Breaking News
Home / Breaking News / দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের সেরা চার সাহিত্য

দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের সেরা চার সাহিত্য

গদ্য কবিতা
শিরোনাম–কুকুর
সৃজনে–মাধব দেবনাথ
১২/০৩/২০২২

কুকুরটাকে সামনে দেখলে আমার
ভীষণ ভীষণ লজ্জা পায়।
সে আমাকে দূর থেকে দেখে
লেজ নাড়িয়ে আমার পাশে এসে
বিনা কারণে দাঁড়িয়ে থাকে।
কিছু চায় না সে,
কখনও যদি একটি বিস্কুট বা
এক টুকরো রুটি বা একটু ভাত দিই
পরম তৃপ্তিতে খেয়ে সদর দরজার সামনে
চোখ দুটি বুজে ঘুমিয়ে থাকে
যদিও কান দুটি তার সজাগ।

কখনও যদি রাস্তায় আমাকে তার নজরে আসে
সঙ্গী সাথী ফেলে আমাকে একটু শুঁকে
আবার দলে চলে যায়।
সত্যি এক অদ্ভূত ব‍্যাপার,
এমন দেখায় যে সে যেন আমার কাছে ঋণী।
কখনও সে তার চরিত্র বদলায় না,
আজ আমি কুকুরটাকে দেখে
ভীষণ ভীষণ লজ্জা অনুভব করি।

——————————————–

বিষয়ঃ কবিতা
শিরোনামঃ উচ্চারণ করি মৌনতাকে
কলমেঃ জেরিন ইসরাত ন্যান্সি
তারিখঃ ১২-০৩-২০২২

আমি কখনো ভাঙনের কথা বলিনা
কেবল, উচ্চারণ করি মৌনতাকে,
নত মুখে কবিতাগুলো শুনে যায়
আমার নিরাবেগ ছন্দ হীন পঙক্তি গুচ্ছ।
মাঝেমধ্যে কবিতাদের ভুলে যাই,
অনুযোগ করেনা তাও,
বারান্দায় শুকোতে দেয়া শাড়ির পেখম তোলা ময়ূরের কারুকাজে মিশে থাকে,
রোদে ঝলসে যায় বৃষ্টি এলে খানিকটা ভিজেও যায়,
আমি কখনো বিচ্ছেদের কথা বলিনা,
বরং অবিচ্ছেদ্য হয়ে সেঁটে থাকি,সেঁটেই থাকি নিজের সঙ্গে অহর্নিশ
দ্রবীভূত আমকে আঙুলে আঙুলে জড়িয়ে
একীভূত করি।
আমি কখনোই মুছে যাবার কথা শোনাতে
চাইনা,
বোধহীন বিরহী বেদনাকে তুচ্ছ করে নিমেষে বলে ফেলি,’এবার তুমি চলে গেলেই পারতে’।
আমি কখনো শব্দ গুলো তুলে আনতে চাইনি নিরবচ্ছিন্ন নিরবতা ভেঙে,
সরবে বারংবার উদযাপন করে চলেছি জীবনকে।
আমি কখনো রোগ ক্লিষ্ট অনুভবের অনুক্ত ভাবনাদের স্পর্শ করে দেখতে চাইনি,
শত সহস্র বার অধর চাপা কান্নাকে অলৌকিক মায়াবী আলোয় স্নান করিয়ে
লাল নীল কাব্য রচনায় ব্যস্ত হয়ে থেকেছি।
আমি কখনোই নির্ঘুম রাত্রির নিস্তব্ধতার গল্প শোনাতে আসিনি
বরং এক পাহাড় ঘুম নিয়ে ব্যস্ত থেকেছি আটপৌরে বেলায় কিংবা দীর্ঘ দুপুরে।
আমি কখনো ভাঙনের কথা বলিনা,
শুধু উচ্চারণ করি মৌনতাকে,
নিরুচ্চারিত কবিতার সাদা পৃষ্ঠা জুড়ে।

