ফরিদগঞ্জে রিটার্ণিং অফিসারের বিরুদ্ধে ফলাফলশিট পাল্টে ফেলার অভিযোগ

আবু হেনা মোস্তফা কামাল, ফরিদগঞ্জ: উপজেলার ৯ নং গোবিন্দপুর (উত্তর) ইউনিয়নের একটি ওয়ার্ডের সদস্য পদে ফলাফল শীট পাল্টে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। নির্বাচনের দিন বুধবার (৫ই জানুয়ারী) রাতে ৪ দফা ভোট গণনা শেষে হারুনুর রশিদ জমাদারকে বিজয়ী ঘোষণা করে স্বাক্ষরিত ফলাফল শীট হস্তান্তর করেন প্রিজাইডিং অফিসার। রাত পেরোতে ফলাফল পাল্টে, বৃহষ্পতিবার (৬ই জানুযারী) রিটার্ণিং অফিসারের কার্যালয় থেকে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আব্দুল আহাদকে বিজয়ী দেখানো হয়। এমন অভিযোগ করে বৃহষ্পতিবার (৬ই জানুয়ারী) বিকাল পাঁচ ঘটিকায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন নির্বাচনের দিন বিজয়ী ইউপি সদস্য হারুনুর রশিদ জমাদার।

ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মলনে মোঃ হারুনুর রশিদ জমাদার অভিযোগ করে বলেন, আমি ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৯নং গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য পদে মোরগ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করি। আমার দক্ষিণ ধানুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন গল্লাক আদর্শ ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোঃ হারুন অর রশিদ। নির্বাচনে শেষে ভোট গণনা করে প্রিজাইডিং অফিসার ফলাফল ঘোষণা করেন। পরপর ৪ বার ভোট গণনা শেষে সেখান আমার মোরগ প্রতীকে সর্বোচ্চ ৪০৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হই। ঘোষণা শেষে তিনি তার স্বাক্ষরিত ফলাফল শীট আমার নির্বাচনী এজেন্ট মোঃ শরীফ হোসনের কাছে হস্তান্তর করেন। একই ফলাফল শিট অন্যদেরকেও দেয়া হয়েছে। ফলাফলে, আমার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী আব্দুল আহাদ (প্রতিক ফুটবল) ৩৭৭ ভোট পান। কিন্তু, বৃহষ্পতিবার (৬ই জানুয়ারী) রিটার্ণিং অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ শাহ আলী রেজা আশরাফি তার অফিস থেকে, পরাজিত আব্দুল আহাদকে নুতন করে বিজয়ী দেখিয়ে ফলাফল শীট প্রদান করেন। ওই ফলাফল শিটে প্রিজাইর্ডি অফিসার ও নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা এজেন্টদের স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে। এই বিষয়ে আমি লিখিতভাবে উপজেলা নিবার্হী অফিসার এবং রিটানিং অফিসারকে অভিযোগ করেছি। নির্বাচনে সাধারণ সদস্য পদে অংশ নেয়া মুনছুর আহমেদ বেগ (তালা প্রতীক) ও ওসমান গণি (আপেল প্রতীক) এবং এজেন্ট আব্দুল গোফরানসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। তারা বলেছেন, রিটার্ণিং অফিসারের কার্যালয় থেকে দেয়া ফলাফল শিট আমরা মানি না ও প্রকৃত ফলাফল ঘোষণা করতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে দু’ টি আলাদা রেজাল্ট শিট ও দু’ রকম স্বাক্ষর দেখা গেছে।

এদিকে, মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে প্রিজাইডিং অফিসার মোঃ হারুন অর রশিদ বলেছেন, কেন্দ্রে প্রকৃত ফলাফল শিট দেয়া হয়েছে। তা আমি পরিবর্তন করিনি। পরিবর্তন করা হলে আমি জানি না।

রিটার্ণিং অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহ আলী রেজা আশরাফী বলেছেন, প্রিজাইর্ডি অফিসারের দেয়া রেজাল্টই ঘোষণা করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ দেয়া হলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।