Breaking News
Home / Breaking News / দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক শব্দনগরের দৈনিক সেরা চার সাহিত্য

দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক শব্দনগরের দৈনিক সেরা চার সাহিত্য

কবিতা– শব্দ হয়েই বাঁচো
অজয় চক্রবর্তী
২১ ০১ ২০২২

অন্যায় যেথা সীমানা ছাড়ায় সেথা প্রতিবাদে যাই,
প্রতিবাদ করি আমারও একটা পক্ষ আছে তো তাই।
মিথ্যা ভাষণে কখনো বলি না আমি এক নিরপেক্ষ,
প্রতিবাদ আমি তাই করে যাই অকারণে নই রুক্ষ।

দুই নৌকায় রাখিনা তো পা কখনো মেলাতে তাল,
মাঝামাঝি থেকে কখনোই, দেখিনাতো হালচাল।
কার সাথে আছি, কি জন্য আছি, কেন প্রতিবাদী হই,
শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তাই, স্পষ্ট কথাই কই।

মন্দের জানি অনেক শক্তি,ভালোতো এখনো আছে,
হোক না যতই দুর্বল, তবু থাকবো ভালোর কাছে।
হাসি ভুলে গেছে আজকে মানুষ জীবিত থেকেও মৃত,
লক্ষ আঘাত এলেও আমি, সেখানেই পরিচিত।

জগতের যত সর্বনাশে আমারও তো আসে যায়,
বন্ধুরা সব বাঁকের মুখে, আমাকেই খুঁজে পায়।
অনেকেই জানি হোকনা ক্ষতি যাবেনাতো প্রতিবাদে,
মধ্যপন্থি আরো যারা আছে জড়াবে না বিবাদে ।

শিরদাঁড়াটা এখনো যাদের ঠিক সোজা হয়ে আছে,
প্রতিবাদের ভাষা টা কেমন শেখো না তাদের কাছে।
কেন গা বাঁচিয়ে, পাশ কাটিয়ে দুহাত তুলে নাচো?
প্রতিবাদের আওয়াজ তুলে শব্দ হয়েই বাঁচো।

————————————-
শীত বৃত্তান্ত
হাসান ফরিদ
২১/০১/২২

ভোরের শিশির শিশির,
কুয়াশা ঢাকা নদীর,
হিমেল হিমেল হাওয়া,
আদল পায়ে যাওয়া।

মটরশুঁটি ক্ষেতে,
দৌড়ান দল বেঁধে,
সূর্যটা দেয় উঁকি,
হাসে সূর্যমুখী।

পা ঠক ঠক শীতে,
ভেজানো পিঠা খেতে,
অন্য রকম লাগে,
পৌষ কি মাঘে।

————————————–

কবিতাঃ ” এক জোড়া পা”
কলমেঃ এম. আর হারুন
২২/০১/২০২১
—————
জীবনে পরাজয় না আসলে হয়তো
জীবন কি তা বুজতেই পারতাম না,
আমিও হাঁটি সুখের খোঁজে বছরের পর বছর,
আমার মতো হয়তো অনেকেই হাঁটে
যাদের বুকের ভেতর যন্ত্রনা মিশে গেছে,
যাদের হৃদয় ক্ষতবিক্ষত,
আমিই সেই পথচলা এক অরন্যের মানুষ,
আমার এক জোড়া পা রক্তাক্ত,
একটা বিষন্ন মন,
দাবিয়ে চলে এই পৃথিবীর বুকে।

আমার না খুব কষ্ট হয় রাত বিরাতে,
শীতের গভীর রাতে জেগে উঠি
এক গুচ্ছ দুঃস্বপ্ন দেখে,
আমার ক্লান্ত মন ছুটে যায় পরশের আহবানে,
খোঁপায় বাঁধা বকুলের স্নিগ্ধে,
পাবো কি তাকে, বুকের শিহরনের আদ্যোপান্তে,
স্মৃতিময় দিন গুলো কি ভুলে গেছে
যার বুকে চড়ুই খেলা করতো?

