Breaking News
Home / Breaking News / দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

শিরোনাম- শব্দেরা আজ আন্দোলনে
কলমে -সর্বানী দাস
৩০.১০.২২

শব্দরা আজ জোটবদ্ধ হয়ে
দিয়েছে ধর্মঘটের ডাক,
রুদ্ধ মনের দক্ষিণ দুয়ারে
তারা ধর্নায় বসেছে আন্দোলনে,
কিছু তেজয়ালি শব্দের হুংকারে
আকাশ বাতাস হচ্ছে আন্দোলিত,
প্রতিবাদে প্রতিবাদে মুখরিত হচ্ছে
ধর্মঘটের দাবী দাওয়া।
কিছু শব্দ আবার অশ্রুসিক্ত হয়ে
দেওয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে দিয়েছে,
তারা আতঙ্কে ভয়ে তটস্থ,
হতবাকের দৃষ্টিতে বিশ্বাস ভাঙার কান্না।

মনের মালিক পড়েছে মহা দ্বন্দ্বে,
তেজওয়ালি শব্দের শানিত আঘাতে
কখনো কখনো ক্ষতবিক্ষত হয়ে পড়ে
হার মানতে বাধ্য হচ্ছে,
কখনো আবার করুণ কাতর শব্দকে
পদলেহনে পৃষ্ঠ করে দলছে অবিরত।

তবু ধর্মঘট থেমে যায়নি,
শব্দরা আজও আন্দোলন চালাচ্ছে অহরহ,
বিতর্কের ডংকা দুমদুমি নিনাদে বাজছে,
বিচ্ছেদের ধ্বজা উড়িয়ে স্বার্থপর মন
আঘাত হেনে বিচ্ছিন্ন হতে চাইছে বারবার
শব্দের করুন কাতর মায়াজাল ছিন্ন করে।

আমি ও সেই ধর্মঘটের সাক্ষী,
বিতর্কের ঝড়ে আমিও বিধ্বস্ত,
বিচ্ছেদের কান্নার ঢেউ
আমায় ভাসাচ্ছে নোনা জলে,
পারবো কি আমি এই ধর্মঘট,
এই আন্দোলন বন্ধ করতে?
না! আমি প্রতিমুহূর্তে হারাচ্ছি,
তলিয়ে যাচ্ছি মস্তিকের খেলাঘরে,
মনের মালিক আজ শব্দের সাথে যুদ্ধে ক্লান্ত,
তবু চলছে চলবে শব্দের আন্দোলন।

