আমার যত ইচ্ছে ছিল
রূপালী রায়
২০/০৬/২২
আমার যত ইচ্ছে ছিল দিলাম,
দখিনা হাওয়ায় উড়িয়ে,
হাওয়ার সাথে,ওই বাতাসে নাও না
তুমি কুড়িয়ে।
ভাবনা যত, দুঃখ যত, সবই
তোমায় দিলাম,
বুঝবে তুমি মনের ব্যাথা,কষ্ট
কেন পেলাম!
সেদিন তুমি ভাসবে সুখে,
মন ভরাবে খুশিতে,
সব পেয়েছো জানবে তুমি,
চোখে ঝিলিক হাসিতে।
মন দিয়েছি আগেই তোমায়,
নাওনা তাকে চিনে,
কেমন করে থাকবে বলো,
সে,তোমায় বিনে!
মন দিয়েছি,ভাবনা যত,ইচ্ছে,
সবই তোমায় দিলাম,
বিনিময়ে সব দিয়েছো,তাইতো,
তোমায় আমি পেলাম।
——————————————–
মেঘলা প্রহর
–মোঃ হাবীবুর রহমান
ছাই রঙা মেঘে আজ ছেয়েছে আকাশ,
থমথমে আবহাওয়া
শীতল বাতাস।
ধীরে বহে উত্তরী পাতাদের ফাঁকে,
জলোপরি হিল্লোল
জলধির বাঁকে।
কচুরির দাম ভাসে ওই কিনারে,
গাছেদের ছায়া কাঁপে
জলে বারে বারে।
ডাহুকের ছানাপোনা কচুরিপানায়,
ইতিউতি পোকা খোঁজে
ক্ষুধার তাড়ায়।
গাছে বসা পাখিগুলো উড়ছেনা আর,
দূরে কোথা গাংচিল
করে চিৎকার।
ধবধবে ডানা মেলে বকেদের ঝাঁক,
ওড়ছে আকাশ জুড়ে
ঘুরে চক্রবাক।
উদাসী পেলব ওই নরোম আকাশ,
স্বল্পালোক স্নিগ্ধতা
মন জুড়ে থাক।।
২১জানুয়ারী /২০১৯
——————————————–
সুভাষ রঞ্জন রায় ।
ভরদুপুরে ।
জৈষ্ঠ্য মাসের ভর দুপুরে
সবাই যখন ব্যস্ত কাজে,
তোমার বাড়ির তালপুকুরে
দেখি তোমায় সিক্ত লাজে।
পদ্ম পাতার ঝাকের মাঝে
অসীম তব আলোর আঁচ,
কেলিরত রূপে তোমার
বক্ষে আমার প্রলয় নাচ।
ডুব সাঁতারে কেশ ভিজিয়ে
হলে যখন এপার ওপার,
দেখে আমার হৃদয়পুরে ,
বাজায় লক্ষ ঢাকে ধুন্ধুমার।
সিক্তবসনে দুলিয়ে দেহ
গেলে যখন ঘরে ফিরে ,
কেমন যেন চিন চিন ব্যাথা
বুকের মধ্যে অচিন পুরে।
লজ্জা ঢাকার হাজার প্রয়াস
করলো তোমায় শুধু উপহাস ,
আড়চোখে দেখে আমায়
শুনালে হৃদয়ের দীর্ঘ শ্বাস ।
——————————————–
মেঘেরাও কাঁদতে জানে
রফিকুল ইসলাম
সময়ের অদৃশ্য ডানায় ফিরে আসে
সজল সঘন-বরষা
মেঘেরাও অঝরে এখনও কাঁদতে জানে
মাঠ-ঘাট, নদী চোখের জলে ভাসিয়ে দিতে পারে
কেঁদেকেঁদে কষ্টের সাত রঙা রংধনু আনে।
আষাঢ়ের বৃষ্টিতে ভেজা কদমের চোখে এখন
সীতাকুন্ডের কন্টেইনারের আগুনের তৃষ্ণা,
দুরন্ত বলাকা পাখায় উড়ে গেছে বৈকালিন ভালোবাসা।
দুপুরে মাথার উপর চিলের তীব্র ডাক শুনতে পায়,
বরষায় অবসরে প্রিয়তির নঁকশী বুনা চোখমুছা রুমাল খুঁজে বেড়ায় ।
প্রিয়তির অপেক্ষায় সন্ধ্যাগুলো ক্ষয়ে ক্ষয়ে যায়
কোথাও আলো নেই, কেউ নেই কোথাও—
একটু আলো ধার দেবার,
বাঁচার অধিকারে নেই বুক ভরে নিঃশ্বাস নিবার,
নির্ভরতার কক্ষপথের দুরত্ব ছেড়ে কৌণিক যাত্রায়
ডুবে গেছে চাঁদ কালো অন্ধকারের সীমায়।
——————————————–
|| বান্ধবী ||
| অভিজিৎ দাস |
– ২০/০৬/২২
————————————
পার্কস্ট্রিট মেট্রো স্টেশনে থামের আড়ালে
আলিঙ্গনারত এক প্রেমিক-প্রেমিকা।
মনে পড়ে গেলো
সেই বৃষ্টির জলে ভিজে যাওয়া লাজুক মুখ,
গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়া পৃথিবীর ফোঁটা।
ঝড় জলের রাতে ডুবে যাবো জেনেও
গায়ে সমুদ্র রঙ মেখে
সারা শরীর উন্মুক্ত করে
নিজের নৌ-বহর ভাসিয়ে ছিলাম সেই পৃথিবীতে,
লিখে ফেলেছিলাম আদিম সভ্যতা।
ট্রেন ঢুকে পড়লো মেট্রো স্টেশনে, চলেও গেলো
এখনও তোমরা হাসিমুখে থামের আড়ালে।
কদিন পর, আর কদিন পরে
লৌহভরা অভিযোগে অভিশাপে কান্নায়
যাচ্ছে তাই হবে না তো?
কেন মিথ্যে ভয় পাচ্ছি?
পঞ্চাশ বছরের যুবকের পাঁজর ফুটো করে
কেন বের হয়ে আসছে স্মৃতি বাইরে?
নাহ! এতো কিছু ভাববো না,
আজ এই বৃষ্টির দিনে
ব্যাঙ আর ঝিঁ-ঝিঁ পোকার ডাক শুনতে শুনতে
শসা আর টমেটোর স্যালাড সহযোগে
আড়াই পেগ ভদকা খেয়ে
না খেতে পাওয়া মানুষদের জন্য ভাবি।
——————————————–
কবিতা ঃ শুধু মনে রেখো!
কলমে ঃ শাদীদা মাইশা।
তাং ঃ ২০.০৬.২০২২
কেমন আছো প্রিয় তুমি
জানতে ইচ্ছে হয়,
তোমার লাগি মন উচাটন
নিশি না ফুরায়।
মনে পড়ে তোমার স্মৃতি
খুঁজি খরা আর বর্ষায়
তোমার জন্য কষ্ট অবিরত
লোকে প্রনয় পাগল কয়।
এমনি করে যায় কি চলা
নেই তো আমার জানা,
তোমার তরে হৃদয় শূন্য
সদাই থাকি আনমনা।
আমি চাই না তো কিছু
নেই কোন বায়না আগের মতো,
তুমি ভালো আছো
তাতেই উপসম হাজারো ক্ষতো!
একটা চাওয়া বিধির কাছে
তুমি ভালো থেকো,
তোমার কাছে চাওয়া আমার
শুধু আমায় মনে রেখো।