বেরসিক বেঁচে থাকা
সারমিন জাহান মিতু
২৭-৪-২২
ওমেন্স কলেজ পেরিয়ে গুটি গুটি পায়ে পেরেক পোতা পথে হাঁটতে হাঁটতে টি এন্ড রোডে -বকুল গাছটি কত যুগের স্বাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে,
ফুলহীন একাকিত্বের যন্ত্রণা নিয়ে।
একদিন প্রথম দেখা হয়েছিলো কৈশোর তখন আমাকে ছেড়ে যৌবনের ঢাক ঢোল- তখন বকুলের শাখায় শাখায় বৈশাখী ভালোবাসায় বকুল তলা,
আমি লাজুক আঁখির কাজলে লুকিয়ে তোমাকে দেখলাম – ভালোবাসলাম অজান্তে।
তুমিও হয়তো বেসেছিলে ভালো – এখন তুমি ফেরারি আসামি – কোন দিগন্তের পথ ধরে হেঁটে গেছো- রামধনুর রঙে মুছে গেছে পায়ের চিহ্ন।
বকুল গাছটার বয়স বেড়েছে – কে জানে আমার মতো করে মনে রাখে কিনা সে তোমাকে,
কিন্তু একদিন ফিসফিস করে ওর শরীর ছুঁয়ে বলেছিলাম তোমাকে বড্ড ভালোবাসি – গাছের শাখায় দুলে ছিলো সবুজ পাতা।
সবকিছু একদিন অতীত হয়ে যায় – গতকালের ভালোবাসা আজকে কেমন পর করে দেয় – নিজের বলে থাকে শুধু ৪৪°তাপদাহের যন্ত্রণা,
কেউ বোঝেনা কেমন কষ্ট নিয়ে বেঁচে থাকতে হয় খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে পথের শেষে অপেক্ষায়।
আসলে কেউ কারো নয়- যতটা মানুষ বলে – রোজ যতটা কষ্ট নিয়ে বেঁচে থাকতে হয়,
বেঁচে থাকাটাও বড্ড বেরসিক – পথ ছাড়েনা
তোমাকে ছেড়ে যাবার।