Breaking News
Home / Breaking News / দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

শিকড়ের সন্ধানে
মোঃ ইমন মিজি

নিক্তি পাল্লা দিয়ে ওজন করো
শিকড়ের সন্ধানে চল
দেহ মনের শিকড় ভিতর ঘুম পাড়িয়ে তুলো
জীবিত থাকতে দেখে শুনে চল।

জন্মগ্রহণ করে মানুষ মানুষের ঘরে
আলোর বাতি জ্বালিয়ে
আলোকিত করে আসে
মাটির ঘরে শিকড় গেঁড়ে বসে।

এই ধরাতলে সময়
নিয়ে যায় মিলেমিশে
অপেক্ষায় কাটিয়ে হৃদয়
গগনতলে পবন মেলে আবার যায় শেষে সময়।

দশ দিন চোরের খেলা দশ দিকে দশ কথা বলা
একদিন গৃহস্থের খেলা
ডাকে ফিরে ঘুম আসে না বেলা
ধরা পড়ে যায় চোরার চুরি চাবিতালা।

ছোট শিশু কান্না করে
আওয়াজ আসে কিছু
আকাশে তাঁরা মায়ের মায়া ভরা
মমতা আসে ছুটে পিছু।

গাছে, গাছে গাছের শেকড় হয়
ছোট চারা করলে রোপণ বড় হয়
ফুলের ঘ্রাণ পাবে ফল পাবে ফল খাবে
সর্ব শেষে কেটে ফেলে দেবো।

মানুষে, মানুষে মানুষের আপন হয়
শিশু, বৃদ্ধ আত্মীয় স্বজন কয়।
অপেক্ষা সময় নয় ঘড়ি মাঠ ফসল জমি
মানুষ বিদায় নিয়ে যায় ধরাতল ভূমি।

পাখি উড়ে পালকে উড়ে বিশ্ব ভ্রমণ
সময় অপেক্ষা করে না
সবাই ভালো জানেন কেমন
ছিদ্রধরা ছিদ্র পাতায়, পাতায় পোকামাকড়।

অসুখে মরণাপন্ন বাতাসে উড়ন্ত পাখির দাপাদাপি
মাটির মানুষ মাটির মন মাটির উপর হাঁটাহাঁটি
ভাবতে সময় দে আমায় ঝিনুক মালা
মাটির পেটে শিকড় ব্যাথার ঢেউ ধারা জলা।

——————————————–
মানুষের মতো মানুষ

রূপবিলাস মণ্ডল
১৭.১০.২০২২

জাগিয়ে তুলতে চেয়েছিলাম
তোর উদ্ভাবনী ক্ষমতা,
তোকে গড়তে চেয়েছিলাম
মানুষের মতো মানুষ।
অথচ তুই সবেতেই করছিস অনুকরণ;
সময় তোকে কিচ্ছু শেখায়নি খোকা
সেই হদ্দ বোকাই থেকে গেলি,
গরুর রচনা অবলম্বনে
লিখে চলেছিস মানুষের রচনা ।

মানুষের মুখ দেখছিস একটা
কিন্তু মিথ্যার ছুরিকাঘাতে তা খণ্ডিত,
কেউ কেউ দুমুখো বা তারও বেশি।
মানুষের চোখ দেখছিস দুটো
কিন্তু ভেতরে লুকিয়ে থাকে আরো একটা,
সে চোখ কেউ খোলে
কেউ চিরকাল বন্ধ রাখে।
মানুষের পা দেখছিস দু’খানা
অথচ গরুর রচনার সঙ্গে তার পায়ের সংখ্যা
অনেক সময় হুবহু মিলে যায়।
সাদা গরু কালো গরুকে ঘৃণা করে?
কিন্তু মানুষ করে।
মানুষের বুদ্ধি অবশ‍্য সর্বোৎকৃষ্ট,
তাদের উদ্ভাবিত সমরাস্ত্র
সমগ্র সভ‍্যতা ধ্বংসের পক্ষে যথেষ্ট!
এর চেয়ে বড়ো মূঢ়তা আর কি হতে পারে,
এই বুদ্ধির কাছে গরু গাধা সবাই হার মানে।

