ছড়া– রান্নার কান্না
পাগলের বায়না
শ্যামল ব্যানার্জী
১৮/১১/২০২১
সবার বিনোদনের জন্য হালকা চালে ছড়ার মতো করে লিখলাম——
শখ করে ভাই রাধতে গেলুম খুন্তি হাতে নিয়ে,
খুন্তি আমায় চুমু খেলো তেলের ছ্যাঁকা দিয়ে।
খুন্তি ছেড়ে হাতা খুঁজি কোথাও যে না পাই,
হাতার সাথে হাতাহাতি করার সাধ আর নাই।
অবশেষে চামচে দিয়েই ভাবি রান্না করি,
চামচ হেসে কয় যে শেষে, খাবি হাতার বাড়ি।
তোর মতো এক ফালতু লোকের, কেন কেয়ার করি,
রবীন্দ্রনাথ হয় না কেউ রাখলে পরে দাড়ি।
অপমানে শেষ কালেতে পেলাম সাঁড়াশি
তাই দিয়ে ভাই করবো আমি, আজব আনারসি।
মিক্সি নামে যন্তর খানা বিকট আওয়াজ করে,
গোটা পোস্ত দিলাম তাতে ঘটাং ঘটাং ঘোরে।
পোস্ত যেমন গোটা ছিলো তেমনটাই যে রয়,
সবাই মিলে বললো এসে এটাই নাকি হয়।
খুঁজে পেতে পেলাম পটল…. পটল সে তো নয়,
এ যেন এক ট্যাক্সি শাটল ইধার উধার রয়।
শেষে আমি পটল ছেড়ে নিলেম কাঁচকলা,
দিলেম ছেড়ে গরম তেলে শুনিনি কারোর বলা।
ওমা একি কান্ড- তেলের বদলে জল,
দিয়েছি কখন জল ঢেলে ভাই
মনের সবিই ছল।
রেগেমেগে অবশেষে ভাতেই ঢালি পানি,
ভাত যে জলে সাতার কাটে যেন সাতার রানী।
এবার খাবার সময় হলো নিলেম ভাতে- জলে,
আমিও ভাই সাতার কাটি পান্তা ভাতের তলে।
গড় করি ভাই রান্না থাকুক, তোমাদেরই সাথে,
আমি যেন ভাই থাকি সুখে, আয়েশে দুধে ভাতে।