মোহাম্মদ ইয়াছিন-লক্ষ্মীপুর : সততার সাথে দায়িত্ব পালন করার অপরাধে বর্তমানে ১০নং রায়পুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সফিউল আজম সুমন এর বিরুদ্ধে একটি কুচক্রি মহল নানা ভাবে সড়যন্ত্র করছে বলে এলাকাবাসী ও পাশের বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগং সূত্রে জানা গেছে। এ বিষয়ে এলাকাবাসী আরো জানান,আমাদের চেয়ারম্যান একজন সৎ আদর্শবান চেয়ারম্যান। তিনি ইউপি মেম্বারদের বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে প্রতিবাদ করার কারণে তার বিরুদ্ধে এ সড়যন্ত্র করেন ইউপি সদস্যরা। এ বিষয়ে আরো জানা যায়, বাংলা ছায়া ছবি। কেন তৈয়ার করা হয়। তা কি শুধু অভিনয়ে সিমাবন্ধ। নাকি দর্শক দেখে পরিবর্তনের আশায় রাষ্ট্রের লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করে একটি ছবি তৈয়ার করার অর্থ নিয়ে নানা আলোচনা সমালোচনার মধ্য দিয়ে অনুসন্ধানে জানা যায় । অনুসন্ধানে একটি ছবির কাহিনী নিয়ে দর্শকের মনে নানা প্রশ্ন দেখা যায়। ছবিটির নাম হলো রণক্ষেত্র। এ ছবিতে একজন রাজনৈতিক নেতার দায়িত্ব কর্তব্য নিয়ে নানা মন মাতানো কাহিনী দেখে দর্শকের মনের প্রশ্নের নানা প্রশ্ন দেখা যায়। একজন রাজনৈতিক নেতা দেশ,মানুষ ও মাটিকে কতোটুক ভালোবাসা প্রয়োজন তা ফুটিয়ে তুলতে পরিচালক সহ নায়ক নায়িকার পরিশ্রম কি শুধু অভিনয়ে সিমাবদ্ধ! নাকি দেশের বর্তমান রাজনৈতিক নেতারা পরিবর্তন হবে?
এ ছবিতে যাকে নিয়ে আলোচনা সমালোচনা তিনি রাজনৈতিক নেতার অভিনয় করেছেন। তিনি সততার সাথে দায়িত্ব পালন করতে দেখে সাধারণ মানুষ তাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করেছেন। কিন্তু সাধারণ মানুষের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সাধারণ মানুষদের কে সেবার পরিবর্তনে বাঁশ দিতে শুরু করে। তিনি সরকারী সম্পদ লুট, সাধারণ মানুষ কে নানা হয়রানিতে পেলে টাকা আয় করা। তখনি একজন প্রতিবাদ করতে দেখা যায়। যে প্রতিবাদ করতে এগিয়ে আসবে তাকে মিথ্যা মামলা হামলা দিয়ে নাজেহাল হতে হবে এটাই সাভাবিক বিষয়! তেমনি ভাবে বর্তমানে সড়যন্ত্রের
শিকার ইউপি চেয়ারম্যান সফিউল আজম সুমন । একজন প্রকৃত সাংবাদিকের দিন দিন শক্র বৃদ্দি পায়! কিন্তু হলুদ সাংবাদিকের সাথে সবার ভালো -বাব থাকে এবং থাকে অনেক টাকা । তার থাকে ভাড়াটিয়া বাহিনী।
এ বিষয়ে আরো জানা যায়, হোসেন নামের একজন রিক্সা চালক সব সময় সবাইকে সালাম দিত। একদিন সে হাটাৎ করে চিন্তা করলো আমি সবাইকে সালাম করি । কিন্তু কেউ আমাকে সালাম দেয়না? এ ভেবে হোসেন ভাবতে লাগলো। কিভাবে সালাম পাওয়া যায়। সে এক দিনের জন্য একটি পাইভেট কার গাড়ী ভাড়া নিলো,সাথে শার্ট প্যান্ট এবং টাই। যে রাস্তাই চলে আর যেখানেই গাড়ী থেকে নামে সালাম আর সালাম। হাদিসে বলা আছে, যে সালাম দিবে তার ৯০ নেকি আর যে সালাম এর উত্তর দিবে তার ১০ নেকি? বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় সালাম এখন কুটি পতির জন্য গরীবের জন্য নয় বলে জানা গেছে। । সর্ব পেশার মানুষ প্রতিনিহত আলোচনা করেন দেশ এর নানা বিষয় নিয়ে । এ জাতী আর কত মিথ্যা বাণী নিয়ে দিন কাটাতে হবে॥
জাতীর বিবেগ আজ কোথাই! যে মানুষ সমাজের নানা অনিয়ম নিয়ে প্রতিবাদ করবে তাকেই নানা বাবে নাজেহাল হতে হয়। সমাজ ব্যবস্থা এখন উল্টো!
