Breaking News
Home / Breaking News / দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

আশায় আশায়
মনোজ কুমার রথ (শ্রীমান অকুলীন)
(৯ আশ্বিন,১৪২৯; 26-09-2022)
—————————————————————–

আজকে যখন কেউ কোত্থাও নাই,
তোমার কথা ভাবছি বসে শুধু;
জানলা খুলি,দুয়ার পানে চাই,
চারিটাপাশ কেবল মরু ধূ ধূ!

সাহারা যেন সেগুন কাঠের খাট,
ফুলেল চাদর কাঁটায় কাঁটায় ভরা;
হাতের পরশ বইছে বিরহী শার্ট,
আলনাটাতে পুরোই এখন খরা!

জামদানিতাঁত নেইকো তুলে রাখা,
বালুচরি এবং কাঞ্জিভরম;
ক্যানভাসেতে শুধুই ছবি আঁকা,
বিহনে তোমার ব্যথা বড়ই চরম!

কাগজ কেটে বানিয়ে একটি নাও,
রোজই ভাসাই মেঝের ‘পরে প্রায়;
থেমেই থাকে যায়ও না কোত্থাও,
অশ্রুনীরে বুকটা ভেজে হায়!

রোজই ভাবি নৌকা যাবে ভেসে,
পাবোই খুঁজে নোঙর করার ঘাট;
নৌকা ‘পরে উঠবে হেসে হেসে,
পরশ পাবে এই বিরহী শার্ট।

আজকে যখন পূজোর মাসটা এলো,
শিশির ধোয়া এই যে আশিন মাস;
হাসি খুশি কোথায় চলে গেল,
হৃদ মালঞ্চে কোথায় শিউলি কাশ!

রাত্রি জেগে কতই ছবি আঁকি,
রং করি না,নেইকো তুমি তাই;
রং লাগাবে- তাইতো কাছে ডাকি,
কোথায় তুমি? আর তো দেখা নাই!

মায়ের কাছে মানত সন্ধিপূজোয়,
তোমায় যেন শীঘ্র কাছে পাই;
সোহাগ ভরা এই যে গুপ্ত কুজোয়,
দেখবে কেমন প্রেমও দ্রাব্য তায় l

সবাই যখন কাছে কাছেও থাকে,
তখনও তো তোমার কথাই ভাবি;
পেলে দেখা কোনো পথের বাঁকে,
আনন্দঘর খুলবে জানি চাবি।

মনমালঞ্চ ভরবে ফুলে ফুলে,
উঠবে ডেকে ‘বউ কথা কও’ পাখি;
তরীখানি ভিড়বে নাব্য কূলে,
আশায় আশায় তাই তো চেয়ে থাকি।
ম.কু.র.

——————————————–

বিভাগ- কবিতা
শিরোনাম- ” কবিতাতে যায় না লেখা ”
কলমে -সূর্যকন্যা তপতী (তপতী দাস)
তারিখ- ২৬/০৯/২০২২
4:32 PM
“””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””
বর্ণ পরিচয়ের বর্ণমালা লজ্জা পায় নিজের মনে
স্বরবর্ণ, ব্যঞ্জন বর্ণের ঘোর বৃত্তে পথ হারিয়ে —
কখনও শব্দ কথায় তপ্ত জীবন ,
কখনও ভালোবাসা পেয়ে নিজেকে সমর্পণ ,
খোলা দুয়ারে ভাষা নগ্ন এখন —
লজ্জা পেয়ে করতলে ঢাকে মুখ ,
ছেঁড়া তার সেতারে বাজে নাতো ধুন,
চেনা পথ — অচেনা ভাষার গলি পথে
পিছলে পড়তে পড়তে শব্দ দূরত্বে খোলা ম্যানহোল
পূঁতিগন্ধ মাখা বর্ণপরিচয়ের বর্ণমালা
রক্তের একটাই রঙ ভুলে যায় ভাষা
কবিতাতে যায় না লেখা সব কষ্ট কথা।
(সূর্যকন্যা তপতী)

——————————————-

বিষাদময় জীবন
এম. হানিফা (২৭/০৯/২২)

যত পার কর অন্যায়
আমার বলার কিছু নাই
একদিন তোমার করবে বিচার
আমার মালিক মহান আল্লায়।

একে একে সব হারিয়ে
আমি আজ একা হয়েছি
দিনে দিনে সারাক্ষণ তাই
আমি ভুলের মাশুল দিচ্ছি।

আপন থেকে মানুষ হয় প্রয়োজন
তার পরেই কঠিন বিয়োজন
শুরু হয় মানব জীবনে একদিন
তখন থাকেনা আর কোন আপন।

বিরক্তবোধ আর অপ্রয়োজনীয়তাই
নেমে আসে সবার মাঝে
তাইতো শেষ বেলায় এসে অনেকে
কষ্টে শুধু মৃত্যুকেই খুঁজে।

আসলে জীবন হলো সামনে হলুদ
আর পেছনে গাঢ় লাল
মানব জীবনে একটা সময় আসে যখন
ভালো থাকা হল কপাল!

কর্মঠ মানুষটা যতদিন ছিল সুস্থ-সবল
সকলের জন্য করতো উপার্জন
নিয়তির খেলায় স্বাস্থ্যের নিকট হেরে গিয়ে৷ সে হয়ে
অন্যের বোঝা সইতে হয় অসম্মান।

প্রকৃতপক্ষে কেউ থাকেনা আপন একটা সময়ে
কপালে জোটে শুধু নানা অপমান
আরো জোটে অবজ্ঞা-অবহেলা আর লজ্জা
বেঁচে থাকাটাই তখন সবার নিকট অকল্যাণ!

