Breaking News
Home / Breaking News / চাঁদপুর নৌ পুলিশের উপর সন্ত্রীদের হামলা, আটক ৩

চাঁদপুর নৌ পুলিশের উপর সন্ত্রীদের হামলা, আটক ৩

মোহাম্মদ সিন্টুঃ
চাঁদপুর নৌ পুলিশের উপর সন্ত্রাসীদের হামলার ঘটনায় তিন সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়েছে।
সুত্রে জানা যায়, গত ১ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চাঁদপুর নৌ থানার ভেতরে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ২ ফেব্রুয়ারি বুধবার দুপুরে নৌ থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. আলী আকবার বাদী হয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

আটককৃতরা হলেন, চাঁদপুর শহরের কোড়ালিয়া এলাকার আব্দুল মান্নানের ছেলে পলাশ হোসেন (৩২), একই এলাকার মৃত আক্তার মোল্লার ছেলে মো. তাজমির মোল্লা (২৮) ও ইব্রাহিম পাটওয়ারীর ছেলে রাব্বী পাটওয়ারী (৩০)। এছাড়া আমান উল্লাহর ছেলে মো. আল আমিন (৩২) সহ অজ্ঞাতনামা আরেক আসামি পলাতক রয়েছে।

আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. আলী আকবর বাবুল, কন্সটেবল মো. ইউনুছ ও অফিস সহকারী রাকিব।
আহত পুলিশ সদস্যরা রাতে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতলে চিকিৎসা নেন।

পুলিশ কর্তৃক দায়েরকৃত মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, ঘটনার সময় মো. স্বপন ফরাজী (৪২) নামের বালু ব্যবসায়ী হঠাৎ করে ‘আমাকে বাঁচান বাঁচান’ বলে চিৎকার দিয়ে ওসির কক্ষে প্রবেশ করার চেষ্টা করে। তখন ওই কক্ষের সামনে থাকা সদস্য মো. ইউনুছ তাকে প্রবেশ করতে বাধা দেয়। এরই মধ্যে গ্রেফতারকৃত আসামীরা ইউনুছকে ধাক্কা দিয়ে ওসির কক্ষে প্রবেশ করে স্বপনকে মারধর করতে থাকে। ওই অবস্থায় আলী আকবরসহ অন্য পুলিশ সদস্যরা তাদের মারধর থামাতে গেলে তাদেরকেও পিটিয়ে আহত করে। আসামীরা খারাপ ভাষায় গালমন্দ করে এবং পুলিশকে হুমকি ধমকি দেয়। তাদের চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন থানার ওসি মো. মুজাহিদুল ইসলাম। তাকেও দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে না পেরে নৌ থানার ওসি চাঁদপুর মডেল থানার সহায়তা চান। পরে মডেল থানা পুলিশের সহায়তায় হামলকারীদের আটক করতে সক্ষম হয়। কিন্তু এরই মধ্যে আল-আমিনসহ আরো দুই হামলাকারী পালিয়ে যায়।

চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, হামলাকারীরা চিহ্নিত অপরাধী। তারা আমার কক্ষে প্রবেশ করে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে মডেল থানায় সংবাদ দেই। মডেল থানা পুলিশের সহযোগিতায় তাদেরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই।

নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. কামরুজ্জামান বলেন, যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে দেখেছি তারা প্রত্যেকেই বিভিন্ন অপরাধে একাধিক মামলার আসামি। স্বপন নামে ওই ব্যক্তি তাদের মার খেয়ে থানায় এসে প্রবেশ করে। তাকে বাঁচাতে গিয়ে কয়েকজন পুলিশ আহত হয়। হামলাকারী তিনজন গ্রেফতার আছে। মামলা হয়েছে। জড়িত বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

Powered by themekiller.com