Breaking News
Home / Breaking News / দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

নির্বাচনের রামছাগল
সেন্টু রঞ্জন চক্রবর্তী

নির্বাচনের বাদ্য বাজে
রামছাগলে নাচে ,
ভোটের পরেই বাঁচার জন্য
উঠতে হবে গাছে ,
ছাগল কি আর জানে ?
তার চামড়ায় জুতা হবে
ফুর্তি করে মাংস খাবে
এই জন্যই রশি বাধা
গলা ও দুই কানে |

দল বেঁধে ঘুরবে পাড়া
বাড়ি ফেরার নাইকো তাড়া
একটু কচি ঘাসে ,
মুখটি দিয়েই যায়যে ছুটে
পথে পথে জাবর কাটে
কতই খুশি ঢাকে ঢোলে
নির্বাচনের মাসে |

কিন্তু
খেলা যখন শেষ !
হুজুর বলেন ঐটা কোথায়
ধরে তারে আনো হেথায়
হাতে পায়ে বেঁধে ফেলে
আগে কাটো গলা ,
চামড়া খুলে মাংসগুলি
করো তারে ফালিফালি
মাংস কসা বানিয়ে খাবো
সকাল বিকাল বেলা |

যেমন আদেশ তেমন কাজে
হাত লাগিয়ে খোশ মেজাজে
নানান রকম আয়োজনে
খাবারের ধুমধাম ,
ছাগল গেলো পেটে পেটে
সবাই খেলো লেটে পুটে
ছাগল বলে কান্ড একি
ভুলিয়ে দিলো নাম |

(আগরতলা পনেরো জুন ‘২২)

——————————————–
কবিতা
রাণু সরকার
________
কবিতা শোভমান গুণময়ীর জন্য
উদ্ভাসিত!
কল্পনাবিলাসী অস্থিরচিত্ত কৈশোরের
মতো!
রূপবতী করতে হবে ভাষাজ্ঞান দিয়ে!
কবির আকুতিতে সে তবেই তো ধরা দেবে।

তা না হলে ভুরু কুঁচকে মৃদুল হেসে চলে যাবে,
নতুবা লুকোচুরি খেলবে!

যুবতী না হলে কি করে মন জয় করবে!
খেলতে খেলতে কালির আঁচড়ে আঁচড়ে
গড়ে ওঠে মজার এক কবিতা-
সে তখন মহানন্দে ডায়েরির পাতায়
তালে-ছন্দে-শব্দে দীপ্যমান-
এক গাল হেসে সবার মন করে হরণ!

——————————————–

।।সাহিত্যের ভরা গাঙ্গে।।
——স্বপন বারুই
তারিখ–১৫/৬/২২

সাহিত্যের ভরা গাঙ্গে
দিলাম আমি ডুব
চারিদিকে শান্তি শান্তি
নিঃশব্দ নিশ্চুপ।

মধ্য ভাগে যখন আমি
গিয়ে পৌঁচ্ছোলাম
কত জ্ঞানী গুণী কবিদের
দেখতে পেলাম।

খাতা খুলে লিখছেন তাঁদের
মনের মতো লেখা
কি সুন্দর মনোরম পরিবেশ
আহা যায়না এমন দেখা।