——————————————–

৩০.১০.২২.
ইষ্টি কুটুম মিষ্টি কুটুম
এম.আর.মনজু

ইষ্টি কুটুম মিষ্টি কুটুম
মিষ্টি গাছের কুল
ইষ্টি কুটুম বাড়ি এলে
মনে লাগে দোল।

ইষ্টি কুটুম মিষ্টি কুটুম
আবার এসো বাড়ি
আর যদি না আসো তবে
তোমার সাথে আড়ি।

——————————————–
সাইলেন্ট লাভ
স্বপন কুমার বৈদ্য
তারিখ ঃ ৩০/১০/২০২২ ইং
~~~~~~~~~~~~~~~~
টুসির মনটা আজ ভালো নেই। যেদিকেই যাচ্ছে হোঁচট খেয়েই চলেছে। সকালে এক ঘনিষ্ঠ বান্ধবীর সাথে হলো মনোমালিন্য। দুপুরের পর কলেজ থেকে ফেরার পথে রিক্সার হুড খোলা ছিলো। ব্যাস একটা উড়ন্ত কাক টস করে পায়খানা করে দিলো মাথায়। সেটা চুঁইয়ে আবার সালোয়ারে এসে চুনের দাগ বসিয়েছে। ঘেন্নায় গা ঘিনঘিন করছে। সন্ধ্যায় টিউটরের মাথায় পোকা ঢুকেছে। হিড়হিড় করে বের হয়ে চলে গেলো। টেবিলে নাস্তা যেমনটি দেয়া হয়েছে তেমনটি রয়ে গেছে। যাওয়ার সময় বলে গেলো কাল থেকে আসবে না। এমন কি টিউশনির বেতনও নিতে আসবে না।
টিউটর হিসেবে বেশ ছিলো শান্তনু। চুয়েটের ছাত্র। ব্রিলিয়ান্ট তো বটেই। দেখতেও হ্যান্ডসাম ও স্মার্ট।
শান্তনু যেদিন টিউটর হিসবে প্রথম পা রেখেছিলো টুসিদের বাসায় সেদিন থেকেই ওকে টিচার হিসেবে নয় একজন বেস্ট ফ্রেন্ড হিসেবেই মনে হয়েছে টুসির।
মনে মনে ওকে নিয়ে হাজারো স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছিলো টুসি।
আকারে ঈঙ্গিতে টুসি শান্তনুকে অনেকবার বোঝাতে চেয়েছে যে টুসি শান্তনুকে ভালোবাসে। সত্যি সত্যিই ভালোবাসে।
কিন্তু শান্তনু বুঝেও কেন না বুঝার ভান করে সেটা কিছুতেই বুঝতে পারে না টুসি।
শান্তনু যেদিন বলেছিলো যে পরদিন থেকে সে আর আসবে না ঠিক তখন টুসির বুকের ভেতরটা কেমন যেন মোচড় দিয়ে উঠেছিলো।
শান্তনুকে কিছু একটা বলবে বলবে ভেবে ওর পিছু পিছু রাস্তায় পর্যন্ত যাওয়ার পরও আর তাকে বলা হয়ে ওঠেনি।
এর পর বালিশে মাথা গুঁজে মুখে ওড়না প্যাঁচিয়ে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে অনেক কেঁদেছে টুসি। কিন্তু এখন আর কেঁদে কি হবে। অঘটন যা ঘটার তাতো ঘটেই গেছে।
রাতে কিছুই মুখে দেয়নি টুসি। মায়ের আদর মমতা স্নেহ খাওয়ার জন্য পিড়াপিড়ি সব কিছুই বিষাক্ত মনে হচ্ছে। পরম শ্রদ্ধেয়া মাকেও আজ কেন যেন কাছ থেকে দূরে ঠেলে দিতে ইচ্ছে করছে। ভীষণ আপন করে কাছে পেতে ইচ্ছে করছে শান্তনুকে। শান্তনুর হাত ধরে হেঁটে হেঁটে জোছনার প্লাবনে ভাসতে ইচ্ছে করছে। ইচ্ছে করছে শান্তনুর বুকে মাথা রেখে ওর বুকের ধুকপুকানি পরিমাপ করতে আদৌ সে চলে যাওয়ার পরেও টুসিকে তার একটি বারও মনে পড়ছে কিনা। আর সে হঠাৎ করে এমন হটকারি সিদ্ধান্তই বা নিতে গেলো কেন ? এমন কি দোষ ছিলো টুসির যে ওকে আর পড়াতে পারবে না বলে মুখের উপর সাফ জানিয়ে দিলো !
