফিরে যেতে বাধ্য হন, ফলে তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে পুলিশ এবং অাটক করে অমানসিক নির্যাতন করে৷
প্রিয় নেত্রী, ১৯৯২ সনে লালদীঘিতে রাজাকার গোলাম অাজমকে প্রতিরোধ করলে ৪ ঘন্টা সম্মুখ যুদ্ধে মফিজুর রহমান এর হাতে গড়া ৬ জন নেতাকর্মী শহীদ হন এবং মফিজুর রহমানকে ৭ টি মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেন।১৯৯৬ তে অসহযোগ অান্দোলনে মফিজুর রহমান ভাইয়ের ১৩ জন নেতাকর্মী শহীদ হন
এবং মফিজুর রহমানকে ২ টি মিথ্যা হত্যা মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হয়।
১/১১ এ কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবকলীগ এর দায়িত্বপালনকালে অাপনার মুক্তির দাবিতে সারাদেশে লিফলেট পোষ্টারিং সহ চট্টগ্রামে ব্যাপক অান্দোলন গড়ে তোলেন।এভাবে অান্দোলন সংগ্রামে অাপনি দক্ষিণ জেলা অাওয়ামীলীগ এর সাধারন সম্পাদক নির্বাচন করিলে দক্ষিণ জেলার সকল নেতাকর্মী দের পার্টি অফিসমুখী করাসহ নিয়মিত রাজনৈতিক সকল কর্মসূচি পালন করে অাসছেন।
প্রিয় নেত্রীঃঅাপনি বলেছেন ত্যাগীদের মূল্যায়ন করবেন, অামাদের একটাই দাবী চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সর্বোস্তরের মানুষের আশা ভরসার শেষ আশ্রয়স্থল প্রিয়নেতা মফিজুর রহমানকে অাগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম ১৪ আসনে অাওয়ামীলীগ এর প্রার্থী করা হোক।
লিখেছেন
এস,এম জাহিদুল ইসলাম
ছাত্রলীগ নেতা
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা