১/০৮/২১
নদীপথ বাঁক নিয়ে এখন
শান্ত মোহনার কাছে,
বুকের উপর গল্পের স্তুপ
লিখে দেয় গতিহীন জীবন,
দূরে দূরে আগুনের আঁচ বাঁচিয়ে
হ্যাংলা হেসেল ঠেলাঠেলি করে,
হিসেবের দাড়ি টানা গল্প যত
শুরু থেকে শুরু করে আবার,
সব খেলার শেষে ডাকে
পড়া পড়া খেলা উপসংহার,
স্বরলিপি পেতে বসে খোলা দখিন দুয়ার।
ফেলে আসা শিরোনাম তরতাজা আবার,
আঙ্গুল টিপে তুলে আনে এঁটেল মাটি
গড়ে তোলে সেই অবলা কিশলয় সংসার,
থেকে থেকে ছুটে যায় পোড়া টালির দেশে,
সবুজে সবুজে খুনসুটি যেন
সহজ ভাব আর সরল আড়ি,
ছুঁয়ে দিলেই কুমির ডাঙায় ফেরে
কানামাছিরা ছুঁয়ে দেয় যাকে তাকে,
রঙ করা আইস্ক্রিম আর
ঝুরো সনপাঁপড়ি মাখা পথ
ধুলো মেখে এক্কা দোক্কা কেটে
গণ্ডির পর গণ্ডি পেরিয়ে যায় মুক্ত আকাশে।
আজও বাসী পাতে টাটকা সেই স্বাদ
শেষ বেলার বাদামী চোখের পাতায়
গাঢ় সবুজ হয়ে আসে,
আশ্রয়ে জাগে ঠাকুমার ঝুলি।
হারিয়ে যাওয়া উঠোনের দেওয়াল ধরে
লুকোচুরি করে চোর পুলিশ।
হঠাৎ চোর ধরা পড়লে ফিরে আসে সম্বিত,
কপালে খেলনা বন্দুক ঠুকে
কাগজের ভাঁজ খুলে পুলিশ বলে,
আবার বল
“অ এ অজগর আসছে তেড়ে
আ তে আমটি আমি খাবো পেড়ে”।
হুশ করে উড়ে যায় হাসিখুশি সহজ পাঠ,
শিরোনাম ঘুমিয়ে পড়ে আঁকড়ে বইয়ের তাক।