ফরিদগঞ্জে জীবন-সম্পত্তি রক্ষার্থে সংবাদ সম্মেলন

আবু হেনা মোস্তফা কামাল, ফরিদগঞ্জ: জমি কিনে ভূমি খেকোর আক্রোশের শিকার হয়েছেন খরিদা মালিক। জীবন বাঁচাতে পালিয়ে বেড়িয়েছেন প্রায় ২০ বছর যাবত। পুনরায় জীবনের ওপর হুমকি নিয়ে ঘুরছেন। এক পর্যায়ে বোরখা পড়ে রাতের অন্ধকারে এলাকাছাড়া হতে হয়েছে। জমির দখল নিতে তিনি ঘুরেছেন নানান জনের দ্বারে দ্বারে। জমি দখলে রাখতে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হচ্ছেন। পাচ্ছেন না সুবিচার। ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাব-এ গতকাল সোমবার দুপুরে এমনই অভিযোগ করেছেন জমির মালিকানা দাবীদার আবদুল ছাত্তার। ঘটনা উপজেলার ১৪ নং ফরিদগঞ্জ (দক্ষিণ) ইউনিয়নের হর্ণি দূর্গাপুর গ্রামের।

লিখিত বক্তব্যে আবদুল ছাত্তার বলেছেন, ১৬ই জানুয়ারি সকালে আমার খরিদা জমিতে কাজ করতে গেলে প্রতিবেশি মোঃ আজিজুর রহমান দলবল নিয়ে আমার ওপর হামলা করে ও আমার দোকানের আংশিক দেয়াল ভেঙ্গে ফেলেন। তিনি হুমকি দিয়ে বলেছেন, জমিার মালিকানা দাবী করলে আমাকে জীবনে খুন করে ফেলবেন। আমি এখন জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। আমাকে তিনি যে কোনো সময়ে বড় রকমের ক্ষতি করতে পারেন। আমি আইনশৃংখলা বাহিনীসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগের কর্তাব্যক্তিদের কাছে সুবিচার প্রার্থনা করছি।
আবদুল ছাত্তার আরও বলেন, গ্রামের নূর মোহাম্মদ বেপারী পৈত্রিক সূত্রে ওই সম্পত্তির মালিক ছিলেন। তিনি ১৯৮৩ সালের মার্চ মাসে ২৯৭২ নং দলিলমূলে স্ত্রী বেলায়েতেরনেছাকে ওই জমি রেজিষ্ট্রি করে দেন। বেলায়েতেরনেছার নামে জমির বি.এস রেকর্ডও হয়। ২০০০ সালে বেলাযেতেরনেছার কাছ থেকে সাবকবলা দলিলের মাধ্যমে আমি ১০ শতাংশ জমির মালিকানা গ্রহণ ও ভোগ দখলকার হই। দলিল নং ৩৮৩৫, তারিখ: ২০এ এপ্রিল ২০০০ খ্রিঃ।

কিন্তু, হঠাৎ করে এলাকার সন্ত্রাসী ও নানান অনৈতিক কাজের হোতা মোঃ আজিজুর রহমান ওই জমির মালিকানা দাবী করে বলেন, ১৯৯৪ সালে তিনি বেলায়েতেরনেছার স্বামী নুর মোহাম্মদ এর কাছ থেকে সাবকবলা দলিলমূলে মালিক হয়েছেন। অথচ, ওই রেজিস্ট্রির বৈধতা নেই। কারণ, জমির মালিক নুর মোহাম্মদ স্ত্রী বেলায়েতেরনেছাকে ১৯৮৩ সালে জমির মালিকানা হস্তান্তর করেছেন। যা এখনও বিদ্যমান। বেলায়েতেরনেছার কাছ থেকে সাবকবলা দলিল মূলে আমি এখন প্রকৃত মালিক। এলাকার সালিস ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিগণ মোঃ আজিজুর রহমান এর কাছে জানতে চেয়েছেন বেলায়েতেরনেছার নামে দানপত্র দলিল অবৈধ কি না- এমন প্রশ্নে তিনি বারংবার সময় চেয়ে কোনো জবাব দেননি।