Breaking News
Home / Breaking News / বধু তুমি কার,দুই স্বামীর টানাটানি

বধু তুমি কার,দুই স্বামীর টানাটানি

চাঁদপুর প্রতিনিধিঃ
চাঁদপুর হাইমচরে ইয়াসমিন বেগম নামে ২৮ বছরের এক যুবতীর ২ স্বামীর সাথে ৪ বার বিয়ে হওয়ার ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
স্ত্রীকে ফিরে পেতে দ্বিতীয় স্বামী এমদাদ হোসেন চাঁদপুর আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।
ফরিদগঞ্জের এক মাদ্রাসার শিক্ষককে প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রতারণা করে প্রবাসীর স্ত্রী ইয়াসমিন বেগম বাড়িতে খবর দিয়ে নিয়ে আটকে রেখে জোরপূর্বক বিয়ে করার অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে চাঁদপুর জেলার হাইমচর উপজেলা ২ নং দক্ষিণ আলগী ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড ভিঙ্গুলিয়া গ্রামের আব্দুল করিম পাটোয়ারী বাড়িতে।
একই গ্রামের বাচ্চু শেখের ছেলে সৌদি প্রবাসী আব্দুল মমিন শেখের সাথে ১১ বছর পূর্বে আব্দুল করিম পাটোয়ারী মেয়ে ইয়াসমিন বেগমের বিয়ে হয়।
ইয়াসমিন বেগমের প্রথম স্বামীর সংসারে দুই সন্তান রয়েছে।
স্বামী বিদেশ যাওয়ার পর তার বড় ছেলেকে ফরিদগঞ্জ একটি মাদ্রাসায় ভর্তি করান। সেই মাদ্রাসার শিক্ষকতা করতেন ২২ বছর বয়সী এক তরুণ যুবক।
প্রবাসীর স্ত্রী ওই শিক্ষকের মোবাইল নাম্বার নিয়ে প্রায় সময় ফোন করে যোগাযোগ করে প্রেম নিবেদন করতো।
অবশেষে প্রবাসীর স্ত্রী মাদ্রাসা শিক্ষকের সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে।
গত এক বছর পূর্বে মাদ্রাসা শিক্ষককে তাদের বাড়িতে খবর দিয়ে নিয়ে আটকে রেখে প্রতারণা করে জোরপূর্বক প্রবাসীর স্ত্রী ইয়াসমিন বেগম বিয়ে করে।
প্রবাসীর স্ত্রী ইয়াসমিন বেগম তার প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখে মাদ্রাসা শিক্ষকের সাথে জোরপূর্বক বিয়ে করে।

বহুরূপী ইয়াসমিন বেগম মাদ্রাসা শিক্ষকের সাথে এক বছর সংসার করা অবস্থায় পুনরায় অন্য ছেলের সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। এই নিয়ে মাদ্রাসার শিক্ষক তাকে বারণ করলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে তালাক দেওয়ার হুমকি দিয়ে বাবার বাড়িতে চলে আসে।
সেই সুযোগ পেয়ে প্রথম স্বামী মমিন শেখ সৌদি থেকে দেশে ফিরে এসে তার প্রথম স্ত্রীকে পুনরায় বিয়ে করে। ২ নং দক্ষিণ আলগী ইউনিয়নের কাজী আবুল কালাম আজাদ লিটন প্রতারণা করে দ্বিতীয় স্বামীর সাথে তালাক না করিয়ে ইয়াছমিন বেগমের সাথে প্রথম স্বামীর পুনরায় বিয়ে দেয়।
কিন্তু এ ঘটনা জানাজানি হলে আবারও দ্বিতীয় স্বামী মাদ্রাসার শিক্ষককে তালাক দিয়ে তিন মাস একদিন পর বিয়ে শুদ্ধ করার জন্য পুনরায় প্রথম স্বামী প্রবাসী মমিন শেখের সাথে বিয়ে দেয়। দুই স্বামীর সাথে চারবার বিয়ে হওয়ায় এলাকা ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় বইতে থাকে।
এদিকে ছলনাময়ী বহুরূপী ইয়াছমিন বেগম প্রথম স্বামীকে তৃতীয়বার বিয়ে করার পরে দ্বিতীয় স্বামী মাদ্রাসার শিক্ষক এমদাদ হোসেনকে হয়রানি করার জন্য যৌতুকের মিথ্যা মামলা আদালতে দায়ের করেন।
দ্বিতীয় স্বামী মাদ্রাসা শিক্ষক মান সম্মানের কথা চিন্তা করে তার স্ত্রী ইয়াছমিন বেগমকে ফিরে পেতে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
এই ঘটনায় দ্বিতীয় স্বামী মাদ্রাসা শিক্ষক এমদাদ হোসেন জানান, ইয়াসমিন বেগম তার ছেলেকে মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়ে সুকৌশলে মোবাইল নাম্বার নিয়ে ফোন করে পরিচয় গোপন রেখে কথা বলে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। তার প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখে বাড়িতে খবর দিয়ে নিয়ে আটকে জোরপূর্বক বিয়ে করে। সামাজিক ও মান সম্মানের কথা চিন্তা করে বিয়ে মেনে নিয়ে এক বছর সংসার কাটাই। কিন্তু সে তার আব্বাস পরিবর্তন না করে অন্য ছেলের সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত হয়। এই ঘটনায় তাকে বারণ করলে সে বাবার বাড়িতে গিয়ে প্রথম স্বামীর সাথে সম্পর্ক পুনরায় গড়ে তোলে। পরে প্রথম স্বামীকে আবারো বিয়ে করে সংসার জীবন শুরু করে আদালতে মিথ্যা হয়রানিমূলক যৌতুক মামলা দায়ের করেন। স্ত্রীকে ফিরে পেতে নিজে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছি।
এখন আদালতে বলে দিবে স্ত্রী কোন স্বামীর।

এ বিষয়ে প্রথম স্বামী মমিন শেখ জানান, ছেলেকে মাদ্রাসায় পড়াতে গিয়ে শিক্ষকের সাথে দ্বিতীয় বিয়ে করে। ছেলে সন্তানের কথা চিন্তা করে পুনরায় স্ত্রীকে বিয়ে করেছি। তবে স্ত্রী যাওয়ার সময় টাকা পয়সা স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালিয়ে গেছে। তারপরও তাকে মেনে নিয়েছি।

এদিকে ছলনাময়ী প্রবাসীর স্ত্রী ইয়াছমিন বেগমের বাবা জানান, প্রথম স্বামীর ঘর ছেড়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেছে এই ঘটনায় মেয়ে ইয়াসমিনের দোষ ছিল। নিজেদের বাড়িতে বিয়ে হলেও পরে দুজনের মধ্যে মনের অমিল হওয়ায় দ্বিতীয় স্বামীকে তালাক দিয়ে প্রথম স্বামীর সাথে পুনরায় বিয়ে হয়।
মেয়ে দ্বিতীয় স্বামীর নামে যৌতুকের মামলা করেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলা হলেও কাবিনের টাকা ফিরে পেতে এমনটি করেছে।

এদিকে এই ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্ত করে ছলনাময়ী প্রবাসীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জোর দাবি ভুক্তভোগী পরিবার।

Powered by themekiller.com