——————————————–

নিষ্কলুষ ক্ষোভ
পার্থ সারথি দাস
(তা–২৬/০৯/২২)

রাত গিয়ে রাত হলো
তুমি এলে না ফিরে,
আজও তোমায় –
বলতে পারিনি,
-ভালোবাসি ভালোবাসি
এবার এসো ফিরে।
মনের দ্বিধা কেটে গেছে,
পাখি গেছে উড়ে,
মনের দ্বিধা কেটে গেছে,
তুমি এসো ফিরে।
নীল আকাশ টা ফিকে হলো,
ঝড়ের আভাস মনে।
মনের দ্বিধা কেটে গেছে,
এবার এসো ফিরে।
মনের আঁধার কেটে গেছে,
হাত বাড়িয়ে আছি;
ফিরে এসো, ফিরে এসো,
বলছি ভালোবাসি।

——————————————–

নারীশিক্ষার অন্যতম কান্ডারী, বর্ণপরিচয় এর স্রষ্টা আলোর দিশারী পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জন্মদিন উপলক্ষে আমার কবিতা
————-
শিরোনাম : বিদ্যাপতি বিদ্যাসাগর।
কলমে : হায়দার
——————————

তুমি বিদ্যাপতি
তুমি বিদ্যার সাগর।
তোমাতে পাই খুঁজে
মোরা বাঁচার আসর॥
বাংলা কে বাঁচিয়েছো তুমি
বাংলা ভাষা কে দিয়েছো প্রাণ।
বর্ণে দিয়েছো পরিচয়
বর্ণকে দিয়েছো মান ॥
তুমিই করলে ,
নারীর জন্য বরাদ্য প্রথম শিক্ষা।
তোমার জন্য নারী শক্তি আজ
সমাজে পেয়েছে দিক্ষা॥
নারীর হাতে কলম দিয়ে
দিলে তুমি তাঁর পরিচয়।
তোমার জন্যই নারীরা আজ,
সমাজকে করেছে জয়॥
নারী বেদনায় ব্যাথিত হয়ে
শুরু করলে তুমি বিধবা বিয়ে॥
ঝড় ঝাপটা সহ্য করে,
তুলে প্রতিবাদী রব।
বিধবাদের বিয়ে দিলে
করলে নতুন সুচনা সব॥
তুমিই মোদের শিক্ষা গুরু,
তুমিই মোদের রব॥
তোমার জন্যই মোরা গর্ব করি,
বাংলা কে নিয়ে সব॥

**** হায়দার ****

——————————————-

প্রতিদিনের কবিতা
শিরোনাম—দাও জ্ঞান শিক্ষার
সৃজনে– নবগোপাল চৌধুরী
তারিখ—26/09/2022

কবিতা—# দাও জ্ঞান শিক্ষার #

ঘৃণায় বিঁধেছ যাকে , দিয়েছো ধিক্কার
তা’কে তুমি দিয়েছো কি চেতনা শিক্ষার ?
তা’কে তুমি শিখিয়েছো মানবিক বোধ ?
শিখিয়েছো সংযত করা যায় ক্রোধ ?

শিখিয়েছো যান জট পথ অবরোধ
শেখাইওনি অন্যায় করা প্রতিরোধ ।
শিখিয়েছো জাত-পাত ধর্ম – প্রাচীর
খাড়া করে’ গেছো মসজিদ– মন্দির !
গড়ে গেছো নানা দল আর নানা মত
শিখিয়ে জেহাদ কট্টর অভিমত ,
শেখাওনি মান্যতা পায় শুধু জ্ঞানী
শেখাওনি পৃথিবীতে একটাই প্রাণী ,
শেখাওনি সকলের রক্ত যে এক
জাগিয়ে তুলতে হবে সবার বিবেক ।
ব্যবস্থা করোনি মানবিক দীক্ষার
ঘৃণায় বিঁধেছ সবে দিয়ে ধিক্কার !!!

শিখিয়েছো দেশ ভাগ করা স্বাধীনতা
শেখালে যে দলদাস মানা অধীনতা,
শেখালে যে বিরোধীর গলা কাটা খুন
নেশা মদ ভাঙ গাঁজা, যত বদ গুন ,
শেখালে যে যার লাঠি তা’র শুধু মাটি
যত চোর মস্তান গড়ল যে ঘাঁটি,
শেখালে যে বখশিস নেওয়া নয় ঘুষ
শেখালে যে তোলাবাজি আর দুরমুশ,
টুকলিতে বুকনিতে ভরে গেল দেশ
ভয় ডর শিক্ষা যে সব হলো শেষ ।

চাওনি ফেরাতে কভু চেতন ও হুঁশ
আদর্শ নীতি নিয়ে সব হোক মানুষ।
শিখিয়েছো আজীবন স্বজন পোষণ
শিখিয়েছো দলদাস– নেতার তোষণ ,
দ্রব্যমূল্যে আজ কাঁদছে বাজার
বেকার বাড়ছে দেশে হাজার হাজার ।
শেখালেনা মন্দকে করা পরিহার
ঘৃণায় বিঁধেছ শুধু দিয়ে ধিক্কার ।
চাওনিকো শিক্ষায় খুলে যাক চোখ
চাওনিকো সকলের বোধোদয় হোক।
ঋণে দেশ ডুবছে, কাঁধে ঝুলি ভিক্ষার
ঘৃণায় বিঁধো না ,দাও জ্ঞান শিক্ষার।

Powered by themekiller.com