“কি অপরাধ প্রভু”
জব্বর হোসেন
—————————
—————————
বুকের পাঁজর ভেদ করে
আত্মার গভীরতম অনুভূতির স্পন্দিত রক্তজালক
ছলাৎ ছলাৎ শব্দে ভেসে চলে অনন্ত সুদূরে।
যাতনার কোষগুলো কুয়াশার তরলে ভেজা
নয়নের তৃষিত বারিধারায় সিক্ত হয়ে ওঠে
মৃত্যুর রহস্যময় চাদরে।
প্রভু? আমি কি পথভ্রষ্ট?
হৃদয় ছিঁড়ে বেরিয়ে গেল সৃষ্টি শাবক
প্রসারিত নীলের ঢেউয়ে ভেসে যায় কালবৈশাখী
আবছা আলোয়, পেঁচা ডাকে বারবার
ক্রমশঃ অথর্ব হয়ে পড়ে প্রলম্বিত বাহু
বিকলাঙ্গ অবলোকন ছাড়া
তখন, কিছুই করার থাকেনা দয়াময়!
সমস্ত সঞ্চিত স্নেহ আর প্রলুব্ধ সৌন্দর্যের সীমানা পেরিয়ে
এক অনিশ্চিত অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছি নাতো?
কত অনিদ্রা বিঁধছে অহরহ
কত আকাঙ্ক্ষা বাসা বেঁধেছে হালকুমে
কত রঙিন স্বপ্ন খুবলে খাচ্ছে উড়ন্ত যৌবন!
সে কিছুক্ষণ আগেই ছিল
টাটকা তরতাজা তন্বী যুবতী
চোখে মুখে মায়ার সংসার
কৌশলে উচ্ছলে সদা চঞ্চলা
অবিরত স্পন্দিত হাসির মৌবন
নিরন্তর ছুটাছুটি
নিরন্তর আগলে রাখে শৈশবের দুধশিশু
হামাগুড়ি দেওয়া আগামীর তারা!
হঠাৎ নক্ষত্র পতন
হঠাৎ বুকের মাঝে অনল প্রবাহ
নিয়তির কাছে কি হেরে গেলাম আমি?
সতত সঞ্চারিত সত্যের মুখ
কপালে বিন্দুঘাম
উপাসনার কালো দাগের ভেতর বেহেশত!
নসীব বিক্রি করিনি কখনো
কিংবা ইজ্জতের বায়নানামা!
জটিলতার দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতে ভাসিনি জীবনে
খায়নি বেইমানি সোমরস!
তবে এই যন্ত্রণা কেন খোদা?
অহর্নিশি দহনে প্রজ্বলিত আশা
চোখের জলে প্লাবিত কবরের মাটি?
দুঃসহ এই কালবেলা কাটবে কবে ঈশ্বর?
একটুখানি সুখের বৃষ্টি?
একটুখানি শান্তির ঘুম?
—————————————————–
–২৩–শে–নভেম্বর–মঙ্গলবার–২০২১–
——————————————————