লিখিস না খোকা এই বিপজ্জনক রচনা লিখিস না,
বরং ভালো করে পড়াশোনা কর —
বিজ্ঞানী হওয়া চাই,বিজ্ঞানী।
এমন এক যন্ত্র আবিষ্কার করবি
যার একটা বোতাম টিপলে
পৃথিবীর সমস্ত সমরাস্ত্র অকেজো হয়ে যাবে।
এমন এক যন্ত্র আবিস্কার করবি
যা পৃথিবী থেকে চিরতরে মুছে দেবে
ঈর্ষা,হিংসা আর দ্বেষ।
বিশ্ব জুড়ে ভালোবাসার প্রতিযোগিতা শুরু হবে
কারণ তখন বিশ্ব শাসনের
ওই একটাই অস্ত্র অবশিষ্ট থাকবে।

তখন নাহয় লিখিস মানুষের রচনা,
সবাইকে গর্ব করে বলব ছেলেটা আমার
মানুষকে মানুষের মতো মানুষ করেছ।

——————————————–
পুরুষ কথা
রাণু সরকার
_________
পুরুষদের কি কাঁদতে নেই?
হ্যাঁ, আছে তো।পুরুষদেরও কষ্ট আছে অনেক।

অব্যক্ত কষ্ট সাথে করে চলতে হয় সবসময়-
লোহার বর্মে তো পুরুষ আচ্ছাদিত নয় যে কাঁদবে না-
হ্যাঁ, পুরুষরাও কাঁদে।

তবে পুরুষের কাঁদা দিনের আলোর আড়ালে থাকে, অনেক কষ্টের বাসনা-
কষ্টের নানান প্রকাশভঙ্গি।

বৃষ্টি ভেজা দিনে অনেক পুরুষ কাঁদে
যাতে অশ্রুধারা মিশে যায় বৃষ্টিধারায় অন্যের অসাক্ষাতে।

রুটি-রুজির কথা ভাবতে ভাবতে ভাবতে কাঁদা তাদের ফুরিয়ে যায়-
রুজিরোজগার ভাবনা দেয় না তাদের কাঁদতে।
ভোরের আলো ফোটার আগেই শুরু হয় তাদের অভিযান রুজির সন্ধানে।

রাতের অন্ধকারে তাদের ঘরে ফেরা
শুধু আগামী দিনের আলো ফোটার অপেক্ষায়।

কাঁদতে গেলেই কে যেন টেনে ধরে তাদের,
এ বলে আমার এটা নেই,
ও বলে আমার ওটা নেই।
পরিবারের বায়না মেটাতে মেটাতে ভুলে যায় নিজের জন্য কাঁদা-

এই নেইগুলো আনতে আনতেই ভুলে যায় তারা নিজের কথা-
অর্ধেক কাঁদা যে রেখে এসেছিলো ওটা আর খুঁজে পাওয়া যায় না-
তাই হলো না সারা কাঁদা।

কখনো আবার ছিটকে বেরিয়ে এসে ডুকরে ডুকরে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদে-
আবার কখনো বোবা চিৎকার-
কেউ না দেখুক একজন কিন্তু দেখে- সে হলো অন্তর্যামী।

সময়-রুটি-রুজি কাঁদতে দেয় না-
তাই পুরুষের কাঁদা কেউ দেখতে পায় না-
বুকে থেকে যায় কষ্টগুলো।
হয়তো খুঁজলে দেখা য়াবে বুকে কত পলির স্তর জমে আছে।

কিছু নারী স্তর দেখতে পায়-
কিন্তু হৃদয়ঙ্গম করতে হবে-
তা না হলে বোঝা যাবে না
তার কতটা কষ্ট।

——————————————–

শিরোনাম-বালুকা বেলায়
কলমে-শুভা রায়
তারিখ-১৭/১০/২০২২

সেই কত শত সহস্র যুগ আগে গোধূলির আলো মাখা ফেনিল ঢেউ শরীরে মেখে,,
বালুচরে হয়েছিল পরিচয়!

তারপর কেটে গেছে হাজার হাজার বছর….
আর হয়নি দেখা, হয়নি কথা !
না বলা কথারা স্মৃতির আখরে বন্দী আকাশ ভরা নীল খামে।

অনন্তকাল অপেক্ষায় আছি ডাক পিয়নের।
কৃষ্ণচূড়ার পাশের ডাকবাক্সটা রাঙানো হয়েছে লাল টুকটুকে করে।
এবার বুঝি মুক্তি পাবে হৃদয়জালে বন্দী শব্দরা।
মাঝপথে হারিয়ে যাওয়া তোমার লেখা অগুনতি পত্রও;
জানি এইবার এসে পৌঁছবে অনন্ত প্রতীক্ষা সমাপনে–
আমার অন্ত:করনে!

