——— কবিতা ———
মহাগুরু
অলোক নস্কর
*
তারিখ — 12.08.2022
আমায় কে-কে ভালবাসো
হাত তোলো-তো দেখি ,
কেউ যদি না বলে তখন
জানবো সে মেকি !
আমায় কে-কে ভালবাসো
বলো সাহস করে ,
আমায় ছাড়া জীবন অচল
জীবন যায় ঝরে !
আমায় যারা দেখে তারা
পুলকে লাফিয়ে ওঠে ,
আমি খুব মিষ্টি জেনো
তিতো নয়-যে মোটে !
আমায় যারা দেখে তারা
খুশিতে পাগল-পারা ,
একটু স্পর্শ নেওয়ার জন্য
আনন্দে আত্মহারা !
আমায় চুমু খায় সকলে
শ্রদ্ধা ভক্তি করে ,
যখন তখন গড় করে
সবাই ডাকে ঘরে !
আমায় জড়িয়ে আদর সোহাগ
নিত্য লেগে থাকে ,
আমায় সবাই পাবার তরে
স্বপ্ন বুকে রাখে !
আমায় পাবে বলে মানুষ
যোগ সাধনা করে ,
একবার যদি সুযোগ পায়
আমায় চেপে ধরে !
আমি সবার ধ্যান জ্ঞান
আমার কদর বোঝে ,
চোখের সামনে না পেলে
হন্যে হয়ে খোঁজে !
আমার চেয়ে বড় বীর
এই বিশ্বে নেই ,
বাপের বাপ আছে জেনো
আমি সবেতে’ই !
আমার চেয়ে সত্য সুন্দর
কেউ দেখেনি কভু ,
যে যেমনি হোকনা কেন
আমি সবার প্রভু !
আমার নামে সবাই বশ
আমার বিরাট নাম ,
যে যেমনি হোকনা কেন
আমার বিরাট দাম !
আমি ছাড়া সব’ই বেকার
জীবন যৌবন ফাঁকা ,
আমি মস্ত মহাগুরু
আমার নাম টাকা ।
*পবিত্র আলোর স্পর্শে জীবন হোক আনন্দময়*
রচনাকাল — 01.08.2022
——————————————–
#জিয়্যাপত।
—————-(নীলকণ্ঠ)।
জিয়্যাপত দ্যানো ব্যাহে,
আইসেন হামার বাড়িত।
অমপুর জেলা,পীরগ্যাছা থানা,
বাড়ি দেবী চৈদরেনিত।
হামরা গুলা সহজ সরল,
সাগাইআনা করি ভালো।
একবার আইসি দ্যাখেন,
মন টা হামার নয় কালো।
কখন যাইমেন, কোন দিন যাইমেন?
কয়্যা থুইবেন আগত।
বিয়্যান বেলা আইসেন যদি,
কাটল পন্তা পাইবেন ভাগত।
ভর দুপরের আগত আইসেন যদি,
বইসপ্যার দ্যামো পাটিত।
গরম ভাত পাটা শাক,মুশরি-
কালাইর ডাইল,শুটকি দ্যামো বাটিত।
সোশে সোশে প্যাট পুরিয়া খায়া,
কইবেন হইছে জবর।
ডিগির পারত টংগত বসি,
কইবেন আছে যত খবর।
গুয়াপান দ্যামো ব্যাহে,
খায়া মন হইবে তোমার চাংগা।
বাড়ির পাসত মালবোক কলা,
আম আছে হাড়িভাংগা।
ঐইদ কমলে খুপরি ধরি
সবাই মিলি হাটত যামো।
চেংটা গুড় দুই গালত
ম্যালা ক্ষন ধরি খামো।
ইতিহ্যাস ঐতিহ্যে ভরা,
হামার গ্রাম খ্যান।
আচ্ছেন যখন কষ্ট করি-
যদি ঘুরি দ্যাকপ্যার চান।
সাংজৎ পাড়ায় পাড়ায় বসে –
ভায়াইয়া গানের আসর,
পুঁথিপাঠ করে রহিম চাজি-
কন্ঠ মিলায় অনেকজন সুরেলা মিষ্টি সুর।
বিটিশ বিরোদি আছিল-
হামার দেবী চৈদরানী।
বঙ্কিমচন্দ্রের উপন্যাসে আছে,
তাঁর ধারা বিষদ বিবরনী।
তাং- ১৪/০৭/২০১৭ সময়ঃ- সকাল – ০৯:২৭।
(ঢাকা থেকে ফেরার পথে)
—————————————————————————-
(আঞ্চলিক) শব্দার্থ।
জিয়্যাপত= দাওয়াত/ নিমন্ত্রণ।দ্যানো= দিয়া/ দেওয়া।
ব্যাহে= দাওয়াত কারীকে বলা।অমপুর= রংপুর।
চৈদরানিত= চৌধুরাণীতে।সাগাই= আত্নীয়।
সাগাইআনা= আত্নীয়ের প্রতি সম্মান।আইসি= এসে।কয়্যা= বলে রাখা।আগত= অগ্রীম।বিয়্যান= সকাল।
কাটল= কাঁঠাল।বইসপ্যার= বসার জায়গা।
পাটি= পাটি গাছ থেকে তৈরী ছালা।পুরিয়া= ভরে।(তৃপ্তি সহকারে পেট ভরে খাওয়া)।জবর= সু সাদু রান্না।
ডিগি= পুকুর।টং= উচু বাঁশের মাচা।
