অকৃতজ্ঞের অপবাদ
✍️শিব প্রসাদ হালদার
তারিখ-২৮/১২/২০২১
মঞ্চে দাঁড়িয়ে মন গড়িয়ে মন পেতে
চেষ্টার ত্রুটি কিন্তু কম করলো না
শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের মাঝে সাজিয়ে গুছিয়ে ব্যক্ত করলো
কিছুটা হলেও সুকৌশলে ক্ষোভ,
একটিবারও নিজের দুর্বলতার টু শব্দটিও করলো না
ভেবেছে হয়তো কেউ জানবে না – বুঝবেনা —-
সেই তথাকথিত “আঁড় না ভাঙ্গা” সাথীর যোগ্যতা
কটি বছর করেছে যাকে তিতিবিরক্ত,
একটিবারও কি আজ মনে পড়ে
রাত সোয়া এগারোটায় সেই অজস্র ভুলে ভরা
দীর্ঘ শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের ” খোলাচিঠি” এডিটের কথা–?
মাঝরাতের সেই বিশেষ জরুরী অনুরোধ
সেদিনের সহানুভূতিতে কিন্তু পারেনি প্রত্যাখান করতে।
তখন ফেসবুকে হয়নি মোটেও রপ্ত
শিখিয়ে দিলেও বারবার করেছে ভুল
প্রাতঃভ্রমণে প্লাটফর্মে চা খাবার ফাঁকে
চলেছে প্রশিক্ষণ সহ এডিট –
কখনও নিজের পরিপক্বতা পেতে যদিও করেছে পোস্ট
তাও ভুলভাল্—
পোস্টের মন্তব্যে কোন বন্ধুর ভ্রম সংশোধনের নির্দেশে
হয়েছে বেজায় ক্ষুব্ধ
পোস্ট দেখে সুধী পাঠক বুঝে গেছে জ্ঞানের গভীরতা।
ভালবেসে একত্রে মিশে
ইতিমধ্যে তার কাছে ব্যক্ত হয়ে গেছে
পারিবারিক অনেক একান্ত গোপন কথা——
বন্ধুত্বের মর্যাদা দিতে অকৃতজ্ঞের মতো সে পারেনি
অপরের কাছে তার মতো ক্ষোভ ব্যক্ত করতে।
পরকে সম্মান দিতে না পারলেও আত্মসম্মান রোধে
করেছে অসংখ্য অসামঞ্জস্য অশালীন বাক্য ব্যয়।
ক্রমাগত বিরূপ মন্তব্যে বিষিয়ে তুলেছে সহ্যের সীমা
একটিবারও ভাবেনি বুমেরাংয়ের কথা—-
স্থান কাল পাত্র বিশেষে তাই এসেছে বাধ্য হয়ে প্রতিঘাত
সত্যতার উন্মোচনে সুধীসমাজে আজ অনেকেরই মন্তব্য
“একি নির্বুদ্ধিতার পরিচয়ে
আত্মসম্মান হারিয়ে এখন শুনতে হচ্ছে
ছিঃ একি লজ্জা —–!!”