🛑 প্রতি বছরই নির্দিষ্ট দিনে বাবাকে ঠিকই দেখতে পাই 🛑

🛑 প্রতি বছরই নির্দিষ্ট দিনে
বাবাকে ঠিকই দেখতে পাই 🛑

– রিটন মোস্তফা

হয়ত বা আপনাদের বিশ্বাস হবে না। না হলেও ক্ষতি নেই। যেটা গত বাইশ বছরে বাইশ বার হয়ত শেয়ার করা যেত, যদিও তখন ফেসবুক ছিল না। ছিল না যা ইচ্ছে তাই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করা। গতকাল শেয়ার করতে গিয়েও করিনি। কিন্ত আমার বয়সটাও বাবার শেষ এজের কাছাকাছি চলে এসেছে। বর্তমান যে সময় যাচ্ছে সেখানে মাল্টিভারর্স ইউনিভার্সকে যখন এসাট্রোনমাররা খুবই গুরুত্বের সাথে প্রাধান্য দিচ্ছেন, এবং এই থিউরিকে অনেকেই ইতিমধ্যেই কিছু যৌক্তিক কারণে বিশ্বাস করছেন, সেই থিউরিতে ইউনিক বলে কোন কথা তারা এই ক্ষেত্রে মানতে নারাজ। অর্থাৎ আমাদের এই মহাবিশ্ব শুধুমাত্র একটাই না, হয়তো ভিন্ন ভিন্ন হাই ডাইমেনশনে আমাদের ব্রহ্মাণ্ডের মত এরকম অসংখ্য ইউনিভার্সের অস্তিত্ব থাকাটা অস্বাভাবিক না। এবং বিগব্যাঙ একটি নিয়মিত ঘটনা। যাইহোক এই মাল্টিভার্স থিউরিতে আমাদের ব্রহ্মাণ্ডের মত আরও অসংখ্য অসংখ্য ব্রহ্মাণ্ড থাকতে পারে, যার কোন একটিতে আমাদের সৌরজগতের মত হুবহু কোন সৌরজগত আছে এবং পৃথিবীর মত কোন হ্যাবিটেবল জনে সেই সৌরজগতে আমাদের পৃথিবীর মত জীবন চক্র বুকে নিয়ে কোথাও আরও একটি পৃথিবীর অস্তিত্ব আছে। যেখানে আমার আপনার মত হুবুহু ডুপলিকেট আছে। হয়ত তাদের কাজ ভিন্ন হতে পারে। অর্থাৎ আপনি এখানে কবি অন্যটাতে আপনার কপি হয়ত সঙ্গীত শিল্পী। গঠন, আচরণ, চেহারা একরকম হয়ত কিন্ত ঐরকম কর্মটা ওখানে আপনার কপি জমজের ভিন্ন হয়ত। যাইহোক পরিষ্কার একটা উদাহরণ দিয়ে মূল প্রসঙ্গে যাব।

ধরুন আপনারা চারজন কার্ড বা তাস খেলছেন। এই তাস খেলতে বারবার বাটতে হয় নির্দিষ্ট ৫২ কার্ড চারজনের মধ্যে। এটা যদি কন্টিনিউ করতে থাকেন তাহলে একরকম কার্ড আপনার হাতে দ্বিতীয়বার আশাটা অসম্ভব না। ঠিক এটাই মাল্টিভার্স থিউরিতেও সম্ভব আপনার মতই ডুপলিকেট কেউ সেই মাল্টিভার্স অর্থাৎ অসংখ্য ইউনিভার্সের কোন একটি গ্রহে বসবাস করছে। যাইহোক এই থিউরিতে যখন আমরা বিশ্বাস করবো, তখন ইউনিক বলে কোন জিনিসই থাকে না। অর্রাৎ ডুপলিকেট মানুষের মতই আর সমস্ত কিছুর হুবহু কপি হয়ত এরকম অসংখ্য অসংখ্য ব্রম্মাণ্ডের কোন একটিতে মজুত আছে। যাইহোক এটাও বিশ্বাস করতে বলছিনা। কারণ এটা পরীক্ষিত সত্য না, তবে এটা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ একটি থিউরি, এবং এখানেই এটা থিউরিতেই সীমাবদ্ধ।

আমরা জানি, আর সব বাদ দিলেও প্রকৃতির বুকে এমন কিছু কিছু ঘটনা কারও কারও সাথে ঘটতেই পারে, যেটা হয়ত অন্যদের সাথে কখনওই ঘটে না। তাই বলে যে এরকম ঘটনা কখনওই ঘটেনা বা ঘটবে না সেটাও কিন্ত না। অবশ্যই ঘটে, ঘটতেই পারে। যেমন আমার সাথে বিগত বাইশ বছর ধরে কোনরকম ব্যতিক্রম ছাড়াই ঘটে আসছে। সেটা হল আমার বাবা বাইশ বছর আগে মৃত্যুবরণ করার পর থেকে প্রতিবছরই তার মৃত্যু বার্ষিকীর ঠিক আগের রাতে ( ২৭ মার্চ ) আমি স্বপ্নে আমার মরহুম বাবাকে দেখতে পাই, এবং প্রতিবছরই ঐ স্বপ্নগুলোতে তার সাথে আমার যথেষ্ট ভালো কিছু সময় কাটে এবং পরের দিন থেকে বাবার ব্যাপারে আমার একটা ভালো অনুভূতির সৃষ্টি হয়।

গত ২৮ মার্চ আমার বাবার মৃত্যু বার্ষিকী ছিল, কিন্ত ঠিক তার আগের দিন আবারও তকে স্বপ্নে দেখেছি বরাবরের মতই। এবার তার সাথে আমি সুন্দর একটা বাগানে বসে তার কন্ঠে সুন্দর একটা গজল শুনেছি।

– ঘটনাটা ইউনিক কি না জানি না, বিশ্বাস করবেন কি করবেন না এটা আপনার উপর নির্ভর করছে। তবে আমি নিয়মিত প্রতিবছরই তার মৃত্যু বার্ষিকীর আগের দিন কিছু সুন্দর সময় বরাবরের মতই কাটাই।

– বাবা, তোমাকে আল্লাহ ক্ষমা করুক, ঠিক ঐরকম একটি সুন্দর সাজানো ফুলের বাগানে তিনি তোমাকে ভালোবেসে স্থান দিক। আমি গজল শুনতে আসবো বাবা।

দ্রষ্টব্য- এজন্যই গত দুইদিন আমাকে আপনারা তেমন একটা ফেসবুকে পাননি।