গুয়া= সুপাড়ী।দ্যামো= দেওয়া।খায়া= খেয়ে।
মালবোক= শবরী কলা।#হাড়িভাংগা= রংপুর অঞ্চলের সুু মিষ্টি বিশ্ব খ্যাত আমের জাতের নাম।ঐইদ= রোদ,সূর্য্যের তাপ।খুপরি= ডালি।দ্যাকপ্যার= দেখার জন্য।সাংজৎ= সন্ধ্যা বেলা।
——————————————–
মাসের মধ্যে শ্রেষ্ট মাস
মোঃ নূর ইসলাম শাহ্
মাসের মধ্যে শ্রেষ্ট মাস
মাহে রমজান,
এ মাসে পাপিরাও ভাল হয়ে
ঠিক রাখেন ঈমান।
মিথ্যা বললে সিমাহীন পাপ
সবাই তাহা জানে,
এ মাসে পাপ কাজ ছেরে দিয়ে
মহান আল্লাহকে মানে।
নামাজ যারা পড়েনা
তারাও থাকে সাবধান,
এমন ভাবে চলে তারা
বুঝতে দেয়না ব্যাবধান।
সারা বছর পড়েনা নামাজ
কিযে তাদের সান,
রমজান এলে নামাজ পড়ে
যতই হউক বেঈমান।
রমজান মাসের সাঁতাস তারিখ
মসজিদ হয় ভর্তি,
মনে হয় এবার বুঝি
আসবে সবার সুদ্ধি।
——————————————–
শিরোনাম—রাখীবন্ধন
কলমে—অভিজিৎ দাস
তারিখ—১২.০৮.২২
রাখীবন্ধন হৃদয়ে করে ভাই,বোনের সম্পর্ক স্থাপন,
যে সম্পর্ক স্থাপনে অনুক্ষণ হৃদয়ে
বিশ্বকবি রবি ঠাকুরকে করি স্মরণ ৷
স্মরণ করি সেই পুরাণে মহাভারতে শিশুপালকে বধে শ্রীকৃষ্ণকে দৌপদী কাপড়ের আঁচল ছিঁড়ে বেঁধে রোধ করেছিল সুদর্শন চক্রে আঙুলের রক্ত ক্ষরণ,
ভাইকে রক্ষায় বোনের সেই বাঁধন দেশজুড়ে পালিত হয় রাখীবন্ধন উদযাপন ৷
বঙ্গভঙ্গ আন্দেলন রোধে সকলের একত্রিকরণে রবীন্দ্রনাথ নির্বিশেষে রাখীবন্ধন চালু করেছিলেন ,
অবশেষে বাংলা বিভক্তিকরণ রোধ না হলেও
সকলের হৃদয়ে মৈত্রের স্থাপন ও ভাই,বোনের সম্পর্ক স্থাপন করতে পেরেছিলেন ৷
রাখীবন্ধনে হৃদয়ে ভালোবাসা অনুরণিত হয়ে
অশনির সদৃশ পলকে ছুটে যায় বোনকে বিপদ থেকে উদ্ধার করতে,
পথে যদি চক্রব্যূহ রচিত করে অমরত্ব বর পাওয়া বীর যোদ্ধা
তবুও অপ্রতিভ হবে না অভিমুন্যের মতো অঙ্গে রণসাজ ধারণ করে সিংহের সদৃশ হুঙ্কার ছাড়তে ৷
রাখীবন্ধন প্রস্ফুটিত পুষ্পের সুগন্ধের সদৃশ ,
সকলে কুকর্ম ভুলে হৃদয়ে স্থাপন করে সকর্মের শুভাশিস৷
রাখীবন্ধন সমুদ্রের তটে অপেক্ষমান সাঁতার না জানা কোন ব্যক্তির সমুদ্রে উত্থিত তরঙ্গে অবগাহন,
যে অবগাহনের প্রফুল্লতায় হৃদয়ে সৃষ্টি হয় বোনের প্রতি দায়িত্ববোধের নবজাগরণ ৷
রাখীবন্ধনে অন্তকরণে জ্বলে শুকতারা,
শুকতারার আলোয় আঁধার কেটে হবে না কখনো পথহারা ৷
রাখীবন্ধনে বৃষ্টি ঝরার সদৃশ হৃদয়ে প্রফুল্লতার বৃষ্টি ঝরে,
যে বৃষ্টিতে শুষ্ক গাছপালা সজীব হয়ে উঠে বৃন্তেবৃন্তে ফল ধরে ৷
——————————————–
শিরোনাম – বৃষ্টি
কলমে – সৌমাল্য চক্রবর্তী
তারিখ – ১২/০৮/২২
আকাশ জুড়ে বৃষ্টি
আর বৃষ্টি ভেজা মন,
মন চাইছে খুশি থাকুক
আমার আপনজন।
নীল রঙের আকাশ এখন
মেঘে ঢাকা কালো,
আমি আছি দারুন
বন্ধু তুমি থেকো ভালো।
——————————————–
সপ্তসিঁড়ি পদ্ধতি
উত্থান পতন
শ্রী আশীষ মুখোপাধ্যায়
১২-০৮-২২
উঠে যাও উঠে যাও রাখা আছে মই,
নেমে যেতে খুঁজো নাকো ঠিক পথ কই!
সময় মধুর কালে জোটে বহু রঙের সই
পড়লে ফাঁদে ভুলে গিয়ে খোঁজে অন্য ছই।
গন্ডী সীমা বোধ রেখে চৈতন্য মানে জেনে,
সীতা হরণ হতো নাকো লক্ষণ রেখার টানে;
জনবল জলবল হলে ভেসে যাবে তুফানী বানে।।