পত্রের ভাঁজে অর্ধমৃত গোলাপ আবার ফিরে পাবে প্রাণ…. আমার পরশে।
আবার সে ছড়াবে সুগন্ধ,
ফেরাবে সেই বালুকাবেলার ক্ষণ।।

——————————————-

“না বলা কথা”
আউয়াল জামান কয়েছ
১৭.১০.২০২২

চিঠিপত্রের সেই যুগ এখন আর নেই,
গ্ৰাম গঞ্জের আঁকাবাঁকা পথে
ডাকহরকরাদের ব্যস্ত ছুটে চলা এখন আর দেখা যায় না!
যুগ পাল্টেছে
এখন ইচ্ছে হলেই হাজার মাইল দূরের মানুষকে
দেখে দেখে কথা বলা যায় যখন তখন;
কার এতো সময় আছে চিঠি লেখার!
তবে আমি লিখি।
তুমি চলে যাবার পর
আমার মাঝেও বেশ কিছু পরিবর্তন এসেছে;
বাহিরে আহার করা হয়েছে নিয়মিত!
বন্ধুদের সাথে আড্ডায়
সময় একটু বেশিই চলে যায় আজকাল!
সূর্য ডুবার সাথে সাথে পাখিরা নীড়ে ফিরে যায়,
আমার কি আর সেই তাড়া আছে!
কেউ কি আমার অপেক্ষার প্রহর গুনছে!
না
তবুও একটি অভ্যাস এখনো রয়ে গেছে,
তোমাকে চিঠি লেখার!
কথা বলায় পারদর্শী ছিলাম না কখনো
তবে তোমাকে চিঠি লিখতাম নিয়মিত;
মনের কথাগুলো লিখে
রেখে দিতাম তোমার বালিশের নিচে!
সেই অভ্যাসটি এখনো রয়ে গেছে,
যদিও তোমার বালিশটা এখন আর নেই বিছানায়
তোমার মতো হারিয়েছে চিরতরে!
জানি, এসব তুমি পড়বে না কোনোদিন;
আমার চিঠির খামে
ডাক পিয়ন বা ডাকহরকরার হাত লাগবে না কখনো;
চিঠির অক্ষরগুলো তোমার দৃষ্টি আকর্ষণ করবে না,
আর তোমার হাতের কোমল স্পর্শ যে পাবে না,
এটাও নিশ্চিত, তবুও লিখি;
লিখেই যাই আমার যতো না বলা কথা!

——————————————–

কবি হব।
আমিনুর রহমান।
—–১৭-১০-২২—-
আমি এক প্রেমের কবি,
আমি আঁকি নীরব মনের ছবি।

আমি এক কল্পনার কবি,
আমি হৃদয়ে জ্বালাই প্রেমের বাতি।

আমি আশার গান গাওয়া এক কবি,
আশার প্রদীপ জ্বেলে আমি বসে থাকি।

আমি তাহার উদার মনের এক কবি,
যে মরে কাছে নিয়াছে টানি।

আমি এক প্রকৃতির কবি,
সারাদিন প্রকৃতির ভাবনায় ব্যস্ত থাকি।

আমি এক ভাবনার কবি,
সারাক্ষণ ভাবনায় তন্ময় থাকি।

আমি এক ব্যথিত হৃদয়ের কবি,
সারাদিন না পাওয়ার বেদনায় ডুবে থাকি।

আমি জ্যোৎস্নার সৌন্দর্যে অবগাহনে সিক্ত হওয়ায় কবি,
আমি চৈতির পূর্ণিমা রাতে বসে বসে শুকতারা গুনি।

আমি নির্জন নিরালায় বসে থাকা কবি,
সারাদিন ধ্যান লগ্নে শুধু কল্পনার জাল বুনি।

আমি শীত সকালে শিউলি কুড়া কবি,
আমি মায়াবী রাতে সাগর তীরে বসে সাগরের গর্জন শুনি।

আমি তাহার মনের কবি,
হৃদ মাজারে আঁখি আমি তাহার ছবি।

আমি উদাস কবি হয়ে, উদাস কবির মতো পথে প্রান্তরে ঘুড়ে বেড়াবো
আমি কবি হব,,,,,,,,,,,,।

Powered by themekiller.com