আরোপ
জাহানারা বুলা।
এখনই চূড়ান্ত ভেবে নিয়ে আরোপ দিও না,
এ দুটি ঠোঁট দিয়ে
সূর্যের মত জ্বলজ্বলে উজ্জ্বল
তোমার ওষ্ঠের তিলের তাপমাত্রা মেপে
দেখবো বলে
অ্যাঞ্জেলিনা জোলির ঠোঁট আমি উপেক্ষা করেছি!
অজানা চোখের দুটি পাতা
ঘুমন্ত লাশের মত হীম
নাকি মরুভূর বালুর মত উড়ন্ত উষ্ণতায় উন্মিলিত,
আমার নিশ্বাসের ঝোড়ো হাওয়ায়
কেঁপে উঠে বলে কি না – “আশ্রয় চাই” –
আমাকে একবার দেখে যেতে দাও!
আমরা কি একটি বসন্তের বিকেল পেয়েছি
অস্তগামী আলোর পায়ে,
ঢেলেছি কি হাতের তালুতে হাত
বহু দূর হেঁটে গেছি এখনো
উজ্জীবন ঘেরা সুন্দর কোনো পথে?
তুমিও তো পরীক্ষা দাওনি –
আমার সিগারেটের ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন
কফি শপের নিভৃত এক কোণে
একান্ত ব্যক্তিগত হয়ে বসে থাকার তোমার ধৈর্যের!
এখনো মাপা হয়নি আমার নিরস কথা,
গুরুগম্ভীর ব্যক্তিত্ত্ব তোমার প্রগলভতার সাথে
মিলেমিশে কতটা পরিবেশ শোধন বা দুষণ করে।
কত ঘন্টা তোমার বেবসনা বুকে
পড়ে থাকতে পারি একটানা,
কত ঢেউ ভেঙে দিয়ে
তোমাকে করে দিতে পারি শান্ত দিঘি,
দেখা হোলো কই?
শুধু একদিন খুঁজে না পাই যদি তোমাকে
ইথারের সবুজ সুড়ঙ্গ পথে
সেদিন মরুভূমি হয়ে যাই,
হয়ে যাই জলহীন জলদ,
হৃদয়রক্তজবা বিবর্ণ সেদিন,
ঊর্ণনাভ ছড়িয়ে দেয় লূতাতন্তূ,
চলে হাসফাঁস ধমনিতে!
আরোপ লাগাবে কেন অপ্রেমিক ভেবে?
তুমি-আমি এখনো তো অচেনা!
এখনি ভাবছো কেন –
দুজনেই নিরর্থক আমরা?