Breaking News
Home / Breaking News / ফরিদগঞ্জে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন, শাস্তিমূলক ব্যবস্থা চলমান

ফরিদগঞ্জে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন, শাস্তিমূলক ব্যবস্থা চলমান

আবু হেনা মোস্তফা কামাল, ফরিদগঞ্জ: ফরিদগঞ্জে বিদ্যুৎ লাইন থেকে অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কর্তৃপক্ষ। চরভাগল-হাঁসা সেচ স্কিমে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবহার করছিলেন লাল মিয়া। সোমবার দিবাগত রাত আনুমানিক সাড়ে ১২ ঘটিকায় ওই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের চরভাগল-হাঁসা বিল। সেখানে প্রায় অর্ধশত একর জমিতে বোরো ধানের সেচ স্কিম চলমান রয়েছে। স্কিমটি পরিচালনার দায়িত্ব নেন স্থানীয় চাঁদপুর গ্রামের লাল মিয়া প্রকাশ্য লালু (৫৫)। অভিযোগ উঠেছে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দ্বারা ওই স্কিমের সেচ পাম্প চালানো হচ্ছিলো। খবর পেয়ে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের কয়েকজন সদস্য সোমবার রাতে স্কিমস্থলে যান। তারা প্রত্যক্ষ করেন, সেখানে প্রবাহমান বিদ্যুৎ লাইন থেকে হুকিং করে মটরের সাহায্যে পানি সেচ করা হচ্ছে। পাশেই ডিজেল চালিত একটি পাম্প মেশিন থাকলেও তা বন্ধ ছিলো। তাৎক্ষণিক তারা অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

কৃষিজমি সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, স্কিমে পানি সেচের কাজ করেন লাল মিয়ার ছেলে মোঃ জিয়া (২৭)। এ বছরের স্কিমটি চালু করা হয় জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে। এ হিসেব অনুযায়ি এ মৌসুমে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগটি চলেছে প্রায় দুই মাস। তারা বালেন, জমিতে গেলে লাইনের সঙ্গে হুক দ্বারা তারের সংযোগ দেখতাম। কিন্তু, এর মাধ্যমে সেখানে বিদ্যুৎ চুরি হচ্ছে- এমনটা আমরা জানি না, বুঝিও না। এক প্রশ্নের উত্তরে কয়েকজন কৃষক জানান, শতাংশ প্রতি ৪০ টাকা হারে তারা স্কিম চালক লাল মিয়াকে দেন। এ হিসেবে এক মৌসুমে প্রায় পৌনে দুই লাখ টাকা ওঠে।

অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন অভিযানের নেতৃত্ব দেন ফরিদগঞ্জ জোনাল অফিসের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার আবুল কালাম। তাকে সহায়তা করেন তারিকুল আলম গ্রেড-১, সঞ্জয় সরকার লাইনম্যান গ্রেড-১, মোক্তার হোসেন লাইনম্যান লেভেল-১। জানতে চাইলে আবুল কালাম বলেন, আমরা হাতেনাতে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দ্বারা সেচ পাম্প চলতে দেখেছি। ওই সময়ে অবৈধভাবে বৈদ্যুতিক কাজে ব্যবহৃত তার নিয়ে আসি এবং অফিসে জমা দিয়েছি। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, নিয়ম অনুযায়ি আমি অফিসে লিখিত রিপোর্ট জমা দিয়েছি। তিনি বলেন, মৌসুমের শুরু হতে চালানো অবৈধ সংযোগের বিল আনুমানিক অর্ধ লাখ টাকা বা তার কমবেশি হতে পারে।

এ ব্যপারে কথা বলার জন্য অভিযুক্ত লাল মিয়ার বসত বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার বড় ছেলে সবুজ (৩৫) দাবী করে বলেন, এ সব ষড়যন্ত্র। আমরা ডিজেল চালিত ইঞ্জিন দ্বারা স্কিম চালাই।

এ ব্যপারে জানতে চাইলে ফরিদগঞ্জ জোনাল অফিসের ডি.জি.এম প্রকৌশলী কামাল হোসেন বলেন, প্রাথমিক শস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে লাল ময়িার আবাসিক বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এছাড়া, আমাদের করণীয় অন্যান্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

Powered by themekiller.com