ইয়া বড় বড় চুল
গাল ভর্তি দাঁড়ি
গাছের তলে আছে বসে
সেথা নাই বাড়ি।

তন্ন তন্ন করে
তল খুঁজে না পাই
তল খুঁজতে গিয়ে
তলিয়ে আমি যাই।

সাহিত্যের ভরা গাঙ্গের
নেইকো কোনো এর শেষ
আমৃত্যু চেষ্টা করলেও
থেকে যাবে এর রেশ।।

——————————————–

শিরোনামঃ নতুনের প্রতীক্ষায়
কলমেঃ মোঃ আনোয়ার হোসেন
তারিখঃ ১৬ জুন ২০২২

চল চল চল সামনে এগিয়ে চল
তোরা নতুন তোরা কচি নতুন সুরে বল।
আয়রে তোরা আয় বুকের মাঝে আয়
দেশের কথা বলবি জোর কদমে চলবি
দেশের গান গাইবি তোরা গলা ছেড়ে হায়।
ভেঙে দিবি দুর্বৃত্তের হাত শক্তি নিয়ে আয়
নতুনের মাঝে সজিব আত্মার নিঃশ্বাস বয়।
তোদের নিঃশ্বাস আর বিশ্বাস দুর্জনের ভয়
দুর্জনেরে ছুড়ে ফেল দুর্বলেরে রক্ষা কর
নতুন সমাজ গড়বি তোরা এখনই সময়।
আয়রে নতুন আয়রে কচি দল বেধে আয়
নতুন ভোরের আলোয় তোরা আয়,
বর্ষার নব জোয়ারের বাঁধ ভাঙা শক্তি নিয়ে
আয়।
বৈশাখের রুদ্র ঝড়ের শক্তি নিয়ে আয়
চৈত্রের খরতাপের দহন শক্তি নিয়ে আয়,
জরা জীর্ণ জ্বালিয়ে দিয়ে নতুনের আশীর্বাদ নিয়ে
আয়।
যা কিছু ভালো সুন্দর কল্যাণকর গড়বি তোরা আয়
দেশ আজ তাকিয়ে আছে নতুনের প্রতীক্ষায়।

——————————————–

আগুন
সুদেষ্ণা সিনহা

বুয়ামাসির পোলাটা আজ মারা গেল।
বাঙাল পাড়ায় শোকের ছায়া।
কেউ বলল—বদ সঙ্গ,বদ লেশা পোলাডার সব্বোনাশ করত্যাছিল।
কেউ বলল—-মাধান ওমন,পোলার আর কি হইব !
কেউ বলল—-পাগলী বুয়াটার কি খেতি যে হল!
কেউ বলল—-একট্টুধান পোলা ,যাবার কি বয়স আছিল!

বুয়ামাসিকে ছোট থেকে এমনটাই দেখছি,
অবসন্ন চোখের তারায় অস্থিরতা,ভয় আর অবিশ্বাস…
বাঙাল পাড়ায় সবাই বলে,
বাংলাদেশে রায়টের সময়
বুয়ামাসির চোখের সামনে
বাড়ির লোকেদের পুড়িয়ে মেরেছিল ওরা।
গোলা ভরা ধান,খেত ভরা ফসল,সেগুন কাঠের আসবাবপত্র,ঘর ভরা জিনিস,ঠাকুরদার রূপোর গড়গড়ি,সোনার গোপাল,কাঠের সিংহাসন….
সব কালো অঙ্গার….

বুয়ামাসির স্মৃতিটাও কালো আঁধার….
বুয়ামাসিকে কারা এ দেশে এনেছিল কেউ জানে না।
উদ্বাস্তু কলোনির তাঁবুতে তাঁবুতে
ঘুরতে ঘুরতে বাচ্চাটা পেটে এসেছিল।
মাসি তখন বদ্ধ উন্মাদ…..
বাচ্চা হল,উদ্বাস্তু কলোনীতে ঘর হল……
বাচ্চা বড় হল….
বুয়ামাসি ফ্যালফ্যাল করে তাকায়….
বুয়ামাসির জটাধরা চুল,নোংরা গা,মাথা ভর্তি উকুন
ছেঁড়া জামা-কাপড়,ভাঙা বোতল,প্ল্যাস্টিকের প্যাকেট…
বলরামপুর রেলস্টশনের কৃষ্ণচূড়াগাছটার নীচে
ঝোলাঝুলির সংসার
বুয়ামাসির স্মৃতিটাও কালো আঁধার।

