শাড়িতে তুমি
-মো.হুমায়ুন কবির
শোনো কুহেলি, হ্যাঁ তোমাকেই বলছি:
তুমি যেদিন শাড়ি পরে ক্যাম্পাসে আসতে
ফাগুনের কোকিল প্রখর গ্রীষ্মেও
গেয়ে উঠতো মিঠেল মায়াবি সুরে
শনশন ঝংকার বাজাতো
বৃক্ষের সকল পত্র পল্লব
ঝাঁকে ঝাঁকে ফড়িং ও প্রজাপতি এসে
তোমায় স্বাগত জানাতো
কতো রঙ বেরঙের পাখি
উড়ে যেতো তোমায় ছুঁয়ে ছুঁয়ে
সবুজ গালিচা বিছিয়ে দিতো উদ্যানের ঘাস
ঝাঁঝালো রোদ মোলায়েম হয়ে যেতো
ছায়ায় মায়ায় ভরে যেতো গোটা ক্যাম্পাস
সুদূর দক্ষিণ থেকে বাতাস বয়ে নিয়ে আসতো
সুনীল সাগরের নীলাভ ঘ্রাণ
তোমার হাসির প্রতিধ্বনি ছুটে যেতো
কোন সুদূর নভোনীলিমায়
তোমার কোমল পায়ের পাতার শব্দে
জেগে উঠতো ঝর্ণাতলার ঘাস
কুহেলি, তুমি যেদিন শাড়ি পরে ক্যাম্পাসে আসতে
করিডোর, মল চত্বর আর কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির বারান্দা
হেসে উঠতো ফিকফিক
উজ্জ্বল হয়ে যেতো যা কিছু নিথর ও ম্লান
মসজিদের পাশে শায়িত নজরুল চত্বর
চারুকলার বকুলতলা সেই ঝর্ণা
মুখ টিপে মৃদু হেসে ওঠে সব জড় ভাস্কর্য
মুহূর্তেই টলটলে জলে ভরে যায় ঘাস পুকুর
তোমার উদ্দাম চুলের উপর
টপটপ ঝরে পরে অজস্র বকুল
জীবন্ত হয়ে ওঠে পাবলিক লাইব্রেরির
লাল সিঁড়ি আর ক্যাফেটেরিয়া
কুহেলি, তুমি শাড়ি পরে ক্যাম্পাসে এলেই
পৃথিবীর সব যুদ্ধ থেমে যায়
শান্তির বারীতে শীতল হয়
গোটা বিশ্ব ভ্রম্মান্ড।
৩০.০১.২০২২