এইচ এম ফারুক ঃ
চাঁদপুরের মতলবের কৃতি সন্তান ঢাকা বুয়েট এর সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ওহিদউদ্দিন আহমেদ চলে গেলেন না ফিরার দেশে। ২ নভেম্বর রাত ১২/৩০ মিনিট বার্ধ্যক্য জনিত কারনে শেষ নিঃস্বাশ ত্যাগ করেন ( ইন্নালিল্লাহে অইন্নাইলাহে রাজিউন) মৃত্যু কালে মরহুমের বয়স হয়েছিলেন ১০৫ বৎসর।
চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার পাঁচানী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।শৈশব কেটেছে নিজ গ্রামেই।গ্রাম থেকেই মেট্রিকুলেশন পরীক্ষা পাশ করেন । উচ্চ শিক্ষার জন্য ঢাকা থেকে ইন্টারমিডিয়েট লেভেল পাশ করার পর ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সিদ্দান্ত নেন। কিন্তু তখন বাংলাদেশে ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় ছিলো না। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার জন্য দিল্লীর উত্তর প্রদেশের আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে লন্ডন চলে যান। লন্ডন থেকে এম এস সি এবং পি এইচ ডি ডিগ্রী অর্জন করে দেশে আসেন।লন্ডনে দীর্ঘদিন একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রফেসর ছিলেন অধ্যনত ছিলেন। তখন বাংলাদেশে মাত্র বুয়েট স্থাপিত হয়েছে।দেশে ফিরেই বুয়েটে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে অধ্যাপনা শুরু করেন।অল্প সময়েই ডিপার্টমেন্ট এর ডিন হন।এরপর চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ (বর্ত্তমান চুয়েট) প্রতিষ্ঠিত হলে ড. ওহিদউদ্দিন আহমেদ সেসময় প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল করে নিয়োগ দেওয়া হয়। একাধারে খুলনা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ (বর্ত্তমান কুয়েট) ,রাজশাহী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ (বর্তমান রুয়েট) এর প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল ছিলেন।দীর্ঘদিন বি আই টি (রাজশাহী, খুলনা,চট্টগ্রাম) তে অধ্যাপনা করার পর বুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়। ড.আহমেদ প্রথম বুয়েট ভাইস চ্যান্সেলর। বুয়েটের ইতিহাসের দীর্ঘ দিন ভাইস চ্যান্সেলরের দায়িত্ব পালন করেছেন।
বুয়েট থেকে অবসর গ্রহনের পর বুয়েটের ইমেরিটাস প্রফেসরের সম্মান লাভ করেন।বর্তমান বাংলাদেশের ডুয়েট উনার প্রস্তাবেই স্থাপিত হয়।বাংলাদেশের একমাত্র আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় (IUT-Islamic University of Technology) উনার নির্দেশেই গাজীপুরে স্থাপিত হয়।সে সময়ে OIC এর বোর্ড মিটিং উনিই IUT কে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন পাকিস্তানের পরিবর্তে। ড. ওহিদউদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি হওয়ার জন্য অফার পেয়েছিলেন কিন্তু নাকচ করে দেন। দেশী বিদেশী অনেক শিক্ষামূলক সংস্থার সাথে যুক্ত ছিলেন।বর্তমানে BIRDEM হাসপাতালের Ombudsman পদে এবং বুয়েটের ইমেরিটাস অধ্যাপক পদে কর্মরত ছিলেন।