Breaking News
Home / Breaking News / সকল ষড়যন্ত্র কে উপেক্ষা করে আদালত থেকে জামিন পাওয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান গাজীর মিলাদ ও দোয়া।

সকল ষড়যন্ত্র কে উপেক্ষা করে আদালত থেকে জামিন পাওয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান গাজীর মিলাদ ও দোয়া।

মোঃ হোসেন গাজী।।

মিথ্যা মামলার জামিন পেলেন গাজী পরিবার।
হাইমচর উপজেলার গত শুক্রবার ১নং গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদে হামলার ঘটনা ঘটে হামলায় ইউপি চেয়ারম্যান মেম্বার সহ ১৫ জন নারী—পুরুষ আহত হওয়ার ঘটনায়, উত্তর আলগীর নজরুল ইসলাম নজু—কে আটক করে পুলিশ সোপর্দের পরে ইউ.পি চেয়ারম্যান বাদী হয়ে গত শনিবার হাইমচর থানায় নজু—কে ১নং ও সোহেল রানা মাঝি পিতা মৃৃৃত আব্দুল জলিল মাঝি, উত্তর আলগী ইউনিয়ন ২নং আসামি করে মোট ৮ জনের নাম লিপিবদ্ধ করে একটি মামলা দায়ের করেন।
রোববার সকালে আটককৃত নজুকে পুলিশ আদালতে প্রেরন করলে তাকে কারাগারে প্রেরন করে, একই দিনে আসামি সোহেল রানা ছারা বাকি ৬ জন আদালত থেকে জামিনে মুক্তি লাভ করে। সোমবার সকালে ওই মামলার আসামি বাদী হয়ে হাইমচর থানায় পাল্টা একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় আক্তার গাজী পিতা হাবিবুর রহমান গাজী —কে ১নং আসামি করে মোট ১১ জনের নামে মামলা দায়ের করেন, বাকি আসামিরা হলো ২নং আবুল কালাম গাজী, ৩নং আবুল বাসার গাজী, ৪নং ফারুক গাজী , ৫নং আবু তাহের গাজি, ৬নং নেছার আহামেদ গাজী, ৭নং সুলতান আহামেদ গাজী, উভয়ের পিতা হাবিবুর রহমান গাজী, ছেলে সহ একই পরিবারের মোট ৭ জন, ৮ মেম্বার মোঃ শাহআলম গাজী, পিতা নুরুল হক গাজী, ৯ মেম্বার হাবিবুর রহমান ঢ়াড়ি, পিতা মৃত নুর মোহাম্মদ ঢ়াড়ি, ১০আক্তার ঢালী পিতা বাসু ঢালী, ১১ পারভেজ গাজী, পিতা শাহজাহান গাজী। সকলের বাড়ি হাইমচর উপজেলায়। এর বিরুদ্বে মামলা করলে। ২২ মার্চ মঙ্গলবার সকালে চাঁদপুর চীফ জুডিশিয়ান ম্যজিস্ট্রেট আদালতে আত্যসম্পর্পণ করে, আসামিদের আইনজীবী হিসেবে লড়াই করেন, এডভোকেট আবদুল্লাহ আল মামুন, অপর দিকে বাদি সোহেল রানার পক্ষে আইনজীবী ছিলেন এড. সেলিম আকবর, আদালতে আসামিদের জামিনের বিরুদ্ধে বলেন, চেয়ারম্যান সহ তার ছেলেরা প্রতিবাদি জেলের উপরে হামলা করেছে, একজন কারাগারে আরেকজন হাসপাতালে আছেন। আর যে হাসপাতালে আছে তিনি জেলে ৪০ কেজি চাউলের পরিবর্তে ৩০ কেজি দেওয়ায় সে প্রতিবাদ করায় তাকে আহত করেছে এবং চেয়ারম্যান জেলেদের চাল কম দেয়, এই কথার পরে আদালত বলেন সেটা নির্বাহী কর্মকর্তা দেখবে। তাছাড়া কোন জেলে কি অভিযোগ করে স্বারক লিপি দিয়েছেন, তাহলে আপনি সরাসরি চাল কম দেবার কথা বলতে পারেন না বলে চেয়ারম্যান পরিবারসহ মোট ১০ জনকে আদালত জামিন দেন।
অপরদিকে চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বলেন, নজু ও সোহেল উত্তর আলগীর ভোটার তারা আমার জেলে বা ভোটার না, তাহলে তারা ওই সময় কেনো আমার পরিষদে এসে হামলা করে। তাছাড়া সোহেল রানা আমার মামলার আসামি হয়ে সে আমাদের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে মামলা করে প্রমাণিত করলো তারা নিজেদের বাঁচাতে কাউন্টার মামলা করে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে। আমরা দেখেছি হামলার দিনে শাহজাহান পেদাসহ তার বাড়ির লোকজন তার বাড়ি থেকে বের হয়ে হামলা করে এতে কি প্রমাণিত হয় না শাহজাহান পেদা এই হামলার মূল নায়ক ও নাটের গুরু। যদি তা না হয় তাহলে সোহেল মামলা করতে থানায় নিজেই ততবির করে কেনো এবং আমাদের জামিনের দিনে আদালত পাড়ার বারিন্দায় তিনি সহ পেদা বাড়ির আরো কয়েকজন অবস্থান কেনো।
আমি মনে করি মাঝিদেরসহ উত্তর আলগীর লোকজনকে পরিকল্পিপতভাবে তিনি পিছনে থেকে আমার পরিষদসহ আমাদের পরিবারের উপর হামলা করেছে।
এদিকে অনান্য আসামিরা বলেন, পূর্বে থেকে তিনি নানাহ ধরনের ষড়যনন্ত্র করে আসছে। সেদিন তিনি পুলিশের কাজেও বাধা দিয়েছে। তাছাড়া দলীয় সরকারি যত অনুষ্ঠান আছে হাবিবুবুর রহমান চেয়ারম্যান এর নেতৃত্বে সকল দলীয় অনুষ্ঠান করেছে এবং হাজারো নেতাকর্মি নিয়ে অংশগ্রহন করেছে। আর কেউতো করেনি, তাহলে চেয়ারম্যান দলীয় কান্ডারি হয়ে আজ কেনো দলের ভিতরে হাইব্রিড নেতাদের ঠাঁই, দলের ত্যাগীরা আজ অবহেলিত কেন!

সকল ষড়যন্ত্র কে উপেক্ষা করে আদালত থেকে জামিন পাওয়ায় ১ নং গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান গাজীর নিজ উদ্যােগে ইউনিয়নের বিভিন্ন মজিদে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।

Powered by themekiller.com