এ বিষয়ে সুযোগ্য চেয়ারম্যান সফিউল আজম সুমন জানান, ইউপি সদস্যরা আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। বরং আমি ইউপি মেম্বারদের বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে প্রতিবাদ করার কারণে তারা আজ আমার বিরুদ্ধে এ সড়যন্ত্র করছে বলে তিনি জানান। এ সময় তিনি ইউপি সদস্যদের নানা অনিয়ম তুলে ধরেন, বয়স্ক ভাতা,বিধবা ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা,প্রতিবন্ধীভাতা,বিজিডি সহ সকল ভাতায় ইউপি সদস্যরা টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এসকল বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান প্রতিবাদ করার কারণে ইউপি সদস্যরা তার বিরুদ্ধে মনগড়া অপপ্রচার করে বলে তিনি জানান। হতদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থানে নানা অনিয়ম রয়েছে । ইউপি চেয়ারম্যান এ সকল অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার কারণে ইউপি সদস্যরা তার বিরুদ্ধে সড়যন্ত্র শুরু করে। কয়েকটি অনলাইন পত্রিকা সূত্রে জানা যায়, লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার ১০নং রায়পুর ইউপি চেয়ারম্যান সফিউল আজম সুমন চৌধুরীর বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, সদস্যদের মারধর, মহিলা সদস্যদের কুপ্রস্তাব ‘সহ- প্রভাব বিস্তারের অভিযোগে পরিষদেরই ১০ সদস্য অনাস্থা দিয়েছেন। একে ঘিরে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অনাস্থা প্রস্তাব দিয়েছেন ওই ইউপি’র দশজন সদস্য। একই সঙ্গে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ও সচিব, দুদক চেয়ারম্যান, জেলা পুলিশ সুপার ও রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এর অনুলিপি সহ-প্রতিকারের দাবী তুলেন অনাস্থা আনয়নকৃত পরিষদের সদস্যরা। তাদের এসকল অভিযোগের বিষয়ে স্থানীয়রা জানান, নিজেদের অনিয়ম দামাচাপা দেওয়ার কারণে তারা এ অনাস্থা দিয়েছে। এমন কিছু বিষয় রয়েছে যা বলতে গেলে জ্বীব কাটা যায়, না বলতে পারলে হৃদয়ে রক্ত জমাট হয়। এমন একটি বিষয়ে হতাশ হয়েছে সর্বপেশার মানুষ। বিষয়টি হলো ইউপি সদস্যরা অসহায় মানুষের নিকট থেকে ঘর দিবে বলে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়! এ বিষয় ইউপি চেয়ারম্যান প্রতিবাদ করে। ইউপি সদস্যরা মানুষের সাথে কারণে বিনা কারণে খারাপ আচারণ করে থাকে। এ বিষয়ে নামএকাধিক ব্যাক্তি জানান, ইউপি সদস্যরা ঘর অজুহাতে টাকা নিয়েছে বলে এ ইউপি চেয়ারম্যান জানান। বললে জ্বীব কাটা যায় আর না বললে হৃদয়ে রক্ত খরণ হয়! কথাটি পুলিশ সুপার শাহ মিজান শাফিউর রহমান তার ফেজবুক স্ট্যাটাসে বলেছেন। শাহ মিজান শাফিউর রহমান এর স্ট্যাটাস নিয়ে বর্তমান প্রেস ক্লাবের সভাপতি কামাল উদ্দিন হাওলাদার একটি কলাম লিখে। লেখনিও মাধ্যমে তিনি বুঝাতে পেরেছেন
একজন মানুষ না বলতে পারলে কতটুকু কষ্ট পায়!
একজন জন প্রতিনিধি কি করেন তা সাধারণ মানুষ দেখার ও আলোচনা করার ক্ষমতা
রয়েছে। কারণ সংবিধানে বলা আছে রাষ্ট্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ। এ সংবিধানটি এখন কাগজ কলমে দেখা যায় বাস্তবে ভিন্ন। এক প্রশ্নের জবাবে লক্ষ্মীপুর জেলা সোনালী ব্যাংক এর পরিচালক জানান, সাংবাদিক এখন ঘরে ঘরে! এতো সাংবাদিক দিয়ে কি হবে? লক্ষ্মীপুর প্রেস ক্লাব সূত্রে জানা যায়, ৭১জন সাংবাদিকের ভোটে নির্বাচিত বর্তমান প্রেস ক্লাব। আমি লক্ষ্মীপুর প্রেস ক্লাবে কয়েকটি কারণে আবেদন করেনি। যে কয়েকটি কারনে প্রেস ক্লাবে আবেদন করেনি তা বর্তমান প্রেস ক্লাবের নেতাদের মাঝে দেখা গেছে। প্রেস ক্লাবের অতীতের নেতাদের মতো নিজেদের পকেট ভারি করা । টাকার কারণে দু’জন ব্যাক্তিকে সমাজে খাটো করা। সাংবাদিকের ক্লাব উন্নয়ন করার জন্য কেউ টাকা দিতে বললে কি টাকা দিতে হবে? প্রেস ক্লাব ভূলে গেছে তারা ঐ দু’জন ব্যাক্তির কাছে টাকা পাবে কি? সেচ্ছায় কেউ ক্লাবের উন্নয়নের জন্য টাকা দিতে চাইলে টাকা নেওয়া যাবে। কিন্তু টাকার জন্য প্রেস ক্লাবের ফেস বুক আইডি থেকে কাউকে ছোট করা একজন পেশাদার কিংবা জাতীর বিবেকের কাজ হতে পারে না বলে সর্বপেশার মানুষ আলোচনা করেন। যাই হোক মূল বিষয়ে ফিরে আসি, রায়পুর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের মধ্যে রায়পুর ইউনিয়ন একটি আলোচিত ইউনিয়ন। এ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান একজন সৎ আর্দশবান হতে হয়। ইউপি সদস্যরা যে বিষয় তুলে ধরেছেন। সে বিষয়ে প্রশাসন ভূমিকা নিয়ে হলে অবশ্যই সরে জমিন তদন্ত করে নিতে হবে। নয়তো প্রতিবাদ করার মানুষ হারিয়ে যাবে? একজন মানুষ অনিয়ম নিয়ে প্রতিবাদ করার পর তাকে বাহবা না দিয়ে যদি উল্টো হয়রানি করা হয়। তাহলে একদিন দেখা যাবে সমাজে অনিয়ম এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মানুষ পাওয়া বড়ই কঠিন বিষয় হবে বলে মন্তব্য করেন সংবাদ বিশ্লেষকরা।