তাহলে শান্তনু কি অন্য কোনো মেয়েকে ভালোবাসে ? সে মেয়েটা কি টুসির চেয়েও বেশি রূপবতী, গুণবতী বা ধনাঢ্য ? টুসি এসব ভাবে আর মনে মনে বলে কি নেই আমার যে আমাকে উপেক্ষা করে তাকে অমন করে আমার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে যেতে হলো। আমাকে পছন্দ না হলে না হোক। ভালোবাসতে মন না চাইলে ভালো না বাসুক কিন্ত পড়াতে তার সমস্যাটা কোথায় ছিলো ?
ক্ষিধায় পেট চিনচিন করছে। জানলার গ্রীল দিয়ে জোছনার উঁকিঝুঁকিকেও আজ কেমন যেন চাঁদের একটু বাড়াবাড়ি বলেই মনে হচ্ছে। অথচ এই চাঁদের একটু আলো পাওয়ার জন্য এক সময় ব্যাকুল হয়ে উঠতো টুসি। জোছনা রাত এলেই যতো ঝড় তুফান আসুক না কেন টুসি জানালা খোলা রাখতো। সরিয়ে দিতো পর্দা। যাতে রুমের ভেতর থেকেই জোছনা স্নান করা যায়। ইচ্ছে করতো জোছনার সাথে দুদন্ড গল্প করতে। মনের ইচ্ছেগুলো প্রকাশ করতে।
হিজিবিজি চিত্র কল্প মনের ভেতর আঁকতে গিয়ে টুসি আবারও ভাবতে শুরু করে কাউকে ভালেবাসতে চাওয়া বা কারো ভালোবাসা পেতে চাওয়া কি অন্যায় ?
কিন্তু প্রত্যাখ্যাত ভালোবাসা যে দহনের তীব্র যন্ত্রণার চেয়েও বেশী যন্ত্রণাদায়ক তা কি কেউ জানে আগে ভাগে ?
আবার মনে একটা প্রশ্ন নাড়া দেয়, শান্তনুর দোষ দিয়েই বা কি লাভ ? ওকে তো কখনো মুখ ফুটে বলা হয়নি যে আমি তোমায় ভালোবাসি। আবার মুখ ফুটে বলতেই বা হবে কেন ? ওর সাথে যেভাবে কথা বলি, প্রাণ খুলে কথা বলি, অনেক ব্যাক্তগত কথা, ফ্যামিলির কথা ওর সাথে শেয়ার করি তাতে ও বুঝতে পারে না যে আমি ওকে ভালোবাসি ! এতে না বুঝার কি আছে ? একটা মেয়ের মনের কথা বুঝার বয়েস কি হয়নি ওর ? ও কি ফিডার খায় নাকি এখনো ?
আবার বিবেককে প্রশ্নবিদ্ধ করে না আর ভালোবাসা নয়। এটা সেরেফ আবেগের এক ধরনের প্রতারণা। অমনি ভুলেতে চেষ্টা করে শান্তনুকে।
শত চেষ্টা করেও মন থেকে কিছুতেই মুছে ফেলা যাচ্ছে না শান্তনুকে। যতোবারই ওকে ভুলতে চেষ্টা করছে শান্তনুর চেহারা ওকে বার বার বুকের ভেতর প্যাঁচিয়ে ধরছে একটা ক্ষুধার্ত অজগর সাপের মতো। ও যতোই ভুলতে চেষ্টা করছে ক্রমশই ঢুকে যাচ্ছে বিশাল এক অজগরের পেটের ভেতর।
শান্তনুর পড়ার স্টাইল, ওর হাঁটার ভঙ্গী , টেবিলে ওর নাসতা খেয়ে ঢকঢক করে পানি পান করার দৃশ্য, ওর ভাবের গাম্ভীর্য আবার কখনও মুচকি হাসি, মাঝে মাঝে কড়া অনুশাসনের ভঙ্গিতে চোখ রাঙানো, ইন্ট্রিগ্যাল ক্যালকুলাস করার ফাঁকে হাত দিয়ে মাঝে মাঝে চুলে ব্যাক ব্রাশ করা, হঠাৎ মুড অফ এর সাইলেন্স সব কিছু মিলে চুম্বকের মতো বার বার আকর্ষণ করছে টুসিকে। যেটা সে মুখ ফুটে কারো কাছে প্রকাশ করতে পারছে না। বরং তেঁতো কুইনিয়ান গেলার মতো একটা তিক্ততা আনছে জিহ্বের ডগায়।
