হে মহান,মহামান্য ফেসবুক!
আমি অতিশয় একজন ক্ষুদ্র কীটপতঙ্গ।
যৎসামান্য জ্ঞান আমার।
তোমার বিশাল বুকে যে
বিশল বিশাল আকাশচুম্বি মানুষেরা!
তাদের ছায়া তলে দাঁড়িয়ে
আমিও একটু শীতল হতে চেয়েছিলাম।
দুর্ভাগ্য আমার মহমান্য ফেসবুক,
এখানেও বিদ্বেষ, টানাটানি, দ্বন্দ্ব আর অভিসন্ধি।
এখানেও দুর্গন্ধ পচনের,চোরা নর্দামার।
এখনেও ডুবে যাওয়ার ভয় থাকে প্রতিক্ষণে।
এখানেও পদপিষ্ট হতে হতে
বহুবার জানে বেঁচে গেছি আমিও।
সুতরাং আমি চললাম
আমার আপন পুরাতন “খাতা কলমে”।
চললাম আপন ক্ষুদ্রালয়ে।
এ বিশালতায় চাপা পড়ে
আমার রুগ্ন দেহটাকে আর চুড়মার করতে চাইনা।
যা আছে সম্বল তাই থাক সাথে
গল্প হবে না হয় আপন ছায়ার সাথে দিন ও রাতে।
ছোট হোক তবুও সেটাই আপন আবাস
ফিরে যাই এই অহংকারের ভীর থেকে আপন নীড়ে।
এখানে আর কিছু নেবার নেই
যা ছিলো তাও তুমি বন্দি করেছ প্রফাইল লকে।
কবিতা ও ছড়া এখানে দিন রাত থাকে আক্রমণে
ছিঁড়ে খেতে চায় একে অপরের চামড়া খুলে
এখানে চলবে না আমার
সস্তা দরের বস্তা পচা হাল্কা চালের কাব্য লিখে।
হাতে পেলে কামড়ে খাবে,
সামনে পেলে মারবে ছুড়ে।
এখানে কবি ও কবিতা ভিন্ন দুটি বিপরীত সত্বা
এখানে আমার দম কেড়ে নেবে কমেন্ট বক্সে
তুচ্ছ তাচ্ছিল্যে ভরে যাবে আমার জীর্ণ শরীর।
এখানে আমার কোন ঠাঁই নেই মহামান্য ফেসবুক
এখানে আমার দম আটকে আসে, প্রচণ্ড চাপে থাকি।
তার চাইতে বরং
একা এক ঘরে টিমটিম লণ্ঠন জ্বেলে
না হয় চালিয়ে যাব খড়িমাটির আঁচরে
‘নিঃসঙ্গ জীবনের” আত্মপ্রলাপের মুদ্রাঅঙ্কন।
ক্ষমা করো হে মহামান্য ফেসবুক, অধম আমি
বিশাল তুমি, তুমি তবে বিশালদের নিয়েই থাক ।
– রিটন মোস্তাফা