কবিতাঃ বেকারত্বের দহন
সা।ল।মা।ড।লি।
০৫.০৮.২০২১
বেদনার বিষবাষ্পে জর্জরিত মন,
পরিবেশ ও প্রতিবেশ।
আত্মবিশ্বাস ভগ্নদশা,
দুর্ভাগ্যের দোষ চাপাই
বিধাতার দফতরে।
দু’চোখে হলুদ প্রকৃতি,
অথচ একদা ফুলে ফলে ভরা ছিল
আশার সবুজ বৃক্ষ।
হাতের নাগালের একটু দূরে দেখতাম
চাকচিক্যময় সিলসিলা ভবিষ্যৎ।
শিক্ষানবিস কালে রপ্ত করেছি
প্রিয় শিক্ষকের পড়ানোর কৌশল,
প্রশাসনের কর্তাব্যক্তির স্বস্ব ব্যস্ততা কিংবা
অহংকারী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দিত হাতছানি
ভাবতাম সবি যেন হাতের মুঠোয়
কেবল লেখাপড়া শেষ হওয়ার অপেক্ষা।
কিন্তু স্বপ্ন আর বাস্তবের মেরুকরণ
জটিল অংক,
স্বজনপ্রীতি আর নীতিহীনতার কাছে
ব্যক্তিগত দক্ষতা মূল্যহীন,
মূল্যহীন সার্টিফিকেটের মত সফেদ কাগজ।
যোগ্যতার সোপান পাড়ি দিতে দিতে ক্লান্ত,
সর্বদা দুর্ভিক্ষ চলে বুকপকেটে,
টানাপোড়েন বাড়ে লালিত সংসারে,
তোমাতে আমাতে।
রেফ্রিজারে রাখা থাকে তোমার তুমুল হৃদয়,
মুখে পড়ে সূর্যাস্তের ম্লান আলো।
আমার মাথার উপর বয়ে যায়
ধাবমান রোদ্দুর।
ধার করা রঙ্গিন চশমা ঢেকে রাখে কোটরাগত ,আশাহত, বেদনাময় চোখ।
হাঙ্গর বেকারত্ব গিলে খায় আমার
সকল স্নেহেরবন্ধন,রংচঙা প্রেম আর
সিলসিলা ভবিষ্যৎ।
রোদনভরা বসন্ত হাহাকার করে
ষড়ঋতু জুড়ে।
অভিমানে জ্যোৎস্নায় জাগুয়ার চাঁদ
দাঁতে ফালা ফালা করি।
অযোগ্য প্রমানিত হওয়া আর ভাল লাগেনা।
ভিখেরির থালায় তাচ্ছিল্যের আধুলি ও
মূল্যবান মনে হয়।
একবুক হতাশা আর ভারী দীর্ঘশ্বাস
আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে আমার
আদ্র পরাজয়।
অবশেষে খুঁজে ফিরি ভালোবাসাময়
স্নেহের হাতে চিনিরবাসনে মাখা
ছেলেবেলার একলোকমা দুধভাত।