Breaking News
Home / Breaking News / দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য পড়ুন

দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য পড়ুন

8/8/2022
। । অধরা ।।
—মেঘা ঘোষ
ভালোবাসা বলতে যদি বলি,তোমার মনের গোপন কথাগুলি!
চোখের পানে উদাস পানে চেয়ে তাকাও এমন বৃষ্টি নামে ধেয়ে!
সত্যি করে বলো তুমি সত্যি আছে কতকখানি?
কিসের তোমার ব্যকুলতা লুকাও অমন নীরবতা?

পথের পানে চাইতে এসে তোমায় খুঁজি যখন—
শ্রাবনধারা লুকায় আঁখে বৃষ্টি নামে তখন—
আজব তুমি আজব আমি দিশেহারায় মন—
অনেকখানি চাওয়া পাওয়া রইলো আজীবন!

পথের খোঁজে পথ যে হারাই তুমিও খোঁজো পথ
আমরা দুজন নেইকো ভালো বলছে মনোরথ!
হয়না দেখা পথের মাঝে মনের আদানপ্রদান!
চেনা হয়েও রইবো আঁধার বিশাল ব্যবধান!

——————————————–
. ….”কবি”……
৷ __নীল__
১৮.১০.২০২০
(পূনর্বিন্যাস
০৯.০৮.২০২২)

কবিতা কখনো প্রেমময়ী আনন্দধারা,
কখনো দুঃখ নীল দুঃখ,
মানব জীবনের সভ্যতার প্রাতিসস্তম্ভ,
জীবন চলার সাথি,
স্বর্গীয় অমৃত সুধা !!

কবিতা কখনো হিংস্র দানবী,
প্রতিবাদী খড়্গহস্তা,
দেবী দুর্গার দশ হাতের শাণিত প্রতিরোধ,
শোষিতের মনোবল,
শোষকের নাভিশ্বাস !!

কবিতা কখনো কৃষকের সোনালি ফসল,
মাঝির জারি সারি ভাটিয়ালি গান,
মানবতায় মোড়ানো
মাঘের কনকনে শীতে,
বিবস্ত্রের উষ্ণ চাদর !!

কবিতা কখনো নির্মম একাকিত্ব,
মেঘে ঢাকা বিষণ্ন আকাশ,
ভাঙা হৃদয়ের নীল বেদনা,
প্রাণহীন নিষ্ক্রিয় দেহে
সজীব সতেজ প্রাণের স্পন্দন !!

কবিতা বহুরূপী,
কখনো প্রেম,
কখনো ঘৃণা,
কখনো বুকের পাঁজরে আগলে রাখা
অকৃত্রিম ও অকৃপণ ভালোবাসা !!
কখনো অনিরুদ্ধ বেদনায় দুমড়ে মুচড়ে কুঁকড়ে
যাওয়া রূপ, রসহীন ধূসর রঙা ঝরা বকুল !!
কখনো অন্ধ নির্মমতায়, পদতলে পিষে
বিতারিত করা সকল পাপ ও অন্যায় !!

কবির কবিতা, চিরসত্য বাস্তবতা,
সেই বাস্তবতার নিখুঁত শিল্পের স্রষ্টা ও
নিপুণ কারিগর, একজন নির্মল,
মহৎ ও মহাপ্রাণ,
তার নাম__
ক__বি !!

__নীল কবিতা__

——————————————–
★ আমি কবি নই★
… মনিরা ইসলাম
তাংঃ০৯/০৮/২০২২
—————————–
আমি কবি নই
বর্ণমালার সঙ্গে অতটা সখ্যতা গড়ে ওঠেনি আমার
এখনো বর্ণে বর্ণে মিলন ঘটিয়ে
একটা সম্মোহনী শব্দ বুনতে পারিনি আমি
যে শব্দমালা তোমার আমার মনের কথা বলে!
তবুও তুমি আমাকে কবি বল
ভীষণ আড়ষ্ট হয়ে পড়ি তোমার কথায়
থমকে যাই, লজ্জায় মাথা নত হয়ে আসে।
মিথ্যে বলবো না
কিছুটা সুখানুভূতি হয় বটে কিন্তু
ভীষণ ভয় হয়, তুমি কবি বললে।
ভয় হয় কবিতার প্রেমে পরে
তুমি আমাকেই ভুলে না যাও!
কবি সে-তো অনেক কিছুর সমাহার
আমার যে অত গুণ নেই
আমি শুধু তোমাকেই চিনি
আমার বর্ণমালার প্রতিটি ভাঁজে!!
এতোটা স্বার্থপর হলে কি কবি হওয়া যায়?
কবিরা তো উদার
আমি তো অতটা উদার নই!
শুনেছি কবিরা নাকি
হাসতে হাসতে বিসর্জন দিতে পারে
আকাশের মতো বিশাল বুক তাদের
সাগরের মতো উম্মুক্ত কিন্তু দেখ
আমি এসবের কোনোটাতেই নেই।
আমি তোমাকে বিসর্জন দিতে পারবো না
আমি যখন আকাশের মাঝে
তোমার নিটোল প্রচ্ছদ আঁকি
তখন আমার চাঁদকেও হিংসা হয়!
তাহলে আমি কবি হব কিভাবে?
আমি কবি নই
আমার কবিতা বল আর কাব্য বল
সে-তো তোমারই প্রতিচ্ছবি।
কবিরা কি এমন হয়?
কবি হতে গিয়ে পাছে তোমাকেই
হারানোর ভয় হয়।
আমাকে কবি বল না
আমি মানবী হতে চাই তোমার কাছে
ভীষণ ভালোবাসার কাঙাল আমি
কবি সে-তো সবার জন্য
আর আমি শুধু তোমার জন্য।
আমি কবি নই
কবি হতে চাইনা আমি।।
—————————–
(পাণ্ডুলিপি সংরক্ষিত)
রচনা কালঃ ০৮/০৮/২০২২
সিরাজগঞ্জ।

