রিটন মোস্তফা, কলামিস্টঃ
আজ মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ বীরের আত্মত্যাগ ও দুই লাখের বেশি মা-বোনের সম্ভ্রমহানির মধ্য দিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে স্থান করে নিয়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ সংগ্রাম ও রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয় এই বিজয়। আজ তার ৫০ বছর পূর্ণ হল। অর্থাৎ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। উল্লেখ্য বিজয় দিবস বাংলাদেশে বিশেষ দিন হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে দেশের সর্বত্র পালন করা হয়। প্রতি বছর ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশে দিনটি বিশেষভাবে পালিত হয়। ১৯৭২ সালের ২২ জানুয়ারি প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে এই দিনটিকে বাংলাদেশে জাতীয় দিবস হিসেবে উদ্যাপন করা হয় এবং সরকারীভাবে এ দিনটিতে ছুটি ঘোষণা করা হয়। ৯ মাস যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পাকিস্তানি বাহিনীর প্রায় ৯১,৬৩৪ সদস্য বাংলাদেশ ও ভারতের সমন্বয়ে গঠিত যৌথবাহিনীর কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করে। এর ফলে পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ নামে একটি নতুন স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে। আজ সেই বিজয়ের ৫০ তম বছর পূর্ণ হল।
সুবর্ণজয়ন্তীর কারণে বাংলাদেশের এবারের বিজয় দিবসটি অন্য বিজয় দিবসের তুলনায় ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে। একইসঙ্গে পার করছে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীও।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন উপলক্ষে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’ প্রতিপাদ্যে আজ থেকে দুই দিনব্যাপী বিশেষ অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। মুজিববর্ষ উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি এ আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানমালার ১ম দিন আজ অনুষ্ঠান শুরু হবে বিকেল সাড়ে ৪টায় এবং অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিচালনায় থাকবে সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের শপথ। সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে জাতীয় পতাকা হাতে দেশের সর্বস্তরের মানুষ এ শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন।
বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি “আবদুল হামিদ” ও “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা” বাণী দিয়েছেন। দিবসটি পালনে দেশে-বিদেশে নানা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। তবে করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে বিজয় দিবস পালনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা রয়েছে।