সবাই বলল,পোলাডা তোর চলে গেল রে…
ও বুয়া কাঁদ্ কাঁদ্,কোন্ দিন আর মা ডাওন শুনবা না….
ছোট থেকে যেমন দেখেছি,
বুয়ামাসি আজও তেমন…
অবসন্ন চোখের তারায় অস্থিরতা,ভয় আর অবিশ্বাস…
এবার ছেলের চিতা জ্বলবে,
কে বা কারা মাসিকে শ্মশানে নিয়ে গেছে…
কাঠের শয্যায় বুয়ামাসির ছেলে…
আগুনের লেলিহান শিখা
দাউ দাউ করে জ্বলে উঠতেই
গর্জে উঠল বুয়ামাসি—
ওডা নিভাই ফেল।পোলাডারে নামায় দে।কি শুনব না কতা!
চিতা থেকে জ্বলন্ত কাঠ তুলে
আক্রমণ করার জন্য ছুট দিল মাসি।
বাঙাল পাড়ায় সবাই বলল—
সব্বোনাশ ! রায়টের সেই আগুনের কতা এখ্খনে মনে আয়তেছে মাইয়্যাটার।

——————————————–

অনেক পথ পেরোতে হবে
নুর এমডি চৌধুরী

বন্ধুরে! অনেক পথ পেরোতে হবে
পৃথিবীর পথ পেরিয়ে মৃত্যু নামক
নৌকায় দিতে হবে পাড়ি
তারপর শুধু পরীক্ষা আর পরীক্ষা।

এক এক পরীক্ষা এক এক রকম
সওয়াল জওয়াব পরজনমের প্রথম পরীক্ষা
যদি পাশ করতে পারো এচিভমেন্ট
পর-পরীক্ষা গুলো অনায়াসে পাশ।

সহস্র কোটি বছর প্রভুর পরজনমের পরীক্ষা
চল-ছেতো চলছেই অনাদি অনন্তকাল
পৃথিবীর মানুষ গুলো আমরা কেউ জানিনা।

জানি শুধু পরকাল আছে পুলসিরাত আছে
আছে হাসর নসর আছে জান্নাত আছে দোজখ
অবিনশ্বর এই পৃথিবী একদিন ধংস হয়ে যাবে
ইসরাফিলের শিঙ্গার ফুকে মহা প্রলয় হবে
হবে সকল আত্মার মৃত্যুর যবনিকা।

অবশিষ্ট রবে প্রভু আর ইসরাফিল(আঃ)
তারপর প্রভু বলবেন মত্যুর আর কে বাকী
ইসরাফিল আ: বলবেন প্রভু এক আপনি আরেক আমি
প্রভু বলবেন দোযখ বেহেস্তের মাঝখানে দাড়াও
ইসরাফিল আ: দাড়াবেন প্রভু বলবেন এবার “মর”

সোবহান আল্লাহ প্রকন্ড শব্দে ইসরাফিলের মৃত্যু হবে
অবশিষ্ট এক আল্লাহ রবেন যিনি যুগযুগে নবী রসুল দিয়ে
বার্তা দিয়েছেন আল্লাহ এক অদ্বিতীয় তার কোন শরীর নেই
তিনি অবিনশ্বর আর রসুল মোহাম্মদ (সঃ) শেষ নবী।

ফের আল্লাহ মৃত ইসরাফিল (আ)কে ঈশারা করবেন
জেগে উঠো জেগে উঠো জেগে উঠো ইসরাফিল
সোবহান আল্লাহ, প্রভুর হুকুমে ইসরাফিল জেগে উঠবেন।

ফের প্রভু বলবেন ফুক দাও শিঙ্গায়, ফুক দেওয়া হবে
ফুকের শব্দে সমস্ত কবর বাসী এবার জেগে উঠবে
ইয়া নাফসি ইয়া নাফসি ইয়া নাফসি শব্দে
মুখরিত হতে থাকবে হাশরের ময়দান
সূর্য বিরাজ করবে মাথার উপর এক ফরসাখ
অর্থাৎ তিন কিলো দূরে।

মাটি থাকবে সমতল মসৃণ ধূসর ময়দানে
প্রভু বসবেন বিচার আসনে। আর আমার নবী
মোহাম্মদূর রসুলুল্লাহ (সা:) থাকবেন সিজদা-বনত
সোবহান আল্লাহ আমরা সেই নবীর উম্মত।

——————————————–

Powered by themekiller.com