——————————————–
ভাবায় অনেক কিছু
••• মির মহঃ ফিরোজ
লেখা ::[} ০৮-০৮-২০২২ {] প্রকাশ :: [] ০৯-০৮-২০২২ []

পথিমধ্যে বাসটা যদি খারাপ না হ’ত,
তাহলে কি আমি, এ দৃশ্য পরখ করতে পারতাম!
বিড়ম্বনাও অনেক সময় আনন্দ ও জ্ঞানের কারণ।

কাঠফাটা রোদ ; বিকল হ’ল গাড়ি,
সুনসান পথঘাট, ছাওয়া নেই কোথাও ; ঐ দূরে —
বট-কাঁঠাল তলা ; পায়ে পায়ে যাই সবাই সেথা।

লোকজন ছিলনা বেশি ; চালু গাড়িতে সবাই গেল চলে,
জায়গাটা ভালো লাগে ; গুঁড়িকাঠে যাই বসে,
ওখানে পুকুরে হাতমুখ ধুয়ে, থাকি পরের বাসের অপেক্ষাতে।

হঠাৎ ব্যা, ব্যা ডাকে, পেছন ফিরে দেখি —
দু’টো ছাগল বাঁধা আছে, কাঁঠাল গাছের ছায়ায়,
ক’টা পাতা পড়ে আছে দূরে ; খাবে বলে ওরা টানাটানি করে, নাগাল পায়না।

কিছুক্ষণ পর একটা লরী গেলো চলে —
হাওয়ার টানে পাতাগুলি এলো ওদের নাগালে,
পরম তৃপ্তিতে ওরা খেতে লাগলো মুখ নেড়ে নেড়ে।

পাতাগুলো খেয়ে ওরা শান্ত হয়ে বসে,
মুখোমুখি হয়ে যেন কত কথা বলে ; আমার বাস আসে চলে,
ফাঁকা বাসে উঠে বসে পড়ি ; জানালার ধারে, অপূর্ব!

ঘন্টাখানেকের অনুভূতি ;চলমান পথে নানান দৃশ্য,
আমাকে মোহিত করে তোলে ; ভাবায় অনেক কিছু।
____________________________________________
[[ মি. ম. ফিরোজ ][ সোমবার ][ ২২-শে শ্রাবণ, ১৪২৯ ]]

——————————————–

#মহরমের_পবিত্র_দিনে
স্পর্শের খোঁজে
শ্যামল কুমার মিশ্র
৯-৮-২০২২

অপরাহ্ণের শেষ আলোটুকু মুছে যাচ্ছে শিরীষের পাতায়
ক্লান্ত অবসন্ন খোকন চেয়ে থাকে দিগন্ত পানে
চোখের সামনে ভেসে ওঠে ছেলেবেলার দিনগুলো…

ছোট্ট একটি ছেলে চলেছে
রোশন চাচার কাঁধে চেপে মহরমের মেলায়
হাজারো প্রশ্ন ছেলেটির
মহরম কি? তাজিয়া কি করে বানায়? এমনি নানা প্রশ্ন…

শান্ত স্থির চিত্তে উত্তর দিয়ে চলেছেন রোশন চাচা
পলিত কেশ আজানুলম্বিত দাড়িতে
রোশন চাচা যেন এক ফেরেশতা

চোখ বন্ধ করলে খোকন আজও যেন
রোশন চাচার গায়ের আতরের গন্ধ পায়
চরম নির্ভরতায় রোশন চাচার সঙ্গে পথ হাঁটত খোকন
আজ সব যেন কেমন স্বপ্ন মনে হয়

কী সব আইন এলো
কোনো এক শীতের সকালে
রোশন চাচা হারিয়ে গেল কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে

মহরমের এই দিনে যখন সানাইয়ের সুর বেজে ওঠে খোকন এসে দাঁড়ায় কাঁটাতারে বেড়ার এপারে
দৃষ্টি মেলে ধরে দূরে বহু দূরে
তাজিয়ার আড়ালে খোকন খুঁজে চলে
সেই দুটো চোখ আর আঙুলের স্পর্শ

ধীরে ধীরে এপারের সূর্য যেন হারিয়ে যায় ওপারের শিরীষের আড়ালে
মৃদুমন্দ বাতাস এসে ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায়
খোকন যেন রোশন চাচার পরশ খুঁজে পায়
টপটপ করে জল ঝরে পড়ে…

——————————————–

হৃদয়পুরে
দিলীপ ঘোষ
০৯/০৮/২০২২

আমাদের হৃদয়পুরে
দেখতে পেলাম অনেকদিন পরে
একটা শুকতারা, নক্ষত্রদের দেশে

বটগাছের ছায়ায়
রাধাচূড়া নদীর জোয়ারে
আনন্দে হাত পা তুলে
মোহনার দিকে যায় ভেসে

নরম আঙুলের ছোঁয়ায়
শূন্যতা হারে পূর্ণতার কাছে
বাস্তবিকতার মায়াবী স্পর্শে
শিমুল তুলোর জীবন্ত বালিশ
রাত গভীরে কাছে আসে
থাকে দেহের সাথে মিলেমিশে ।

Powered by themekiller.com