সাত পাঁচ ভাবতে ভাবতে আর ছটফটিয়ে কাটলো নির্ঘুম রাত।
ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই যে মরুভূমি শহরে পাখ পাখালির বালাই নেই কতোগুলো কাকের কা কা শব্দ আর কটা চড়ুই ও দোয়েলের শীস শোনার
জন্য মন ব্যাকুল হয়ে উঠতো ওদের কিচিরমিচিরও
আজ বিষিয়ে তুলছে টুসির মন।
ইচ্ছে হলো শান্তনুকে একটা কল দেবে। শান্তনু যা মনে করে করুক। আর কিছু নয় শুধু জিজ্ঞেস করবে ও কোন কারণে আর পড়াবে না বলেছে সেটা জেনেই ছাড়বে। পড়াতে ওর সমস্যা কি ?
সকাল দশটার দিকে টুসি কল দিলো শান্তনুকে।
রিং বেজেই যাচ্ছে শান্তনু কিছুতেই কল রিসিভ করছে না। একবার মনে হলো আছাড় মেরে মোবাইলটা ভেঙে ফেলে। টুসি তারপরও নাছোড়বান্দা। একের পর এক কল দিয়েই চলেছে।
এক সময় শান্তনু কল রিসিভ করে গম্ভীর গলায় বললো , হ্যালো। ভাবখানা যেমন ও অচেনা কারো কল রিসিভ করেছে।
টুসি এবার প্রশ্ন করলো, আমাকে চিনতে পারছেন না ?
কি বলবে বলো। আমাকে ভার্সিটি যেতে হবে। হাতে সময় নেই।
আপনি কি কারণে আমাকে আর পড়াতে চাইছেন না সেটা আগে বলুন আমার দোষটা কোথায় ? স্যালারি কম হচ্ছে ? বাপি তো বলেছেন এ মাস থেকে আপনার স্যালারি বাড়িয়ে দেবেন। এর পরও আপনার অন্য কোনো কথা থাকলে আপনি জানাতে পারতেন। বাপি মম দুজনেই আপনার উপর ভীষণ রাগ করেছেন। আপনি কালই বাসায় আসুন। আপনার না পড়ানোর কারণ আমাকে না বললেও মমকে বলে যান।
শান্তনু কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বললো আমি আপাততঃ তোমাদের বাসায় আসতে পারছি না বলে দুঃখিত।
তাহলে আমাকেই বলুন। আপনার সমস্যা কি।
টুসি, আই লাভ ইউ টুসি। রিয়েলি আই লাভ ইউ। আর যদি তোমাকে পড়াতেই হয় আমি কিছুতেই সে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে পারবো না। তোমার ফ্যামিলি ক্রাইসিস সৃষ্টি হবে। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি তোমাকে আর পড়াবো না।

——————————————–

হিজিবিজি
✍️ অভিজিৎ কর্মকার
তারিখ: ৩০/১০/২০২২
———–
হিজিবিজি
সাতকাহন লেখা।
বিদ্যুৎ গেলো চলে
কিছুই যায় না দেখা।
হুতুম পেঁচার পাহারা,
চশমা এঁকে চোখে দুয়ারে একা।
কে এলো ?
চুপ! চুপ!
হিসহিস শব্দ !
সাপেদের হলো সকাল
ফিসফিস গান।
ময়না টিয়া ঘুমিয়ে গেছে।
কাঁচি চঞ্চল
কাটা কালো চুল।
মাছ রাঙা গুনছে মাছ
সংখ্যায় ভুল।
সাপের গর্তে সর্পগন্ধা
ঠিকরে বেরোনো চোখ
গিলছে তেতুলের ঢোক।
শীতের হিমেল হাওয়া
চৌচির ঠোঁট
আবক্ষ বদ্ধ জলাশয়।
পাশ বালিশের রাশ
চেনার চেষ্টা অতিশয়।
ফোনের ভিতরে
কালো ধুলো আর ঝুল
কার হাতের ছাপ।
আদি অনন্ত ব্যাধি
ভুতের জীবনে