থেমে যায় পথচলা,
থেমে যায় দেয়ালে লেপ্টে থাকা ঘড়ির কাঁটা,
এখন আর নিজের ভেতর বিশ্বাস নিতে পারছিনা,
যাবার বেলায় তুমিতো হাসি মুখে গেলে,
অন্য কারো হাত ধরে মাত্র ক’ মাইল দুরে,
আর আমি জীবনের অধিকাংশ সময়,
মাইলের পর মাইল হেটে চলেছি,
বুকের ভেতর দহন নিয়ে।

অপেক্ষার প্রহর শেষ হয়ে আসছে,
দেহখানি বিছানার সাথে মিশে গেছে,
হাঁড় ছাড়া কিছুই নেই
এখন শুধু নিঃশ্বাসটাই আছে,
চলছে না আমার এক জোড়া পা,
হয়তো কিছুক্ষন পরই শুনতে পাবে
বাড়ির উঠোন জুড়ে কান্নার শব্দ।

————————————–

অতীত ছাড়া একদিন

সোমনাথ পাত্র

অতীত তোমায় তাড়া করে বেড়ায়
তুমি একদিন মনে মনে ঠিক করলে
অতীত ছাড়াই বাঁচবে,
অন্ততঃ একটা দিন
এই ভেবে সকালে উঠে হাঁটতে শুরু করলে
হাঁটতে হাঁটতে মেয়ে ইস্কুলের কাছে
উক্যালিপটাস গাছটাকে দেখে
হটাৎ থমকে দাঁড়ালে
এখানেই তো প্রথম দেখা, সে রোজ
দাঁড়িয়ে থাকতো –
অতীত চিন্তা ঝেড়ে ফেলে
তুমি আবার হাঁটতে শুরু করলে
হাঁটতে হাঁটতে এবার তুমি
বড় রাস্তায় এসে পড়লে
যেখানে বানীশ্ৰী সিনেমা,
সিনেমা হলটা আর নেই
শুধু নামটাই আছে
আবার অতীত স্মৃতি হুড়মুড় করে
ঢুকে পড়ল তোমার মনে,
বিরক্ত হয়ে তুমি এবার ছুটতে
শুরু করলে
ছুটতে ছুটতে নীলাঞ্জনা পার্কের কাছে
তোমার পা দুটো থেমে গেলো
কত যে এসেছো পার্কে, বসেছো
ইস্কনের সিঁড়িতে, সব মনে পরে গেলো
সেসব পাত্তা না দিয়ে
তুমি আবার ছুটতে থাকলে
অন্নপূর্ণা মোড় , বাস স্ট্যান্ড, ষষ্ঠীতলা
মানুষের থিকথিকে ভিড়
এই ভিড় রাস্তায় একা কখনো হেঁটেছো কি ?
সে বড় ভালবাসত ওই ভিড়ে যুগলে হাঁটা –
একথা মনে পড়তেই তুমি বাসে উঠে
পড়লে, কোথায় যাবে জানো না
অভ্যাসবশত সেই ভিক্টোরিয়া নামলে !
এখানে একা কখনো ——
না, এভাবে হবে না। তুমি এবার বাড়ির
দিকে ছুটতে লাগলে
ছুটছো ছুটছো
ছুটতে ছুটতে আবার পা গেলো থেমে
কালিতলা মোড়, লাল্টুর চায়ের দোকান
এখানেও অতীত ! সে বাড়ি পৌঁছে দিতে
আসতো এই মোড় পর্যন্ত।
আর সহ্য হয়না ! তুমি এবার এক ছুটে
বাড়ি, সোজা বাথরুম আর
বাথরুমে ঢুকেই এক এক করে খুলতে লাগলে
শাড়ী, সায়া, ব্লাউজ, অন্তঃবাস –
বিবস্ত্র হয়ে দেখতে লাগলে তোমার
ঠোঁট, স্তন, নাভি, উরু ইত্যাদি অঙ্গ
দেখলে অতীত তোমার সারা শরীর জুড়ে
কোনো উপায় না পেয়ে তুমি মাথায়
জল ঢালতে লাগলে

এসো, বাইরে তাকিয়ে দেখো –
ওই দূরে টিনা, আমি আর অভি
অতীতকে সঙ্গে নিয়েই কেমন
হেঁটে চলেছি ভবিষ্যতের দিকে।

—————————————-
@ সেরা সাহিত্যিকদের অভিনন্দন @
@ দৈনিক দৈনিক শব্দনগর
@ বাংলারমুখনিউজ২৪.কম
@ দৈনিক এখনতখন।

Powered by themekiller.com