——————————————–

*নারী*

না না বাবা তুমি দেখো না ছেলে,
করবো না আমি বিয়ে ।
ওরা যে শুধু চায় পণ,
কিসের অধিকারে ?
শুনেছি আমি সবার মুখে,
আছে আমাদের সমান অধিকার ।
আমরা কি – –
শুধু নারী বলেই অবহেলিত হবো ?
সংসারে আমাদেরও অবদান কম নয় ,
ওদের থেকে ।
আমরা করেছি দেশ শাসন,
করেছি সংগ্রাম মেরেছি দানব,
এনেছি স্বাধীনতা
তবে শোনো – – –
ঝান্সি রানি ,মাতঙ্গিনী ,রানী রাসমণি,
এরাও তো ছিলেন রমনী ।
তবে কেন – – –
আমাদের অপমান,
আমরা যে নারী তাঁদের-ই সমান,
নারী ছাড়া ওদের গতি হবে রোধ,
পারবে না চলতে , পড়বে মুচড়ে ।
তাই তো বলছি – – –
নারী ই যে ওদের শক্তি,
নারীই ওঁদের রক্ষাকর্ত্রী।
তাইতো ওরা বিপদে আমাদের করে স্মরণ,
নারী ই যে ওদের জন্মদাত্রী ।
সেটা কি ওদের নেই স্মরণ ?
তবে কেন – – –
আমাদের এতো অবহেলা অবজ্ঞা ?
নারী ছাড়া হবে না সৃষ্টি,
শ্মশান হবে ধরিত্রী ।
উভয় বিনা হবেনা রক্ষা,
এ ধরনের সৃষ্ট ধাম ।
জগৎ সংসার বাঁচাতে হলে,
নারীর অধিকার মানতে হবে ।
বিশ্ব ইতিহাস পড়লে পরে,
নারীর অবদান বোঝা যাবে ।
বিশ্ব মাঝে যারাই বিখ্যাত,
নারী প্রেরণা পেয়েছিল ।
তাই তো – – –
নারী শক্তি জাগরনে,
কত তোলপাড় বিশ্ব মাঝে ।
নারী কারো দাস নয়,
আজীবনের সাথী,
সুখে দুঃখে সাথে থাকে,
প্রেরণার অধিকারী ।

ইন্দ্রজিৎ রায়—-9674666011

——————————————–

“আজ আমি স্বার্থক”
__লিলি ইসলাম__
আজ তোমায় মেলায় দেখলাম।
নীল পাঞ্জাবিতে বেশ লাগছিলো।
আমি দূর থেকেই তাকিয়েছিলাম
কি অপরূপ আর মায়াময় দেখতে তুমি
তোমার কাজল চোখের চাহনিতে
এক সময় নিজেকেই হারিয়েছিলাম।
আজ আবারও ক্ষণিকের তরে হারিয়ে গেলাম
তোমার মাঝে,
ইচ্ছে করছিলো এক দৌড়ে ছুটে যাই
তোমার কাছে।
মন চেয়েছিল ছুঁয়ে দেখতে কিন্তু সাহস পাই নি।
কারণ তোমার কবিতা যদি প্রশ্ন করে
কে আমি?
কেনো এসেছি?
কি চাই?
নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে
তাই দূর থেকেই কল্পনায় ছুঁয়ে দিলাম তোমায়।
এঁকে নিলাম তোমার মুখোবয়ব
হৃদয়ের ক্যানভাসে।
খুব মানিয়েছে তোমাদের দু’জনকে
অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়েছিলাম তোমার পানে
কি মিষ্টি করে হাসো তুমি!
কবিতার পরনে ছিল নীল শাড়ী, নীল চুড়ি
কপালে নীল টিপ।
আকাশের নীলের সাথে তোমাদের নীল
যেন একাকার হয়ে গ্যছে।
দু’জনে বসলে একটা গাছে তলায় শীতল ছায়ায়।
একটা সময় শুয়ে পড়লে তার কোলে মাথা রেখে
আনমনে চেয়েছিলে তার মুখপানে।
তোমার চুলে আঙ্গুল দিয়ে বিলি কেটে
দিচ্ছিলো সে
আর খুনসুটিতে মেতে উঠেছিলে দু’জন
আরও কি কি সব, থাক বলতে পারছি না
তোমাদের খুনসুটিতে শুধু আমি নই
আনন্দ পাচ্ছিলো প্রকৃতিও।
ফিরে এলাম সেখান থেকে।
এদিকে সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলো
রমনার গেটে ভীড় ঠেলে বের হতেই
চোখে পড়লো আমার বইটা তোমার হাতে।
অজানা শিহরণ যেন বয়ে গেল সারা শরীরময়
আমার বইটা তুমি ছুয়েছো বলে।
আজ আমি স্বার্থক কারণ বইটিতে
অল্প কিছু কথা ছাড়া পুরো বইটা
শুধু তোমারই কথা লেখা।
জানো, বইটা আমি বিক্রির উদ্দেশ্যে
স্টলে রাখিনি,
শুধুমাত্র তোমার দৃষ্টি গোচর হবে
ভেবেই রেখেছিলাম।
আজ আমি ধন্য।
তোমার কাছে আজ আর চাওয়ার কিছু নেই।
বিধাতার কাছে শুধু এটুকুই চাওয়া
তোমরা দু’জন সুখে থেকো আজীবন।
তোমাদের শুভকামনায়
——-সেই আমি।

——————————————-

Powered by themekiller.com