দিন রাত , হিজিবিজি কুপোকাত।
সুমুদ্র মন্থন
টানা টানি জঞ্জাল।
পিছন থেকে ডাক
টাকে দাড়িয়ে অসভ্য কাক।
চেহারা ক্ষীণ
দাও মা ভিক্ষা,
শোধ নেই সহস্র ঋণ।
মুঠো খুলছে
কাটারি চোখে বেশ।
দোয়েল টিয়া
হতোবাক।
ঘাসের উপর দাড়িয়ে একা
দূরে পায়রা এক ঝাঁক।
মাথার উপরে ছাদ
অজানা রোগের ফাঁদ।
কাঠ ঠুকরা মুচকি হাসে
শুকনো সবুজ ঘাসে।
মাছ রাঙার তীক্ষ্ণদৃষ্টি
ভরা পুকুরে।
উপরে ঘুরছে
চিলের মাথায় চাপ।
দিগন্তে কুয়াশা
সন্ধ্যা ডাকে।
ঘূর্ণাবর্ত ঘনায়
একফালি চাঁদের ফাঁকে ।
জমা হয় হিজিবিজি
লাইন দিয়ে।
কুকুর শুকছে ধুলো
উড়ছে চাল চুলো।
টিভির খোপে
পায়রা পুরানো বাসা।
নিথর কচ্ছপ
দৌড়াতে চায়।
পাহাড় মাথা তুলছে
বরফ গলছে,
পাথর দুলছে
সূর্য্য ফাটাবে মাথা।
ঘড়িতে দম দেওয়া হয়নি
দরকার ছিলো সকাল,
কিন্তু হলো বিকাল।

——————————————–
শিরোনাম: সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসব
কলমে: অকবি
তারিখ: ৩০-১০-২০২২

হ্যাঁ তোমাকেই বলছি দেখো
একটা দিন এমনও আসবে যখন
তোমার নিজেকেই নিজের ভালোবাসার
বৃষ্টিতে ভিজিয়ে ফেলতে হবে!
তোমার নিজের ঘরে নিজের আয়নায়
দাঁড়িয়ে দেখবে শুধু নিজেকে!
আর তোমার প্রিয় বন্ধু হাসবে তোমাকে দেখে-
আবারও কি তুমি বাসবে ভালো কোনো এক
অজানা আগন্তুককে?
একদিন যার ভালোবাসায় ভেসেই বলেছিলে
চলো হাত ধারে চলো এগিয়ে যাই,
চলো এক কাপ চা দুজন ভাগ করে খাই,
চলো একসাথে পাশে বসে অস্তগামী সূর্যকে দেখি!
বলবে কি তাকে অর্ধেক আকাশ নয়
পুরোটাই তোমার চাই!
বলবে কি সেই আগন্তুককে
তোমার নিজের হৃদয় ফিরিয়ে দাও ,
আগন্তুক কিন্ত ভালোবেসেছিল তোমাকে,,,
শুধু তোমাকেই!
যাকে তুমি উপেক্ষা আর অবহেলা দিয়েছো!
তবে আর দেরি কেন- এখনই তোমার
বসার ঘরে বইয়ের তাক থেকে তুলে ফেল দাও
ধুলোমাখা রোজ নামচা,প্রেমপত্র, কবিতা,ছবি
আর বেপরোয়া টীকা-টিপ্পনী আছে যত!
আয়না থেকে মুছে ফেলো তোমার মাঝে
সেই আগন্তুকের প্রতিবিম্ব।
এটাই হবে হয়তো তোমার জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসব!

——————————————–
গহীন বনে
কাজী নাজরিন

গহীন বনে মনের অজান্তে
খুঁজে চলেছি তোমায়
অঝোর ধারায় উঁকি দিয়ে
পাশে নেবে কি আমায়?
স্বপ্ন পশরা গল্পে তোমায়
খুঁজে চলেছি একা
দূর সীমানার প্রাচীর ভেঙে
করবে তো ঠিক দেখা?
মান অভিমান দূর হয়ে যাক
সব যাতনা ভুলে
একসাথে আজ গল্পে মাতবো
হাসবো প্রাণ খুলে।
মধুর হাসির ঝিলিক ভরা
মুখটা দেখতে চাই
আজকে মনে বইছে বাতাস
চাই যে পাশে চাই।
তারা ভরা আকাশ হাসছে
ভাসছে তোমার ছবি
তারার মাঝে দেখতে পাই
তোমার প্রতিচ্ছবি।
গহীন বনে মনের কোণে
পাখি হয়ে এসো
হাত দু’খানা হাতে রেখে
মুচকি হাসি হেসো।

Powered by themekiller.com